ব্রেনকে সব সময় সচল রাখতে হবে।

in hive-120823 •  2 months ago 


Screenshot_1.jpg
Image Source by pexels

আজকাল অনেকেরই পড়া লেখা মাথায় ঢোকে না বা পড়া মনে থাকেনা। এরকম ঘটনা যখন স্কুল বা কলেজে পড়তা তখন ঘটত। অনেক সময় পড়তে বসলেই ঘুম এসে যেত। রাজ্যের যত ঘুম আসে সব পড়ার সময় চলে আসত। তাই পড়া মনে রাখার জন্য কিছু টিপস আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।

প্রথমত আমাদের ব্রেনকে ব্যায়াম করাতে হবে। তারপর ব্রেনকে ভাল রাখতে যে খাবারগুলি খুব কাজে লাগে সেই খাবারগুলি খাবার চেষ্টা করতে হবে। এখন আমরা কি কি ব্যায়াম করতে পারি।

1) প্রার্থনাঃ আমরা যারা মুসলিম আছি আমাদের প্রত্যেকদিন পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া বাধ্যতামুলক। নামাজের সময় আমরা যে সুরা পড়ি বা যে সমস্ত কথাগুলো বলি এগুলো আমরা অনেকেই বুঝে বলি না। মুসলিম ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী আমাদের এগুলো বুঝে বলা উচিত এবং নামাজের সময় আরেকটা গুরুত্বপুর্ন ব্যাপার হচ্ছে , আপনাকে এটা অনুভব করত হবে যে, সৃষ্টিকর্তা আপনার সামনে দাড়িয়ে আছে। আপনি তার সামনে দাড়িয়ে এই কথাগুলো বলছেন। এইটা যদি প্রত্যেকদিন পাচবার এইভাবে পাচ ওয়াক্ত নামাজের সময় করা যায় তাহলে প্রতমত হচ্ছে ধর্মীয় দিক থেকে বাধ্যতামুলক আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে এতে ব্রেনের প্রচুর পরিমান ট্রেনিং হবে এর উপরে অনেক অনেক গবেষনা আছে। আর যারা মুসলিম না অন্যান্য ধর্মালম্বি আছেন তারা তাদের ধর্মে যেসমস্ত প্রার্থনা করার নিয়ম কানুন আছে সেগুলোকে ফলো করতে পারেন। আর যারা কোন ধর্মই মানেননা বা কোন ধর্মের না সেক্ষেত্রে তারা ম্যাডিটেশন করতে পারেন।

2) এরপর বলবো কল্পনা করাঃ মনে করুন আপনি স্কুলে, কলেজে বা কর্মস্থলে যাবেন। আপনি বাসা থেকে বের হবার আগে কয়েকটা মুহত্ব চিন্তা করবেন যে, আপনি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কিকি জিনিস দেখতে পারেন । কয়টা দোকন আছে বা দোকানের মধ্যে মানুষ থাকতে পারে কতজন করে। বের হবার আঘে এই ব্যাপারগুলো আপনি কল্পনা করে চিন্তা করবেন। এরপরে যখন আপনি ঐ পথ ধরে যাচ্ছেন তখন আপনি একটু মেলানোর চেষ্টা করবেন যে, আপনি যা যা কল্পনা করেছিলেন সেগুলো মিলছে কিনা। আপনি ধরে নিন যে, কিছুই মিললো না। এতে কোন সমস্যা নাই। আপনার ব্রেন প্রথম একটা জিনিসকে এক্সপেক্ট করেছে এবং সেটার সাথে সে মিলিয়ে দেখেছে এখোনে যে একটা ট্রেনিং হলো এই ট্রেনিংটা আপনার ব্রেনের ফাংশনকে ইমপ্রুফ করবে।

3) সবগুলো ইন্দ্রিয় একসাথে ব্যবহার করাঃ ইন্দ্রিয়গুলো কি আসলে সেটা হলো আমার চোখে দেখি, কানে শুনি, নাকে গন্ধ নি বা স্বাদ নি, স্পর্শ করি এই সবগুলোকে একসাথে ব্যবহার করতে হবে। ধরেন আপনি যদি একটা নতুন রেষ্টুরেন্টে যান, সেখানে গিয়ে একটা নতুন খাবার ট্রাই করেন সেই ক্ষেত্রে এটা করা সম্ভব। কিভাবে- যেহেতু এটা একটা নতুন রেষ্টুরেন্ট, আপনি কখোনে সেখানে আগে যান নাই্ ।এথানর পরিবেশ টা আপনার কাছে নতুন, এখানে যে খাবার খাচ্ছেন সে খাবারটা আপনার কাছে নতুন, নতুন একটা গন্ধ বা স্বাদ আপনি পাচ্ছেন এবং আপনি দেখছেন একটা নতুন জিনিস এবং আপনি স্পর্শ করছেন একটা নতুন জিনিস উপভোগ করেছেন। এইগুলো নিয়ে চিন্তা করাও ব্রেনের একটা ট্রেনিং।

এগুলো আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। কমেন্ট করে জানাতে পারেন আপনার কাছে কোন পরামর্শ থাকলে। text

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

ব্রেন মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আর এই ব্রেন সচল রাখার জন্য অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনেই দিনযাপন করতে হয়।

বিশেষ করে প্রার্থনা ইয়োগো মধ্য দিয়ে আমাদের ব্র্যান্ড বেশি সকাল থাকে। ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।

Loading...

আমারও পড়তে গেলে ঘুম আসে । এটা প্রতিনিয়তই ঘটে সেই ছোটবেলা থেকে এখনো অভ্যাসটা রয়ে গেছে । সারাক্ষণ এদিক-সেদিক থাকবো, বিছানায় থাকবো, ঘুম আসবে না কিন্তু একটি বই হাতে নিয়ে বসলেই কোথা থেকে যে দুনিয়ার ঘুম আসে তা আমিও জানিনা।

পড়া মুখস্ত রাখার যে একটা সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

আমিও আপনার সাথে একমত, আমরা যে ধর্মেরই হই না কেন , সকল ধর্মেরই প্রার্থনার কিছু মন্ত্র থাকে যেগুলো আমরা প্রতিদিন পড়লে আমাদের যেমন সৃষ্টিকর্তার সাথে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি তেমনি এটি আমাদের স্মৃতিশক্তির অনেক উপকারে আসে । আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট করার অপেক্ষায় রইলাম।

সবকিছু বুঝে পড়া এটাই উত্তম। আমাদের উচিত দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসা। যত বেশি দুশ্চিন্তা করবো আমরা তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুন্দর লেখাটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।