নমস্কার বন্ধুরা। আশা করি সকলে ভাল আছেন। আজকের দিনটি অর্থাৎ ১৯ই মার্চ ২০২৫ বিশ্বের বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের পাতায় এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেল। আমরা সবাই জানি সুনিতা উইলিয়াম অন্তরীক্ষ থেকে পৃথিবীতে পদার্পণ করেছেন।
২০২৪ সালের জুন মাসে স্টারলাইনার নামক মহাকাশযানে সুনিতা উইলিয়াম ও তার সহকর্মীরা অন্তর রাষ্ট্রীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে (ISS) যাত্রা করেন এবং এই যাত্রায় তারা সাফল্য অর্জন ও করেন। কিন্তু স্টারলাইনার মহাকাশযানটির কিছু অসুবিধা থাকায় তারা মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি তাদেরকে সেখানে থেকে যেতে হয়েছিল। ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে ফেললেন তারা। আমেরিকা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র NASA দীর্ঘ ৯ বছর তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি করলেন ড্রাগন নামক মহাকাশযান যেটি সুনিতা উইলিয়াম স ও তার ৪ জন সহকর্মীদের মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।
আমরা সকলেই অধীর আগ্রহে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম যে কবে সুনিতা উইলিয়াম ও তার সহকারীরা সুস্থভাবে পৃথিবীর মাটিতে আবার পদার্পণ করবে। দীর্ঘ ৯ মাস অন্তরীক্ষে থাকার পরে পৃথিবীর মাটিতে ফিরে আসার মুহূর্তটি তাদের কাছে যে কতটা বিস্ময়ের, সে অনুভূতি একমাত্র তারাই অনুভব করেছেন। আমরা বাইরের মানুষরা তাদের এই অনুভূতির কিঞ্চিত আভাস হয়তো অনুভব করার চেষ্টা করছি।
ভোর ৩:০০ থেকে ৩:৪৫ পর্যন্ত আমার সময়টা খুবই উত্তেজনায় কেটেছে। শুধু ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করেছি যেন এই মানুষগুলি সুস্থভাবে এই পৃথিবীর মাটিতে ফিরে আসতে পারে। যারা এই সমগ্র পৃথিবীকে নয় এই মহাকাশকেও জয় করে ফিরে এসেছেন। এবং এই জয় কোন একটি দেশের জয় নয় সমগ্র পৃথিবীর মানুষের জয়।
এর আগে অনেক মহাকাশ গবেষকরা মহাকাশে গিয়েছেন এবং তাদের গবেষণা সম্পন্ন করে আবার ফিরে এসেছেন। আমাদের দেশের মেয়ে কল্পনা চাওলা যিনি মহাকাশকে তো জয় করেছিলেন কিন্তু তার সেই জয়ের আনন্দ তিনি এই পৃথিবীর মাটিতে এসে প্রকাশ করতে পারেননি। এবং তার সেই মহাকাশ জয়ের আনন্দ কোন পৃথিবীবাসী হয়তো করতে পারেনি কারণ আমরা সকলেই জানি আমাদের কাছে আমাদের জয়ের থেকে জীবন অনেক বেশি প্রিয়। তাইতো জয়লাভ করার পরেও জীবন যখন হারাতে হয় তখন সেই জয়লাভের আনন্দ আর উপভোগ করা যায় না । তার পরিবর্তে নেমে আসে ঘোর বিষাদের অমানিশা।
তাই ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনাই করছিলাম যে এই জয়লাভের আনন্দঘন মুহূর্ত যেন সেই মানুষটি উপভোগ করতে পারেন ও তার সঙ্গে জুড়ে থাকা সমগ্র পৃথিবীবাসী ও যেন এই আনন্দে সামিল হতে পারে।
সারাদিন ধরে আমি খুবই অস্বস্তি অনুভব করছিলাম কারণ আমার মনে হচ্ছিল যেন আর ধৈর্য ধরে রাখা যাচ্ছে না । কখন এই মানুষগুলি পৃথিবীর বুকে ফিরে আসবে। আর যেই সাত মিনিট যে সময় তাদের সাথে নাসা গবেষণা কেন্দ্রের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল সে যেন কেবল আমার নয় সমগ্র পৃথিবীবাসীর কাছে এক বিষাদের মুহূর্ত ছিল। তারা যেন কোন দুশ্চিন্তায় মুহূর্ত কাটাচ্ছিলেন। যে মুহূর্তে ড্রাগণ নামক মহাকাশযানটি মহাকাশ অভিযাত্রীদের নিয়ে সমুদ্রে পতিত হল সেই মুহূর্তে যেন এক নিশ্চিন্তের শ্বাস ফেলতে পারলাম।
Chrome Open করতেই দেখলাম Sunita আর বিশেষ করে নামের জন্যই web page open করেছিলাম। আমার ও শ্বাসরূদ্ধকর অবস্থা হয়েছিল কখন যেন পৃথিবীতে ফিরে আসে।
যখন পড়লাম Sunita smile করেছেন তখন যেন ওনাদের সাথে আমিও জয়ের হাসি হেসেছিলাম। ধন্যবাদ দিদি, স্মরনীয় এবং চলমান একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তার সাথে আপনার মূল্যবান ও তথ্যবহুল এই লেখাটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনার লেখাটি পড়ার পরে মনে হল এই দলভুক্ত এখনো কিছু মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু জানতে এবং আপডেটের সাথে থাকতে পছন্দ করেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit