![]() |
---|
Source |
Hello,
Everyone,
আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমাদের ছোট জীবনটা অনেক সুন্দর ।আমরা কখনও ভেবে দেখেছি, আমাদের এই সুন্দর জীবনটা কি কারনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।বাবা-মা কত কষ্ট করে সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ।দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে সন্তানকে সুশিক্ষিত করার জন্য এবং ভালো একটি পরিবেশ দেওয়ার জন্য ।
একটি ছেলে ও মেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে তাদের যেমন সংসারের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে যায় তেমনি তাদের বাবা-মার প্রতিও দায়িত্ব বেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এমন পরিবার দেখেছি যে, সন্তান তাদের সংসার গোছানোর জন্য অনেক সময় বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব অবহেলা করে ।
কিন্তু তারা যখন বাবা-মা হয়ে থাকে তখন তারা সেই সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেক কষ্ট স্বীকার করতে রাজি হয়। তখন নিজেদের আর কোন চাওয়া পাওয়া থাকে না ।তারা সন্তানের ভালোর জন্য নিজেদের আশা আকাঙ্ক্ষা গুলো ত্যাগ করতে দ্বিধাবোধ করে না ।মা তার শরীরের একটু একটু রক্তবিন্দু দিয়ে একটি সন্তানকে এই পৃথিবীর আলো দেখিয়ে থাকেন।
![]() |
---|
Sourcr |
বাবা-মায়ের হাতটি ধরে সন্তান দাঁড়াতে শিখে, হাটতে শিখে। বাবার অনেক পরিশ্রম এবং মায়ের ভালোবাসা ও পরিশ্রম দিয়ে থাকেন সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। সন্তান যখন প্রথম মা-বাবা বলে ডাকতে শিখে, সেই মধুর ডাক গুলো শুনে বাবা-মায়ের শত কষ্ট দূর হয়ে যায়। সন্তানকে নিয়ে ভালোবাসার একটি পরিবার তৈরি হয়।
বাবা-মায়ের সকল অপূর্ণতা গুলো সন্তানের মধ্য দিয়ে পূর্ণ করতে চায় । মায়ের স্বপ্ন গুলোর চায় তার সন্তানের মধ্য দিয়ে পূর্ণ হোক।সন্তান এই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক এবং সুন্দর একটা জীবন গঠন করুক।
আমি এমন অনেক পরিবার দেখেছি যেখানে, বাবার শেষ সম্বল তার চাকরী থেকে অবশর নেওয়ার পরে পেনশনের টাকা রেখেছিল তার ওপেন হার্ট সার্জারি করার জন্য ।কিন্তু তখন তার ছেলে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ।বাবা তার চিকিৎসা না করিয়ে সমস্ত টাকা তুলে দিলো ছেলের হাতে।
![]() |
---|
Source |
সেই সন্তান নিজের সোনালী জীবন গড়তে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পরেছিল যে, অসুস্ত বাবার কথা ভুলে গিয়েছে। দেশে বাবা বিনাচিকিৎসায় এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন । শুনেছি ছেলে দেশে এসেছিল কিন্তু তার বাবার দেখা আর পায়নি ।সন্তান যদি তার বাবার চিকিৎসার জন্য টাকা দিতে পারত হয়তো বাবা আরো কিছু দিন বেঁচে থাকেতে পারতেন।
![]() |
---|
Source |
বাবা-মা কিংবা সন্তান কেউ চিরদিন বেঁচে থাকবে না । বাবা মায়ের কাছ থেকে আমরা সব সময় নিয়েই থাকি, অনেক আবদার করে থাকি। কিছু না পেলে অনেক সময় বলে থাকি কি দিয়েছো ?কি করেছো আমাদের জন্য? কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখি? আমরা তাদের সুখের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি!
শুধু বাবা মায়ের কর্তব্য দেখলেই হবে না ,সন্তান হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে বাবা-মায়ের প্রতি ।সন্তান হিসেবে আমাদের উচিত বাবা-মায়ের শেষ জীবনে তাদের সুখে রাখা ।পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে গড়ে উঠুক সুখী পরিবার ।প্রতিটি সন্তান হোক বাবা-মায়ের সুসন্তান।আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি । নতুন কোন পোষ্ট নিয়ে আবার দেখা হবে।
আপনার পোস্টটা পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো বর্তমান সময়ে এসে, আমরা বাবা মাকে একটা সময় কি এমন কথা বলে থাকি তোমরা আমাদের জন্য কি করেছ, কতটুকু দিয়েছো আমাকে, কিছুই তো করতে পারো নাই জীবনে, তাদের দিকে আঙ্গুল তুলি।
কিন্তু কখনো এটা চিন্তা করি না বাবা-মা তাদের সুখের সময়টাই আমাদের জন্য বিসর্জন দিয়েছে, নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাইয়েছে, বর্তমানে এমন সন্তান অনেক আছে যারা কিনা বাবা-মার খোঁজখবর পর্যন্ত ঠিকমতো নেয় না।
তবে আমার মনে হয় এমন সন্তান কপাল পোড়া ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না,, কারণ আমার কাছে মনে হয় এই পৃথিবীতে একমাত্র কাছের ব্যক্তিটি হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার পরে তার মা। মা হচ্ছে সন্তানদের একদম নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসে পৃথিবীতে সব ভালবাসার মধ্যে সার্থকতা থাকে তবে আমার ভালোবাসার মধ্যে কোন সার্থকতা নেই।
তাই আমার দের উচিত বাবা মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার করা যত্ন নেওয়া খেয়াল করা, তাদের পাশে থাকা কারণ তারা জীবনের সবটুকু সময় আমাদের পেছনে ব্যয় করেছে এবং সময় দেওয়া হচ্ছে একজন দায়িত্ববান সন্তানের কাজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি সুন্দর একটি মন্তব্য দিয়েছেন ।বাবা মা আমাদের জন্য যত কিছুই করুক না কেন তাতেও আমাদের মন যেন মানে না। তবে আমাদের সন্তানদের বাবা-মার প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা উচিত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একটা মেয়ে কিংবা একটা ছেলের বিয়ের পরে যখন তাদের সন্তান হয় তখন তারা সন্তান হওয়ার আসল মর্ম টা বুঝতে পারে তখন তারা নিজেদের সন্তানকে বড় করা নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে একটা ছেলে তার নিজের পরিশ্রমের শেষ বিন্দু দিয়ে পর্যন্ত চেষ্টা করে তার ছেলে মেয়েকে মানুষের মত মানুষ করার একটা মেয়ে তার শরীরের রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও চেষ্টা করে তার ছেলে মেয়েকে ভালো রাখার।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে আমি এমন কিছু ঘটনা দেখেছি যেগুলো দেখার পর সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লাগছে সন্তান তার মায়ের খোঁজখবর তেমন একটা নেয় না তার বাবা কেমন আছে সেটা জানার চেষ্টা করে না এইতো গতকালকেই ফেসবুকে একটা ভিডিও দেখেছিলাম।
এখানে দেখানো হয়েছিল আমাদের বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয় করা একজন মানুষ আছে ওনার নামটা আমি ভুলে গিয়েছি উনি ওনার পুরো ক্যারিয়ারে যত পরিমাণে কাজ করেছেন ওই কাজের টাকা দিয়ে উনি শুধুমাত্র উনার সন্তানদেরকে বড় করেছেন মানুষের মত মানুষ করেছেন বর্তমান সময় উনার সন্তানেরা বাহিরে আছে।
তবে বর্তমান সময়ে এসে দাঁড়িয়ে উনি যখন বৃদ্ধ হয়ে গেছেন উনি এখন গ্রামের বাড়িতে আছেন ঢাকা শহরে উনার থাকার মত কোন জায়গা নেই কেননা উনি ওনার প্রতিটা টাকা শুধুমাত্র সন্তানের জন্য খরচ করেছেন বর্তমান সময়ে উনি প্যারালাইজড হয়ে গেছেন একমাত্র ওনার বউ ছাড়া উনাকে দেখাশোনা করার মত কেউ নেই এখান থেকে আমরা কি বুঝতে পারি সন্তানদেরকে আমরা যতই ভালোবাসা দিয়ে বড় করি না কেন তারা যদি মানুষের মত মানুষ না হয়ে অমানুষ হয় তখন আমাদের শেষ বেলায় আমাদেরকে এটাই ভোগ করতে হবে।
একটা কথা বলি যে সকল সন্তানেরা এই কাজগুলো করছো তোমাদের বাবা অসুস্থ টাকা পয়সা পাঠাচ্ছ না বিনা চিকিৎসার বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছে তোমরাও কিন্তু একদিন এই বয়সে গিয়ে পৌঁছাবে তোমাদের সন্তানরা তোমাদের জন্য কি করবে সেটা ভেবে হলেও অন্ততপক্ষে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের খবর নেয়ার চেষ্টা করো ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit