মুঠোফোনে ধারণ করা বাসার পাশে একটি পুরনো প্রাইমারি স্কুল

in hive-120823 •  2 years ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি। আজ আপনাদের মাঝে একটি ক্রিয়েটিভ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। সেটা হলো আমার বাসার পাশে একটি পুরনো প্রাইমারি স্কুল।স্কুলটির নাম কিশলয় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

অনেক পুরনো আগের একটি স্কুল। স্কুলের নাম কিশলয় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটি কুড়িগ্রাম জেলার খলিলগঞ্জ বাজারে অবস্থিত। এই স্কুলের পরিবেশটা অনেক সুন্দর । এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ জলিল এডভোকেট। এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোঃ মহিরউদ্দিন আহমেদ। এবং এখানে অনেক কর্মীও কাজ করেছেন। তাদের নাম ঠিকানা জানা নেই। কিন্তু তাদেরকে অনেক জানাচ্ছি যে এত সুন্দর একটি স্কুল তৈরি করার জন্য।

কিশলয় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলটির দুটো গেট। একটি অনেক পুরনো আরেকটি নতুন। পুরনোর তুলনায় নতুনটি অনেক ভালো। পুরনো গেটটি অনেক আগের তাই গেট ভাঙ্গা হয়নি। নেটের পাশে একটি সড়ক রয়েছে। সেখানে সব সময় যানবাহন চলাচল করে।

স্কুলটির পাশে একটি পুকুর রয়েছে এই পুকুরে আমরা আগে গোসল করতাম। কিন্তু বর্তমানে অনেক ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ। পানা দিয়ে পুরো পুকুর ভেসে গেছে। একটু পানি দেখা যাচ্ছে না পুকুরে। পুকুরের পাশে একটি মাঠ রয়েছে। প্রতিদিন বিকাল হলে বাচ্চারা ওখানে খেলাধুলা করে ও আনন্দ করে। বাচ্চাদের এই খেলাধুলা আমাদের সকলকে মুগ্ধ করে দেয়। দেখে মনে হয় আমরা ওদের সাথে খেলি।

কিশলয় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলের একটি রিসার্চ সেন্টার রয়েছে। সেখানে প্রতি ছয় মাস পর পর ট্রেনিং সেন্টার হয়। টিচাররা ফোনে ট্রেনিং করে থাকে। এটি অনেক পুরনো কিন্তু বর্তমানে এটিকে আবার রিপেয়ার করা হয়েছে যার কারণে সুন্দর লাগছে। রিসার্চ সেন্টার টা অনেক পুরনো। রিসার্চ সেন্টারের ভিতরে একটি হল রুম রয়েছে। যেখানে টিচাররা ট্রেনিং করে।

কিশলয় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল টিতে আমিও লেখাপড়া করেছিলাম। কেজি ওয়ান থেকে ক্লাস পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিলাম । এবং আমার বড় বোনরাও এখানে লেখাপড়া করেছে। এই স্কুলটিতে অনেক স্মৃতি রয়েছে আমাদের। এই স্কুলটিতে আমাদের সকলকে একটি করে বিস্কিটের প্যাকেট দেয়া হতো প্রতিদিন। সেটি সরকারি বিস্কিট। তারপর আমাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। টিফিনের সময় আমাদের শিক্ষকরা আমাদেরকে ফুটবল ক্রিকেট বল সব দিতেন খেলতে। আবার সময় হলে সব স্কুলে জমা দিতে হতো। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতো। আমাদের স্কুলে অনেক পুরস্কার রয়েছে। স্কাউট দলেও প্রাইমারি স্কুলটি অনেক উন্নত।

এটি হলো সেই মাঠ যেখানে আমরা পাঁচ বছর খেলাধুলা করেছিলাম অ্যাসেম বিলি করেছিলাম। বাচ্চারা প্রতিদিন টিফিনের সময় এখানে খেলাধুলা করে। এখন আবার দোলনা ও লাগানো হয়েছে। খেলাধুলা করার জন্য বাচ্চাদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। আমি আমার বন্ধুরা সবাই আমার প্রতিদিন বিকেলে ওখানে যে আড্ডা দেই। অনেক মজা হয় ওখানে। এবং এই স্কুলের শিক্ষকরা অনেক ভালো বাচ্চাদের নিজের ছেলের মত লেখাপড়া শিখিয়ে থাকেন। আমি সবার বন্ধু অনেক মিস করি এই স্কুলকে এবং অনেক ভালোবাসি আমাদের স্মৃতি আমাদের ভালোবাসা এই স্কুলে।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার এই পোষ্টে আসার জন্য ।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে নতুন একটি পোস্টের মাধ্যমে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

@munna2580
অনুগ্রহ করে Discord Server এ যুক্ত হন আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
https://discord.gg/CXQAcuUB

Thanks