![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
হঠাৎ মাছের পোনা ধরা কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি নিজে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। কে কে বাড়ির পাশের নদী বা খাল থেকে এভাবে ছোট্ট মাছের পোনা ধরেছেন। বরাবরই আমার মাছ ধরার প্রতি ঝোঁক ছিল। কিন্তু ইদানিং মনে হচ্ছে অভ্যাসটা বদলেছে।
আজ আমি শেয়ার করবো খাল থেকে মাছের পোনা ধরার একটি ঘটনা। যদিও আমার আজ সেখানে কোনো অংশগ্রহণ ছিল না তবে উপভোগ্য ছিল অল্প সময়ের জন্য। যেভাবে এটা আমি উপলব্ধি করেছি সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে আজকের লেখা।
![]() |
---|
এটা গতকাল তোলা একটা ছবি তবে আজকের লেখার সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে। ঘটনাটা হলো গতকাল লেখায় আমি উল্লেখ করেছিলাম যে আমি আমার সেজো মায়ের সাথে খালপাড়ে গিয়েছিলাম। যেখানে জোয়ারের জলে অনেক ছোট মাছের পোনা দেখেছিলাম।
প্রকৃতপক্ষে পরিবেশ পরিস্থিতি কখন পরিবর্তিত হবে আমরা কেউ জানিনা। কারণ আমার এই সেজো মা কখনোই নিজেদের বাড়ির পুকুর থেকেও মাছ ধরার প্রচেষ্টা করেনি আর আজ তিনি খালে মাছ ধরার জন্য গিয়েছিলেন। তবে হ্যাঁ তেমনি নিজের প্রয়োজনে যাননি বরং সময় অতিবাহিত করার জন্য গিয়েছিলেন।
বললে হয়তো আজ রাতেও লেখা শেষ করতে পারবো না তবে ছোট করেই বলছি। আমার সেজো জ্যাঠাবাবু দুই মাস হলো আমাদের রেখে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে যেটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। অন্যদিকে এই জ্যাঠাবাবুর কোনো সন্তান ও নেই। আমরাই ছিলাম সেজো মা আর জ্যাঠাবাবুর সন্তান সমতূল্য। তাই এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সেজো মা যেন কখনোই একাকিত্ব অনুভব না করেন।
যদিও প্রায় দুই মাস বাদে এটা আমার তৃতীয় দিনের লেখা তবে লেখা বন্ধ রাখার এটাও একটা কারণ। যদিও রাগ করে লেখাটা বন্ধ করেছিলাম তবে সেই বন্ধটা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার এটাও একটা কারণ। প্রথমে রাগ, তারপর ক্রমশ জ্যাঠা বাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি তাকে নিয়ে মেডিকেলে দৌড়াদৌড়ি ইত্যাদি।
যাইহোক, বলতে বলতে আমি আমার মূল লেখা থেকে কিছুটা হলেও সরে গিয়েছি। এখন মূল বিষয়ে যাই, আমি দুপুরে বারোটায় বেরিয়ে সেজো মায়ের কাছে গিয়েছি। তখন ছোটভাই বললো, আমাকে সাথে নিয়ে রাস্তায় যাবে। কারণ সেজো মা রাস্তার পাশে এক কাকাতো বোনকে নিয়ে খালের দিকে গিমেছিল।
ওরে বাবা! তাঁরা দেখি নেট ও বালতি নিয়ে রাস্তার দিকে আসছে। মৃদু হাসি দিয়ে সেজো মা বললো আজ নাকি গতকাল যেরকম মাছের পোনা দেখেছিল সেইরকম মাছের পোনা নেই। সেজো মার আসলে এই মাছের পোনা ধরার অভিজ্ঞতা নেই তাই তিনি বুঝতে পারেন নি।
মাছ পাক বা না পাক সেজো মা খুব আনন্দ পেয়েছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি সেজো মায়ের সাথে পরিকল্পনা হলো পরবর্তী সময়ে আমিও যাবো সাথে ছোট ভাই-বোন যাঁরা আছে সকলকে নিয়েই যাবো।
![]() |
---|
একদমই যে কিছু পায়নি এমন ও না। আমি তো নাছোড় বান্দা দেখবোই কি কি পেয়েছে। এটা হলো পারসে মাছের পোনার সাথে থাকা পারসে ভাঙ্গাল। আমি এটার সঠিক নাম জানিনা। তবে বাংলাদেশ থেকে বা পার্শ্ববর্তী দেশের অনেকেই হয়তো এটাকে পারসে মাছ বলেই জানেন। আপনারাও সঠিক কিন্তু এটার মধ্যে থাকে বিরল প্রজাতির এই মাছের পোনা। যেখানে একটা পারসে মাছ সর্বোচ্চ ২০০/২৫০ গ্রাম হয় যেখানে ৪/৫ বছর থাকলে এই মাছ দানব আকৃতি ধারণ করে।
সাধারণত বছর পাঁচেক কেউ এটা পুকুরে রাখতে পারলে ৬/৭ কেজি ওজন তো অনায়াসেই হয়। পাশাপাশি ঐটা যেমন দুর্লভ তেমনি সুস্বাদু ও চড়াও বাজার মূল্যের একটি মাছ ও বটে।
কিসের জাতীয় মাছ ইলিশ? যদি কারো বাড়ির পাশে এই ছোট মাছের পোনা ধরার সুযোগ থাকে রান্না করে খাবেন। হয়তো ইলিশ মাছের স্বাদ ও হার মানবে। কি ভাবছেন? এটা আবার হয় নাকি? এটা শতভাগ সঠিক কারণ নদী উপকূলে বসবাসরত এবং বিত্তবানরা ছাড়া নদীর তাজা ইলিশ খাওয়া সম্ভব না। কিন্তু এই ছোট পোনার মেল্য যেমন কম আবার এই সময়ে সচরাচর পাওয়া ও যায়। এক কথায় এইটা কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ইলিশ মাছের মতো। এমনকি এটা স্বাস্থ্য সম্মত ও বটে।
গ্রামের এই পরিবেশ, খাল, মাছ ধরা আমার কিন্তু ভীষণ পছন্দ। এখানে যেন ঈশ্বরের সৃষ্টি গুলোর সাথে মিলেমিশে থাকার সুযোগ মেলে।
যাইহোক, আমি আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্তি করছি সকলে ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন।
মাছটা দেখে পার্শে মাছ মনে হচ্ছে! অনেকদিন বাদে আবার মাছের দেখা পাওয়া গেলো!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দিদি, সঠিক বলেছেন। তবে এটা পার্শের সাথে থাকা পার্শে ভাঙ্গাল। একদমই একইরকম দেখতে, বোঝাই যায় না।
অনেক ধন্যবাদ দিদি, আপনার মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Team Steem Peacocks 🦚
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator07.Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@josepha, thank you so much for your valuable support sir. ❤️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit