দীঘার সমুদ্র সৈকতের কিছু ছবি।

in hive-120823 •  2 years ago 

IMG_20220828_182750.jpg

প্রিয় বন্ধুরা,
শুভ রবিবারের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি। কেমন কাটলো বা কাটছে আজকের আপনাদের দিনটি। আশাকরি ভালো ভাবেই ছুটির দিনটি উপভোগ করছেন পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে।

আজকে আমার এখানে আসা দীঘার সমুদ্র সৈকতের কিছু ছবি নিয়ে। যারা কলকাতাবাসী তাদের কাছে দুদিনের ছুটি কাটানোর সবচেয়ে প্রসিদ্ধ জায়গা এই দীঘা।

এমন কোনো বাঙালি নেই, যে দীঘা একবারের জন্য ঘুরতে যায় নি। আমার কথা তো বাদ দিন, নেই নেই করে তিরিশ বারের বেশি গেছি আমি দীঘা। আগে এমন হয়েছে, শুক্রবার রাতে বেরিয়ে গেছি গাড়ি নিয়ে আবার রবিবার সন্ধেতে ফিরে এসেছি।

কখনো পরিবার, কখনো বন্ধু আবার কখনো একাও চলে গিয়েছি সময় কাটাতে। যদিও এখন দীঘা বড্ডো বেশি জনসমাগম এ ভিড়ে গেছে, দোকান পাট বেড়ে গেছে প্রচুর পরিমাণে।

তবে আগের দীঘার চেহারাটা ছিল অন্যরকম, আমার মনে আছে একবার দীঘায় গিয়ে চিংড়ি মাছের চপ খেতে রীতার ঘুম আর ভাঙে না।

তখন বুঝিনি, কিন্তু পরে বুঝেছিলাম নিশ্চই ওই চপে কোনো নেশার জিনিস মেশানো ছিল।

IMG_20220828_182718.jpg


IMG_20220828_182656.jpg


IMG_20220828_182628.jpg

এরপর একবার অনেক উঁচু সিড়িতে বসে আমি আর রিতা গল্পো করছিলাম, এমন সময় খুব উঁচু একটা ঢেউ বলা নেই কওয়া নেই এসে আমাদের দুজনকেই ফেলে দিয়েছিল।

সেইবার আমায় কোমরে বেশ চোট পেয়েছিলাম, কারণ দুজনের কেউ সাঁতার জানি না, আমি রিতাকে আগলাতে গিয়ে ওই কাণ্ড বাঁধিয়ে ছিলাম।

এমন অনেক ঘটনা জড়িয়ে থাকে বিভিন্ন জায়গার সাথে, এখন বাঙালির জন্য দীঘা দ্বিতীয় বাড়ি।
বলা নেই কওয়া নেই গিয়ে উঠলেই হলো।

আমি নিজেও তাদের দলেই পড়ি, যাক আজ ছবিগুলো দেখে পুরনো ঘটনা দুটো মনে পড়লো তাই আপনাদের সাথে ভাগ করতে চলে আসলাম।
রিতা বলে তখন নতুন ছিল, তাই বাঁচিয়েছিলে, হয় খন হলে ওই জলের সাথেই ভাসিয়ে দিতে! ভাবুন একবার!

সত্যি কি করতাম? এইবার একবার দীঘা নিয়ে গিয়ে পরখ করে দেখতে হবে! যাক আজ চললাম, আবার ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে।
ভালো থাকবেন সবাই এবং সুস্থ্ থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!