বঙ্গ কুম্ভ মেলার কিছু ছবি রইলো আপনাদের উদ্দেশ্যে।

in hive-120823 •  2 years ago 
IMG_20230214_100128.jpg

প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? সকলেই ভালো আছেন এই কামনা করি। আর সবসময় ভালো থাকুন এই শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি।

কুম্ভ মেলার কথা সকলেই শুনেছেন, তবে আজকের ছবিগুলো বঙ্গ কুম্ভ মেলার, এটি সেই কুম্ভ মেলার নয় যেটি সম্পর্কে আপনারা ওয়াকিবহাল।

ভারতবর্ষ এমন একটি দেশ যেখানে মানুষ ঈশ্বরকে নানান নামে ডাকেন এবং কথায় আছে বড়ো মাসে তেরো পার্বণ এখানে লেগেই থাকে।

যেকোনো কাজেই ঈশ্বরকে স্মরণ করা মানুষের দৈনন্দিন অভ্যেস বলা যেতে পারে, পরমশক্তিকে স্মরণ করে কাজের শুরু আমার কাছে অন্ততপক্ষে একটি ভালো অভ্যেসে সামিল।

আমি এই তর্কে যাবো না ঈশ্বর আছেন কি নেই, কারণ সেটি ব্যাক্তি বিশেষের চিন্তাধারা, আমি নিজের কোথাও বলবো না কারণ কোনো বিতর্কে নিজেকে অন্তত এই ব্যাপারে আমায় সামিল করতে নারাজ।

এছাড়াও কারোর বিশ্বাসকে প্রশ্ন করা সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সম্মান করাটাও আমাদের নৈতিক দায়িত্বে সামিল।

IMG_20230214_100108.jpg

IMG_20230214_100224.jpg

IMG_20230214_100209.jpg

আমি এই সকল অনুষ্ঠানকে জন মিলনের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি, দুর দুরন্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই মেলায় সামিল হতে।

সবচাইতে বড় ব্যাপার যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান অশান্ত মনকে শান্ত করতে সিদ্ধহস্ত, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, অনেক সময় সহজেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হয় আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেগুলো আজীবনের সঙ্গী হয়ে থাকে।

সেই সকল লড়াইয়ের মনোবল জোগাতে এই সকল অনুষ্ঠান একরকম ঔষধির কাজ করে অনেকের কাছেই। সেইজন্য মানুষ একটু মানসিক শান্তির খোঁজে ছুটে আসেন এই মেলা গুলোতে।

এমন অনেক সময় হয়, কোনো কাজ করে ফেলার পরে আমরা উপলব্ধি করি যে আমাদের দ্বারা মস্ত ভুল হয়ে গেছে, এবং সেই ভুলের ক্ষমা চাইতেও পরমেশ্বরের স্বরণাপন্ন হন অনেকেই।

IMG_20230214_100149.jpg

IMG_20230214_100056.jpg

আমরা যতই মুখে বলি না কেন আমরা সাহসী, মনের অতলে তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে সকলের মধ্যে কিছু না কিছু বিষয় ভয় কাজ করে।

বিশেষ করে পরমেশ্বরের ক্ষেত্রে, এবং এই ভিয় যাদের মধ্যে কাজ করে তারাই চরম নিকৃষ্ট কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে সক্ষম।

আর যাদের মধ্যে এটা কাজ করে না তারা প্রায়শই সৃঘরের বাসিন্দা হয়ে থাকেন, পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন।

কাজেই ধর্মান্ধতা বলুন বা নিজেকে সঠিক রাখার প্রচেষ্টা বলুন, একটি অজানা শক্তির প্রতি আমাদের ভীতি থাকাটা নিজেদের জন্যই ভালো।

একটা মানুষ একবার অপরাধ করে বেচে গেলে ভাবেন, সেই কাজে ইশ্বরের সমর্থন আছে, এই ভ্রান্ত ধারণা যখন ভাঙ্গে তখন দেখা যায় যে, সেই মানুষটি সর্বশান্ত হয়ে গেছেন।

প্রতিটি জিনিসের পিছনে যেমন যুক্ত আছে, সাথে আছে সেই কাজের কর্মফল, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত বিচারের বাইরে আমরা কেউ নোই।

এককথায় যদি বিশ্লেষণ করতে হয় তাহলে বলবো, নিজেকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে এই অজানা শক্তির প্রয়োজন আমাদের সকলের আছে।

কাজেই অবশেষে বলতে চাই, যে নামেই ডাকা হক তাঁকে, তার শক্তি এবং আশীর্বাদ ছাড়া আমাদের সত্যি কোনো অস্তিত্ব নেই এই জগতে এটা মেনে চললেই বোধহয় মুক্তির পথ প্রশস্ত করা সম্ভব।

এই পর্যন্ত এসে আমার লেখায় ইতি টেনে বিদায় নিলাম, মঙ্গলময় হোক আপনাদের মঙ্গলবার এই শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে আজকের লেখা শেষ করলাম।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

@tipu curate

Loading...