আমাদের চারপাশে এমন কিছু জায়গা থাকে যে জায়গা গুলিকে আমরা ঠিকভাবে অনুধাবন করে উঠতে পারিনা। কিন্তু বহুবার তার পাশ দিয়ে যাওয়া আসা করেছি কখনো তার প্রকৃত সৌন্দর্যতা আমাদের চোখেই পড়ে না।
আজ এমনই একটি জায়গার কথা আপনাদের কাছে বলব। আমাদের কৃষ্ণনগরের খুব জনপ্রিয় জায়গা ক্যাথলিক চার্চ। বড়দিনের মেলায় আমরা প্রতি বছরই এই চার্চে বেড়াতে যায়। এছাড়াও দিনের বেলাতেও অনেক সময় কোন কাজের জন্য এখান দিয়ে আমি অনেকবারই গিয়েছি কিন্তু কখনো এত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার চোখে পড়েনি।
আজ হঠাৎ টিউশন পড়াতে যাব বলে এই রাস্তার পাশ দিয়েই যাচ্ছিলাম চার্চের এই দৃশ্য এর আগেও আমি দেখেছি। কিন্তু এত ভালো এত মনোমুগ্ধকর মনে হয়নি। আজ হঠাৎ এ চার্চের দিকে তাকিয়ে আমার মন কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। এত সুন্দর মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে ক্ষণিকের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম এবং সেই দৃশ্য আমার ফোনে আমি আবদ্ধ করে নিয়েছিলাম। যা আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
চারটির পাশে রয়েছে একটি পুকুর পুকুরটি কচুরিপানায় ভর্তি । দুপুর ১২ টায় সূর্য যখন মাথার উপর তখন তার আলোয় এই দৃশ্য এত সুন্দর হয়ে উঠেছে। যীশু খ্রীষ্টের জীবনের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলো এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মূর্তির মাধ্যমে যা দেখে মনের ভিতরে কোথায় যেন আকুলি বিকুলি হয়ে উঠছে? মনে হচ্ছে যেন যখন জেরুজালেমে পোপ ও পাদ্রীরা ভগবান যীশুকে ক্রুশে বিদ্ধ করছিলেন এবং ভগবান যীশু সেই মানুষগুলির অপরাধ ক্ষমা করার প্রার্থনা জানাচ্ছেন সেই মুহূর্ত এই স্থানে অনুভূত হচ্ছে।
সেই দুঃখের মধ্যেও যেন ভগবান যীশুর কাছে বারংবার মাথা নত করে এই প্রার্থনা করতে ইচ্ছা হচ্ছে। যে হে প্রভু আমাদের তোমার এই ক্ষমা প্রবণ মানসিকতা প্রদান কর আমরা যেন কখনো কারোর দোষ না দেখি এবং কোন অপরাধমূলক কার্যে প্রবৃত্ত না হয়। হে প্রভু তোমার এ আত্ম বলি যেন বিফল না হয়। সমগ্র পৃথিবীতে যারা তোমার বার্তা প্রচারিত হয়।
সঠিক অনুধাবনের অভাবে অনেক সময় তাই আমাদের কাছে খুব চানা জিনিসও অজানা হয়ে রয়ে যায়। তাই কোন স্থানের প্রকৃত মাহাত্ম্য যদি আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থাকে তবে সেই স্থানের প্রতি আমাদের কোন অনুভূতি জন্মায় না। এবং আর পাঁচটি স্থানের সঙ্গে সেই জায়গাটিকেও আমরা গুলিয়ে ফেলি। তার শিল্পকলা তার রচনা শৈলী সবচাইতে কে বড় কথা তার অন্তর্নিহিত বার্তা আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়।