নমস্কার বন্ধুরা। আজকে আবারো চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু গল্প শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। সকলের সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকে লেখাটি শুরু করছি।
গত কয়েকটি পোস্টেই আমি আমার এক বান্ধবীর বিয়ের বিভিন্ন রিচুয়ালস্ গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছিলাম। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার সেই বান্ধবীর বিয়ের দিনের কিছু গল্প। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
যেকোনো ধর্মেই বিয়ের বিভিন্ন ধরনের রিচুয়াল থাকে। ঠিক তেমনি হিন্দুদেরও বিয়েতে বিভিন্ন ধরনের আচার অনুষ্ঠান রয়েছে। বিয়ের দিনে ভোর বেলায় দধি মঙ্গল থেকে শুরু করে পরপর চলতে থাকে নানা ধরনের নিয়মকানুন। কনেদের তো রেস্ট নেওয়ার সময়ই থাকে না। তাই এখন বুঝতে পারি নিজের বিয়েতে মজা করার মতো সময়ই থাকে না বর-কনেদের।
এই বান্ধবীর বিয়েতে দুপুর বেলাতেই যাওয়ার কথা ছিল কারণ দুপুরে গায়ে হলুদের প্রোগ্রাম ছিল। সেই মতো শাড়িও ঠিক করে রাখা ছিল। তবে সারাদিন এতগুলো পড়ানো ছিল যে আর সময় হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া যেহেতু রাতেও তাড়াতাড়ি যেতে হতো তাই রাতের পড়ানো গুলোও দুপুরে পড়িয়ে দিয়েছিলাম। যার ফলে দুপুরে আর সময় বের করতে পারিনি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাওয়ার। তাড়াতাড়ি পড়িয়ে ৭.৩০ কার মধ্যে বাড়ি চলে এসেছিলাম। তারপর রেডি হয়ে গিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে আমার হবু ও চলে এসেছিল আমাকে নিতে। যার বিয়ে সে যেহেতু আমাদের কলেজ এর বন্ধু তাই আমাদের দুজনের ই নিমন্ত্রণ ছিল। তারপর দুজনে ৮.১৫ এর মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলাম কনের বাড়ি।
সেখানে ইতিমধ্যে আমাদের বাকি কমন ফ্রেন্ড রা পৌঁছে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখি কনে বিয়েতে বসে পড়েছে। যেহেতু গোধূলি লগ্নে বিয়ে ছিল তাই তাড়াতাড়ি বিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাই গিফ্ট টা বান্ধবীর মায়ের হাতে দিয়েছিলাম। তারপর বান্ধবীর সঙ্গে ইশারায় হাই---হ্যালো করে বিয়ে দেখছিলাম।
এরপর আমরা চলে গিয়েছিলাম স্টার্টার খেতে। ঐখানে অনেক গুলো স্টল ছিল। ফুচকা, আইসক্রিম ,ভেজ পকোড়া, চিকেন এর ও একটা আইটেম ছিল। আমরা অল্প অল্প করে সবগুলোই টেস্ট করেছিলাম।
স্টার্টার খাওয়ার পর আবার চলে গিয়েছিলাম বিয়ে দেখতে। গিয়ে দেখি সাত পাঁকে ঘোরা হচ্ছে। বিয়ে দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে। তাই একটা চেয়ারে বসে বিয়ের রিচুয়াল গুলো উপভোগ করছিলাম।
এরপর অনেক রিচুয়ালস হয়ে গেলে শেষমেশ আসে আসল রিচুয়াল। সেটা হল সিঁদুর দান। এটাই আমাদের হিন্দুদের বিয়ের আসল রিচুয়াল। এটা ছাড়া বিয়ে সম্পূর্ণ হয় না। ওদের মধ্যে আংটি দিয়ে সিঁদুর দানের নিয়ম ছিল। তাই আংটি দিয়ে সিঁদুর পরাতে খুবই সমস্যা হচ্ছিল। শেষমেশ সিঁদুর দানের মধ্যে দিয়ে বিয়ে সম্পূর্ণ হল।
বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ফটো তুলবো না তা আবার হয় নাকি। আমরা বান্ধবীরা অনেক অনেক ফটো তুলেছিলাম। আর আমরা অনেক মজাও করেছিলাম।
সেখানে গিয়ে পুরনো এক বান্ধবীর সাথে আমাদের দেখা হয়ে যায়। তার সাথেও কিছু ফটো তুলে নিয়েছিলাম।
*এরপর খাবার খেয়ে সবাইকে বিদায় জানিয়ে বাড়ি চলে এসেছিলাম।আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোন লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Best regards
You created exclusive and quality content
We wish you a happy new year 2025
Team 01 - Steemit Explorers Team
@damithudaya
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখাটি বেশ মজাদার এবং প্রাণবন্ত। বান্ধবীর বিয়ের দিনটি আপনি খুবই সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। বিয়ের বিভিন্ন রিচুয়ালস ও আপনার অভিজ্ঞতা একদম বাস্তবমুখী এবং মজাদার। সিঁদুর দান, খাবারের স্টলগুলো, বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলা সব কিছু মিলিয়ে একটি আনন্দময় দিন যেন কাটিয়েছেন। আশা করি আপনার বান্ধবীও তার বিয়ের দিনটি ভুলবে না। গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগল, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit