Hello Everyone,
পাঠক বন্ধুগণ,
কালবৈশাখীর স্পর্শকাতর কিছু মূহূর্ত শেয়ার করতে চলে এসেছি আপনাদের সাথে। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন।
দীর্ঘদিন বৃষ্টির সাথে দেখা নাই। হঠাৎ গতকাল গোধূলি লগ্নে মিলল আকাশে মেঘের চিত্র। মুহূর্তের মধ্যে সূর্যের আলোর ছটা মেঘে ঢেকে গিয়েছিল।
সন্ধ্যার কিছুটা সময় বাকি ছিল। কিন্তু মেঘের জন্য রাত্রি নেমে এলো। গৃহ বন্ধুরা তড়িঘড়ি করে ঘরে প্রবেশ করছে। আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর বিটক আওয়াজ।
মেঘ যেন গাছকে স্পর্শ করার উপক্রম হয়েছে। নাহ! ঘরে থেকে হচ্ছেই না। তাই নেমে গেলাম আঙ্গিনাতে। বাইরে শীতল মৃদু হাওয়া বিয়ে শুরু করেছে।
মেঘ ক্রমশ গাড়ো হচ্ছে। এটা দেখে বুঝতে পারছি যে আজ মনে হয় কালবৈশাখীর এক আঘাত অনুভব করতেই হবে।
নীল রংটা কিছু সময়ের জন্য আকাশে আর দেখা যাচ্ছে না। তারপর ছাদে গিয়ে আবারো কিছু মেঘের দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেছিলাম। বাতাসের তীব্রতা বেড়েই চলেছিল।
গাছের পাতা দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে বাতাসের ক্ষিপ্রতার জন্য। মাঝেমধ্যেই বাতাসের দমকা হাওয়াটা বেশি মনে হচ্ছিল। তাই বিলম্ব না করে ছাদ থেকে নিচে নেমে আসলাম।
এরপর প্রচন্ড জোরে জোরে বিদ্যুৎ চমকানোর বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছিল। সাথে রয়েছে বাতাসের আওয়াজ। বিদ্যুৎ চমকানোটা যখনই থেমে দাঁড়ালো তখন শুধুমাত্র বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
মিনিট ত্রিশের মতো এভাবে দমকা বাতাস চলে ছিল। এরপর ভারী বর্ষণটাও কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে। তবে তখন আবার অন্ধকারটা ও কমেছে।
মজার ব্যাপার আর উপভোগ্য মুহূর্ত তো এখন। প্রথমত এখন আমের সময়, তাই আম কুড়াতে হবে। আবার বছরের প্রথম বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে তাই কৈ মাছের দেখা মিলবে।
যেহেতু আমার মাছ ধরার ক্ষেত্রে একটু নেশা রয়েছে। তাই আমি আর আম কুড়াতে গেলাম না। বাড়ির পশ্চিম পাশে বাগানের উদ্দেশ্যে বের হলাম। আসলে ওই মুহূর্তে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় তাই হয়তো বা আপনাদের কি ফটোগ্রাফি দেখাতে পারছি না।
পুকুরের পাড়ে পৌঁছাতেই দেখি শিকল গেথে রয়েছে কৈ মাছ। হাসি পাচ্ছে আর মনের ভিতরে আনন্দের হাওয়া বইছে। কিন্তু একা তো তাই আর এটা প্রকাশ করতে পারেনি ওই মুহূর্তে। তবে এদিক-ওদিক না তাকিয়ে আমি কৈ মাছ ধরা শুরু করলাম।
মোটামুটি পঁচাশিটি কৈ মাছ ধরেছিলাম। হাতের কাছেই ছিল তাই বেশিক্ষণ লাগলো না কৈ মাছগুলোকে ধরে পাত্রে রাখবে। আমার আগে থেকেই জানা এখানে গেলে কৈ মাছ পাওয়া যাবে। তাই বলতে পারেন আমি সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে গেছিলাম।
সকালে উঠে দেখি আকাশে মেঘের চিহ্নমাত্র নেই। তবে আম বাগানে যদি দিকে তাকালে বোঝা যাচ্ছে কিছু একটা হয়েছে। আম গাছের উপর দিয়ে যে কিছু একটা হামলা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে।
আর এটা বলতেই এখন বুঝতে হবে কালবৈশাখী ঝড়। আম বাগানের ঝালু জায়গাতে বৃষ্টির জল দেখা যাচ্ছে। প্রচুর পরিমাণে আম গাছ থেকে পড়ে গিয়েছে এই বাতাসে।
তবে সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে শিলাবৃষ্টি হয়নি। যার জন্য আম সহ মাঠে রয়েছে ধান এগুলো বেশি একটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শিলাবৃষ্টির প্রভাব শুধুমাত্র ফলের উপর পড়ে না। বরং পুকুরে মাছের ওপর ওপরে।
যদি প্রচুর পরিমাণে শিলাবৃষ্টি হয় তখন পুকুরের মাছ এই ছোট বয়স খন্ড খেয়ে ফেলে। বরফ যেহেতু শীতল তাই মাছের শরীরের জন্য এটি সঠিক না। এটার ফলে দেখা যায় ফল ও ফসল চাষীদের পাশাপাশি মাছ চাষিরা ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তবে এই কালবৈশাখী আমার অভিমত অনুসারে বৈশাখ মাসের এক ঐতিহ্য। বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী ঝড় যদি দেখা না যায় তাহলে মনে হয় কিছু একটা অসমাপ্ত।
বছরের প্রথম বা বৈশাখ মাসে এই প্রথম মাস আমি কালবৈশাখী ঝড় এর সময় অতিবাহিত করেছি। তোরা কে কে এই বছর কালবৈশাখী ঝড় করেছেন, জানাতে ভুলবেন না। আজ এখানেই সমাপ্ত করছি আমার লেখাটি।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme8 |
Location | Bangladesh |
Shot by | @piya3 |
ফটোগ্রাফি গুলো সম্পাদনা করা হয়েছে Canva এবং Snapseed apps এর মাধ্যমে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু এমন অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। কৈ মাছ আমার নিজেরও অনেক পছন্দ। আমরাও গতকাল আমাদের এখানে কৈ মাছ ধরছি৷
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিলো।
#miwcc
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কালবৈশাখী মানুষের জন্য একটু ক্ষতিকারক হলেও প্রকৃতিকে নতুনরূপে সাজাতে কিন্তু এটি ভীষণ সাহায্য করে। তাই একটু একটু ক্ষতি হলেও এটি আমাদের মানিয়ে নেওয়া উচিত।
#miwcc
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কালবৈশাখী ক্ষতিকর হলেও প্রকৃতিকে নতুন রূপে দেখা যায়।কালবৈশাখী ঝড় নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আপনার অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit