প্রিয় বন্ধুরা,
আশাকরি সকলে ভালো আছেন এবং কুশলেই আপনাদের দিনগুলো অতিবাহিত হচ্ছে।
আজকে অনেকদিন বাদে গেছিলাম সুনিতার সাথে দেখা করতে। দেখলাম বেশ ব্যস্ত, তবুও এখানের কাজের বিষয়ের পাশাপশি গল্পো হলো রাজস্থান নিয়ে।
শুনলাম সুনিতার দাদা গত বছর সেখানে বেড়াতে গিয়েছিল। প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে নিজের রাজস্থান ঘোরার বেশ কিছু উপলব্ধি ভাগ করে নিলাম।
যদিও আমি গিয়েছিলাম বেশ কিছু বছর আগে, তবে আজকের আলোচনায় আবার নতুন করে মনে হলো আরো একবার রাজস্থান ঘুরে এলাম আলোচনার মাধ্যমে।
তবে শুধু রাজস্থান নয় আজকের আলোচনায় ছিল নিজের চাকরি জীবনের প্রতিবন্ধকতা, বাড়তি খরচ, ছোটোবেলায় কথা এমন অনেক কিছু।
বিষয়টি হলো, আড্ডা তখনই জমে যখন সামনের ব্যাক্তি আপনার কথা উৎসাহ নিয়ে শোনে, আমি একটা ব্যাপার সবসময় দেখেছি সুনিতার মধ্যে, কারোর সাথে কথা বলার সময় তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে।
এটাকে আসলে সন্মান বলে, আর সঠিক শিক্ষা ও, কারণ একজন মানুষ যখন মনের কথা ভাগ করে নেয়, বা যেকোনো বিষয় আলোচনা করেন, তখন সেখানে তার ভাবাবেগ থাকে।
সেক্ষেত্রে সঠিক মনোযোগের অভাব অপরপক্ষে থাকা মানুষদের অসম্মান বোধ করাতে পারে, আজকে সুনিতার বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা শুনে মনে হলো, একটা প্রতিভা সুযোগের অভাবে নষ্ট হচ্ছে।
আমি বললাম, কোনো স্কুলে চাকরির চেষ্টা করতে, এবং জানতে পারলাম শিলিগুড়িতে সে স্কুলে পড়িয়েছে বেশ কিছু সময়।
ভালো বক্তা হতে চাইলে ভালো শ্রোতা হতে হয়, এই কথাটা আমি শিখেছি সুনিতার থেকে, সম্পর্ক, বয়েস নয় জীবনের অভিজ্ঞতা এবং ব্যবহারে সম্পর্ক মধুর হয়।
এই সাত বছরের পরিচয় যতটুকু সহচর্যের সুযোগ হয়েছে, তার থেকে যতটুকু চেনা সম্ভব একটি মানুষকে সেটাই ভাগ করে নিলাম আপনাদের সাথে।
তবে এর সাথে নিজের ঘোরার কথা বলতে হলে বলবো, রাজস্থান ভারতের ঐতিহ্যের সাক্ষী বহন করার সাথে, সাথে বহু ইতিহাস ধরে রেখেছে নিজের মধ্যে।
ভারত কি ছিল একসময়, মানুষের রুচি, পছন্দ, শিল্প, শিল্পী, সবকিছুর নিদর্শন দেখতে পাবেন রাজস্থানের কোনায় কোনায়।
খাদ্য, বস্ত্র এবং কারুকার্য আপনাদের চোখ ধাঁধিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট, আজও বহু কিছু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের কারণে অটুট রয়েছে।
দিনের সাথে রাতের আবহাওয়ার তারতম্য, মরুভূমিতে রাত কাটানো, এবং রাতের আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ যেকোনো মানুষকে কবি বানিয়ে দিয়ে সক্ষম।
অনেক ছবির মধ্যে থেকে কিছু হাতের কাছে পাওয়া ছবি ভাগ করে নিলাম, সুনিতাকে বলেছি, আমার ক্যামেরার ছবিগুলো আমার ফোনে ট্রান্সফার করে দিতে, কাজেই ভবিষ্যতে অনেক ভালো ছবি আপনাদের উপহার দিতে পারব এই আশা নিয়ে আজকে বিদায় নিলাম।
ভালো থাকুন সবাই এবং আনন্দ করে কাটুক আপনাদের আগামী দিনগুলো।
আপনার এই কথাটির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি। আড্ডা হোক বা বক্তা হোক, শ্রতা মনোযোগ দিয়ে শুনলেই বক্তা বক্তৃতা দিতে আরো সাহস পায় বা উৎসাহ পায়। এজন্য সুনিতা দিদির কথা আমিও রিপিট করছি। যদি আপনার সাথে কথা বলে তাহলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, সেই কথা অনুযায়ী আপনি আমল করেন বা না করেন, মনোযোগ দিয়ে শুনলেই আপনিও ভালো বক্তা হতে পারবেন।
আমি যখন আপনার পোস্ট টি পড়লাম এবং রাজস্থানের কিছু ফটো দেখলাম, আসলে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া ভ্রমন করার খুব ইচ্ছে। আপনার এই জায়গা গুলো দেখেও যাওয়ার ইচ্ছে আরো প্রখর হয়। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। নিজের খেয়াল রাখবেন। বায়
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit