![]() |
---|
SOURCE |
Hello,
Everyone,
দিনগুলো যত সামনে আগাচ্ছে ততই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এখন তো অনিশ্চয়তায় ভুগছি এই ভেবে ,'সামনের দিনগুলো কিভাবে পার করব'! বর্তমান সময়ে ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপত্তা নেই।
আপনারা সকলেই জানেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি একদমই ভালো না। এ যেন “রাজা হীন রাজ্যের মতো। কেউ কোন আইন মানছে না, বাধা নিষেধ মানছে না, যার যা মন চাচ্ছে তাই করছে। কর্ম ব্যস্ততার জন্য আমাদের সকলেরই অবশ্যই ঘরের বাহিরে বেরোতে হয় কিন্তু মনে একটি আশঙ্কা থাকে, ”আমার কাজ শেষে সুস্থভাবে ঘরে ফিরতে পারবো তো”?
পেপার-পত্রিকা, অনলাইন মাধ্যম গুলোতে চোখ পড়লেই দেখা যায় ছিনতাই, ধর্ষণ ,খুন, ডাকাতি। এ কেমন স্বাধীন দেশ ? স্বামীর চোখের সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, মায়ের সামনে সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাধারণত একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ে যাওয়ার জন্য এক তরুণ যুবকের পেটে ছুরি চালাতেও তাদের দ্বিধা বোধ হচ্ছে না। তারাও তো কোন মায়ের সন্তান ,কারো ভাই, কারো বাবা।
![]() |
---|
Source |
রাত গভীর হলে শহরের কিছু কিছু এলাকা হয়ে উঠে আতঙ্কের এলাকা ।এইতো সেদিন রাত ১০:৩০ মিনিটে রাজধানী বনশ্রীতে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাসার সামনে ছিনতাইকারীরা ঘিরে ধরে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী তার নিজের বাইক চালিয়ে আসছিলেন,তার কাছে ২০০ ভড়ি স্বর্ণ এবং নগদ এক লাখ টাকা ছিল। তারা টাকা এবং স্বর্ণালংকার জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় ।তাকে এলোপাথারি কুপিয়েছে এবং গুলিও করেছে । সে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে ।ডাক্তার বলেছেন ,তার শরীরের ভিতরে এখনো সেই বুলেটের কিছু অংশ রয়েগেছে ।
সত্যি আজ ঘরে বাইরে কেউ নিরাপদ নয়। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা একদমই ভেঙে পড়েছে। বর্তমান সময়ে কেউ কারো বিপদ দেখলে এগিয়ে আসে না কারণ সকলেরই প্রাণের মায়া আছে ।এইতো সেদিন, এক শিক্ষার্থীকে এলো পাথারি কোপাচ্ছিল তার আশেপাশে অনেক লোক ছিল কিন্তু কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসলো না ।কারণ যে সাহায্য করতে আসবে পরবর্তী টার্গেট সেই হবে তাই জীবনের মায়া রেখে কেউ সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয় না ।
![]() |
---|
Source |
রাত বারোটার পরে যখন মসজিদের মাইক থেকে ভেসে আসে ”এলাকায় ডাকাত পড়েছে, চাপাতি নিয়ে তারা টহল দিচ্ছে, সকলে সতর্ক থাকুন এবং সকলে একত্রিত হয়ে ডাকাত মোরকাবিলায় এগিয়ে আসুন :।এই কথাগুলো শুনলে সত্যি প্রাণভয়ে কেঁপে ওঠে ।
আজ সাধারণ জনগণ সবথেকে বেশি অসহায় কারণ তারা যে আইন-শৃঙ্খলার কাছে সাহায্য চাইবে সেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ সদস্যরা ছিনতাইকারী হাত থেকে রেহাই পায় না।এইতো সেদিন অনলাইন মাধ্যমে দেখলাম একজন এসআই কে নৃশংস ভাবে কুপিয়েছে।
সেই পুরনো আইনের নিয়ম গুলো পাল্টিয়ে নতুন করে অভিযান চালানো উচিত। তাদের আরো কঠোর হতে হবে। আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সমস্ত দোষ দিচ্ছে না ।তিনি যথা সাধ্য চেষ্টা করছেন । সমস্ত ভেঙে যাওয়া রাজ্য গড়ে নিতে অবশ্যই সময় লাগবে এবং তার একার পক্ষে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত দেশের এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য। যৌথ বাহিনী অপরাধ দমনে ঢাকার ৬৫টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছেন।
![]() |
---|
Souce |
সতর্কতামূলক বার্তা প্রদান করছেন, প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে সন্ধায় পড়ে না থাকাই ভালো ,বিশেষত মেয়েদের জন্য আরও সতর্কতা বার্তা দিয়েছেন অলংকার, দামি ফোন, ল্যাপটপ বা অতিরিক্ত টাকা সঙ্গে না রাখার জন্য। সন্ধ্যার পরে মেয়েদের একা বাইরে না বেড়ানো জন্য বলেছে।
যদিবা কখনো ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে যান তবে আপনার সঙ্গে থাকা যা কিছু আছে সবকিছু দিয়ে দেওয়া উচিত কারণ জীবনের থেকে আপনার টাকা-পয়সার মূল্য বেশি না। আপনি বেঁচে থাকলে টাকা পয়সা অনেক উপার্জন করতে পারবেন। এই সকল ছিনতাইকারীরা ছোটখাটো বিষয়ে জন্য তারা মানুষ খুন করতে পিছপা হয় না ।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে পুলিশ,র্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। আশা করি আমাদের এই ছোট্ট দেশ আবার আগের মত নিরাপদ হয়ে উঠবে ।আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারব। সকলের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলা।যে যেখানে থাকুন নিরাপদে থাকার চেষ্টা করুন।
https://x.com/muktaseo/status/1894628857376112924
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit