আগামী দিন রবিবার শ্রী শ্রী মা সারদা দেবীর তিথি পূজা উপলক্ষে আমাদের কৃষ্ণনগর রামকৃষ্ণ মিশনে এক বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। সেজন্য আজ আমরা সকলেই খুবই ব্যস্ত।
শুধু আমরা ব্যস্ততা নয় আমাদের সাথে আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও খুব ব্যস্ত তারা আজ মন্দিরের সামনের আলপনা শেষ করেছে।
তারপর ছাত্র-ছাত্রীরা আজ বিদ্যালয় এত তাড়াতাড়ি করে খাবার সেরে নিয়ে ফুল বেলপাতা বাচ্চা দূর্বা বাছা এবং গুনে গুনে রাখা এসব কাজ ওরা নিজেরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে করেছে। আজ মিশনের বড় মহারাজ ওদের কাজ দেখে অবাক এত ছোট ছোট বাচ্চা যে এত সুন্দর কাজ করতে পারে তা উনি ভাবতেই পারেননি।
তারপরে আবার বিকেল বেলাতেও কিছু ছাত্র ছাত্রী এসেছিল মন্দির ফুল দিয়ে সাজাবে বলে। শুধু কি মন্দির ফুল দিয়ে সাজিয়েছে? ওরা আজ সবজি কাটা থেকে শুরু করে ফুলের মালা গাঁথা চারিদিকে ফুল দিয়ে সাজানো সব কাজই করেছে।
একজন ছাত্রর মা তো আমাদের বলেই বসল যে ওদের আমরা কি জাদু করেছি যে ওরা বাড়িতেই থাকতে চাইছে না মিশনে এসেই থাকতে চাইছে।
যাইহোক সব মিলিয়ে আজকে সারাদিন মিশনে খুব সুন্দর কেটেছে। ঠাকুরের কাজ করতে করতে কখন যে দিন চলে গিয়ে রাত হয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারিনি তাই আজ আমার লেখাটা দিতে একটু দেরি হয়ে গেল।
আগামী দিন আপনাদের জন্য থাকবে মায়ের তিথি পূজার বিশেষ কিছু মুহূর্ত। তবে আজ মায়ের তিথি পূজার আগাম কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি । মিশনের সব ভক্ত কাকিমা কাকুরা আজ সারাদিন মিশনে প্রচুর কাজ করেছে তাদের সঙ্গে আমিও হাতে হাত মিলিয়ে কিছু কাজ করেছি তার মধ্যে সবজি কাটা থেকে শুরু করে মায়ের শাড়ি পড়ানো। এই সকল কাজই আজ আমার করার সুযোগ হয়েছিল।
আগামী দিন আমাদের মিশন থেকে একটি নগর পরিক্রমাও বেরোবে সেজন্য তারও কিছু অগ্রিম ব্যবস্থা করে আসতে হয়েছে।