source |
---|
বন্ধুরা,
আজকে আমি জল নিয়ে আমার অভিমত তুলে ধরছি। আশাকরি অনেকেই আমার আজকের লেখাটির বিষয়টি নিজেও হয়তো বাস্তব জীবনে উপলব্ধি করেছেন। আমার আজকের এই লেখাটির জন্য বেশ কিছু কারণ ও আছে যেটা অবশ্যই উপস্থাপন করবো।
গতকাল রাতে মা বললো যে আমাদের ডিপ-টিউবওয়েলে নাকি সমস্যা তখনি চিন্তা মাথায় উঠলো। আমাদের বাড়ির মধ্যে ২/৩টা টিউবওয়েল যে কারণে দুশ্চিন্তা তেমন হচ্ছিল না। তবে আমাদের একটা টিউবওয়েল যেটার জল খেতেই আমরা অভ্যস্ত। সত্যি কথা বলতে অনেক আগেই হাওয়া নিচ্ছিল তবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন খারাপই লাগতেছে।
যে কারণে জলের কথা আজকে বলছি সেইটা হলো আমি যে উপজেলাতে থাকি সেখানকার অধিকাংশ গ্রামের গভীর নলকূপের জল ভালো হয় না। সৌভাগ্যক্রমে আমাদের ইউনিয়নের ও না বরং আমাদের গ্রামের গভীর নলকূপের জল খাওয়ার উপযুক্ত।
যে কারণে আমি তো বলবো আমাদের গ্রামের লোকজন অনেক ভালোই আছে। আমি আমাদের পাশের গ্রামেই শৈশবে গিয়ে জল খাওয়ার জন্য তো অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি আমাদের পাশের উপজেলা মোংলা যেখানে আপনি যেদিকেই তাকাবেন সেখানেই জল।
source |
---|
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এক ফোঁটা জল আপনি সেখানে খাওয়ার উপযুক্ত হিসেবে পাবেন না। এবার আপনাদের মাঝে প্রশ্ন জাগবে যে ঐ অঞ্চলের লোকজন তাহলে কি জল খায় না? ঐ অঞ্চলের লোকজন সম্পূর্ণই বৃষ্টির জলের ওপরে নির্ভরশীল এবং বৃষ্টির জল ধরে রেখে বারো মাস জল খাওয়া সম্ভব না। যে কারণে দেখা যায় বছরের বাকি সময় জীবন বাঁচাতে নদীর লবণ জল বিভিন্ন ভাবে প্রক্রিয়াজাত করেই খেয়ে থাকে।
অথচ দেখুন আমরা যারা এই সমস্যায় নেই তাঁরা কতো জলই'না অপচয় করি। কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণানুসারে সমগ্র পৃথিবীতে সুপেয় জলের পরিমাণ খুবই কম। তাছাড়া, চাকরি সূত্রে আমি মোংলাতে থাকাকালীন সেই সমস্যাটা নিজেও ফেইস করেছি।
যেটা আমাদের বাড়ির গভীর নলকূপের সমস্যা হওয়ার কারণে আজ বেশ মনে পড়ছিল। এটাই আমাদের সমস্যা যে যখন আমাদের কাছে কোনোকিছু থাকে তখন সেটাকে আমরা ততোটাও গুরুত্ব দেই না। এমনকি সেটার মূল্য বা প্রয়োজনীয়তা ও কখনো চিন্তা করি না। অথচ যখন সেইটার অনুপস্থিতি হয় তখনই সেইটার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারি।
source |
---|
যদি কখনো আপনাদের সুযোগ হয় তাহলে খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলা পরিদর্শন করার জন্য বেছে নিতে পারেন। এখানে আছে পৃথিবী বিখ্যাত সেই ম্যানগ্রোভ বন এবং পশুর নদী। যদিও এপাশে ওপাশে জলরাশি দেখবেন তবে সুপেয় জল পাওয়া মুশকিল।
প্রকৃতপক্ষে, এখানে স্ব-শরীরে উপস্থিত হলে হয়তো জলের সংকটের সমস্যাটা উপলব্ধি করা সম্ভব। আমি আসলে আমার আজকের লেখাটিতে জলের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি, কোনো কিছুতে ত্রুটি দেখা দিলেই সেটা মেরামত করা উচিত। তাহলে হয়তো ক্ষতি পরিমাণ অনেকটা কমই হয়।
যদি আমাদের বাড়ির গভীর নলকূপের মেরামত আগেই করা হতো তাহলে আজকে ঠিক করাতে যেটা ব্যয় হয়েছে, হয়তো সেটার তিন ভাগের এক ভাগ অর্থের বিনিময়েই সম্ভব ছিল।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।