বর্তমান সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ খুব বেশি হচ্ছে। কিন্তু কেন?

in hive-120823 •  last year 

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি।

pexels-cottonbro-studio-4098225.jpg
source

আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমান বেড়েই চলছে। এতে করে সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে। সমাজের মানুষগুলো একে অন্যের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস হারাচ্ছে। আমি বিবাহ বিচ্ছেদের বেশ কিছু কারণ খুঁজে বের করেছি। সেগুলো আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।

আপনাদের যদি আরো কারণ জানা থাকে তাহলে সেগুলো কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।

প্রতিষ্ঠিত না হয়ে যদি কোন ছেলে বিয়ে করে তাহলে সেখানে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে।

আমাদের সমাজে এখন কম বয়সী ছেলে মেয়েদের বিয়ে করার হার কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। অনেক ছেলে আবেগের বশবর্তী হয়ে ছাত্র থাকা অবস্থাতেই বিয়ে করছে। বিয়ের পর যখন সংসার চালানোর পয়সা উপার্জন করতে ব্যার্থ হচ্ছে, তারপর সংসারে অভাব দেখা দিচ্ছে ঠিক তখনি তৈরি হচ্ছে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দুরত্ব।

আর এই দুরত্ব থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা সোস্যাল মিডিয়ায় না বুঝে প্রেম করছে এরপর বিয়ে করছে। বিয়ের পর বুজতে পারে সেই ছেলে বা মেয়ে এতদিন আমাকে যা যা বলেছিলো তার সব কিছুই মিথ্যা।

আসলে আমি এখানে সোস্যাল মিডিয়ার কোন দোষ দেবো না বরং দোষ দেবো ঐসব সোস্যাল মিডিয়া অপব্যবহারকারীর। যাদের কারণে একটি ছেলে বা মেয়ের ভবিষ্যৎ ধুলিস্যাত হয়ে যাচ্ছে।

তাই সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আরো বেশি সাবধান করা উচিত বলে আমি মনে করি। আর হ্যা প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়ে করার চেষ্টা না করি। তানাহলে আমাদের বিভিন্ন দূর্ভোগ পোহাতে হবে।

বর্তমান প্রজন্ম দিনে দিনে নিজেকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, উঠতি বয়সেই অনেকে বিয়ে করছে এবং পরবর্তীতে তাদের বিচ্ছেদ হচ্ছে।

আমাদের সমাজে এখন ছেলে মেয়েকে জোর করে পড়ার টেবিলে বসিয়ে দিতে হয়। অথচ আমরা ছিলাম ব্যতিক্রম। সন্ধ্যে হলেই হ্যারিকেনের আলো জ্বালিয়ে নিজে নিজে পড়তে বসতাম। কিন্তু বর্তমান যুগে এসে অনেক ছেলে মেয়েই এখন ঠিকমত লেখা পড়া করছে না।

তারা বিভিন্ন মিডিয়ায় সময় ব্যায় করছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া অন্যতম। সেগুলোর নাম নাহয় নাই বললাম। অনেকেই এসবের ভেতরে নিজেকে উজার করে দিচ্ছে। নিজের অবক্ষয় ডেকে আনছে। স্মার্ট হওয়ার নামে বিভিন্ন অপকর্ম করছে।

pexels-pixabay-267447.jpg
source

কেউ হচ্ছে প্রতারক আর কেউ হচ্ছেন প্রতারিত। সন্ধ্যে হলেই এখন ছেলেমেয়েরা নেটদুনিয়ায় চলে যাচ্ছে। কে কী করছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। অনেক ছোট ছোট মেয়ে অর্থ্যাৎ হাই স্কুল পড়ুয়া মেয়ে যাদের সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তারা এসব প্লাটফর্মে এসে ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে।

প্রতারিত হয়ে নিজে নিজেই বিয়ে করছে আবার সেই বিয়ে কয়েকদিন পর বিচ্ছেদে রুপ নিচ্ছে। এই তো হলো এখন আমাদের অবস্থা।

সঠিক শিক্ষার আলো ছাড়া এই প্রজন্মকে বিবাহ বিচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা করা বেশ কঠিন।

শিক্ষা কী শুধু স্কুল কলেজেই অর্জন করতে হয়। না। একজন ছেলে অথবা মেয়ের শিক্ষা শুরু হয় পরিবার থেকেই। আর বাবা মা ভাই বোন আরো অন্যান্য জন হয় তার প্রথম এবং প্রধান শিক্ষক।

পারিবারিক শিক্ষাটা যদি ঠিকমত দেয়া হয় তাহলে ঐ ছেলে বা মেয়ে কখনই অন্ধকারে পা বাড়াবে না। তাই প্রতিটি ছেলে মেয়েকে পরিবার থেকেই প্রথমত সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এরপর বাকিটা স্কুল কিংবা কলেজের স্যারদের দায়িত্ব।

কিন্তু আমাদের এখন সেই সঠিক শিক্ষা দেওয়ার লোকের প্রচুর অভাব। আমরা সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত। ছেলে মেয়ে কী করছে আমরা তার ঠিকমত খোঁজ খবর রাখছি না। ফলস্বরুপ ছেলে মেয়রা অল্প বয়সেই অনেক ভুল-ভাল কাজের সাথে যুক্ত হচ্ছে।

অনেকেই বিয়ের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিজে নিজেই নিয়ে নিচ্ছে। এরপর কী হয় বা হচ্ছে সেগুলো আপনারাই ভালো বলতে পারবেন আমার থেকে।

বর্তমান প্রজন্ম জানেই না ভালোবাসা কাকে বলে, এর প্রকৃত অর্থ কী? ফলে প্রতিনিয়তই বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে।

pexels-jasmin-wedding-photography-1415131.jpg
source

সত্যিই আমাদের মাঝে এখন সঠিক ভালোবাসার জ্ঞানের অভাব। একজন স্বামী তার স্ত্রীকে কিংবা একজন স্ত্রী তার স্বামীকে প্রকৃতভাবে ভালোবাসতে জানে না। ভালোবাসলে হয়তো এতো বিচ্ছেদ হতো না।

আমাদেরকে আসলে সঠিক ভালোবাসা বোঝানোর মতো মানুষের বড়ই অভাব। যারা টিন এইজে থাকে অর্থ্যাৎ উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ে তারা আবেগটাকেই ধরে নেয় প্রকৃত ভালোবাসা। কিন্তু তারা জানে না যে এই আবেগ বেশিদিন থাকে না।

আবেগ খনিকের জন্যে জীবনে আসে আবার চলেও যায়। কিন্তু বিবেক সারাজীবন থাকে। কিন্তু আবেগী বয়সে আর তখন সেই বিবেক কাজ করে না। অথচ এই বয়সে যদি বাবা মা ভাই বোন সহ স্কুল কলেজের শিক্ষকগণ সঠিক কেয়ার করতো,

আবেগ সম্পর্কে তাদের সঠিক ধারণা দিতো তাহলে হয়তো ছেলেমেয়রা আবেগের বশবর্তি হয়ে বিয়ে করতো না। আর আবেগ কেটে গিয়ে যখন বিবেক জাগ্রত হয় ঠিক তখনই বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

পরিশেষে বলতে চাই এই সমাজ এই দেশ সবকিছু আমার। আমার সমাজ আমার দেশ ভালো থাকলে আমি ভালো থাকবো। আর এই সমাজ ও দেশের প্রধান সম্পদ হলো এই তরুণ প্রজন্ম। তাই তরুণ প্রজন্মকে আগলে রাখার দায়িত্ব আপনার আমার সবার।

আজ আর নয় বন্ধুরা, ভালো থাকবেন সবাই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে ভাই আমাদের সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ অনেক কারনে হয়ে থাকে যেমন সঠিকভাবে ভালোবাসতে পারে না একে অপরের ভূল বুঝাবুঝি সমাধান করতে জানে না বা কেউ জেনে শুনে পরিকিয়া লিপ্ত থাকা সংসারে অশান্তি এই সব মিলিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ কারন হয়ে থাকে ৷

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে অনেক সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷

বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার বিশেষ কারণ হলো ভালোবাসার অভাব। সত্যি কথা বলেছেন আপনি আমরা এখন বুঝি না যে ভালোবাসা কি।আর যার ভিতরে ভালোবাসা নেই তার সাথে কোন ও দিন কারো সম্পর্ক থাকে না। এখন যারা ভালোবাসা দেখায় সেটা কে ভালোবাসা বলে না আবেগ বলে ।আপনার পোস্ট টি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।

আপনি একটি সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করেছেন। আসলে বর্তমান সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে যাচ্ছে যা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। আমার মনে হয় এটার মূল কারণ মানুষ ধর্ম হতে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে বিধায়। এছাড়া আরো অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে স্বামীর প্রতি অবহেলা, কম গুরুত্ব দেওয়া, মুখে মুখে তর্ক করা, স্বামীর হক সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা, ইত্যাদি।

তাই আসুন আমাদের সন্তানকে ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত করি এবং ছোটকাল থেকেই আদব কায়দা শিক্ষা দেই। এবং বড় হলে স্বামী-স্ত্রীর হক সম্পর্কিত মাসলা মাসায়েল শিক্ষা দেয় তাহলে মনে হয় এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ রক্ষা করা সম্ভব

Loading...

আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন, যা বর্তমান সময়ে অহরহ চলছে। আর এটা কে কিছুই মনে করছে না,
তবে হ্যাঁ অনেক সময় মেয়ে স্বামীর কথামতো না চলে তার বাবা-মা ভাই বোনের কথামতো চলে, ঠিক তখনই তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে তর্ক বিতর্ক হয়ে থাকে।
আর তখনই পরিবারের প্রলবণে মেয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়, কোন স্ত্রী যদি স্বামীর কথামতো চলে তাহলে আশা করি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হবে না ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ সমসাময়িক একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার কারণ অনেক গুলো আছে যা হয়তোবা আমরা সেই কারণ গুলো সারা জীবন ও ধরতে পারবো না। বহু কারণ বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার কারণ কিন্তু থাকে। কারোর অনেক বড় কারণের জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আবার কারো ছোট ছোট কারণের জন্য বিবাহ নষ্ট হয়ে যায়।

প্রথমত আমরা একটি জিনিস বেশি দেখতে পাই একটি ছেলে যখন নিজের যোগ্যতা না বুঝে বিয়ে করে ফেলে তখন তাদের সংসার অশান্তি চলে আসে তা নিয়ে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়। এবং তাদের ভেতরে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় । কারণ একটি কথা আছে পকেটে যদি টাকা না থাকে ভালোবাসা পালিয়ে যায় জানলা দরজা দিয়ে।

কিন্তু সব ভালোবাসা এক নয় অনেক মানুষ আছে হাজার কষ্ট করেও ভালোবাসার মানুষের সাথে থেকে যায় । তারা টাকা পয়সা চায় না চায় শুধু ভালোবাসা। যখন সেই ভালোবাসার মানুষটি অবহেলা করতে থাকে তখন তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অনেক সুন্দর একটি টপিক আজ আপনি আমাদের মাঝে উল্লেখ করেছেন যা দেখে অনেক ভালো লাগলো এবং অনেক কিছু শেখার আছে আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর একটি লেখা উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। এই পোস্টে আপনি বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং এর কিছু কারণও আপনি উল্লেখ করেছেন৷ আমি মনেকরি যেকোনো বিচ্ছেদের একমাত্র কারণ অসহনশীলতা৷ যার কারণে বর্তমানে এত এত বিবাহ বিচ্ছেদ। বিবাহ হচ্ছে রবের দেওয়া শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক। যে সম্পের্কর জোরে একজন নারী একজন পুরুষের সাথে আমৃত্যু একসাথে থাকে৷ তাই আমি মনে করি এমন পবিত্র সম্পর্কগুলো টিকিয়ে রাখতে আমাদের একটু সহনশীল হতে হবে।

আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে, বিবাহ বিচ্ছেদের কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। আসলে বর্তমান সময়ে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম whatsapp এই অ্যাপস গুলোর মধ্যে অতিরিক্ত ইয়াং জেনারেশন যুক্ত থাকে। কেননা তারা নিজেদেরকে নেট দুনিয়ার মধ্যে এমন ভাবে আবদ্ধ করে। চারপাশে কি হচ্ছে কেউই সেটাকে তোয়াক্কা করে না।

ফেসবুকের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে থাকে। এরপর শুরু হয় তাদের প্রেম আলাপ ওখান থেকেই শুরু হয় তাদের ভালোবাসার একটা পর্যায়। কিন্তু শেষমেশ বিয়ে হওয়ার পর অনেক সময় দেখা যায় ছয় মাস একটা সম্পর্ক টিকে থাকে না। আসলে এই ধরনের সম্পর্ক করার চাইতে না করাটাই উত্তম।

আবার অনেক সময় দেখা যায় পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কিছু মেয়ে তার অপছন্দের ছেলেকে পরিবারের কথায় বিয়ে করে নেয়। এরপর যখন শুরু হয় ঝামেলা তখন পরিবার বলে থাক এটা তোর কপালে ছিল। কিন্তু অনেক মেয়ে সেটাকে মেনে নেয় আবার অনেক মেয়ে সেটাকে মেনে নিতে পারে না। এভাবেই জীবনটা চলছে থাকে। বিবাহ বিচ্ছেদের কারণগুলো আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

বিবাহ বিচ্ছেদের পেছনে স্যোশাল মিডিয়ার ভুমিকা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। পরকীয়া আর বিন্স কারনে অবিশ্বাস দুটোই বেড়েছে এর কল্যানে। তবে আরো একটা বিষয় না উল্লেখ করেই পারছি না সেটা হলো আগে মেয়েদের ওপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার হলেও তারা ছিলো নিরুপায়।কোথাও যাওয়ার সুযোগ বা চলার উপায় ছিলো না।মুখ বুজে সব সহ্য করতেন তারা। এখন মেয়োরা সাবলম্বী হবার কারনে তারা অনেক সময় পরিস্থিতি সহ্য সীমার বাইরে চলে গেলে বিবাহবিচ্ছেদ এর দিকে এগিয়ে যায়। যা আগে ছিলো না।তবে এটাও ঠিক যে একটা মেয়ে বিয়ে টিকিয়ে রাখার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে।
সুন্দর একটা টপিক নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো

Posted using SteemPro Mobile

বিবাহ বিচ্ছেদ ছেলে-মেয়ে উভয়ের জীবনে জন্য খারাপ প্রভাব ফেলে। উপযুক্ত সময় আর নিজের অবস্থানের কথা না ভাবাই দিন দিন বেড়েই চলছে। বর্তমান সময়ের সময়োপযোগী বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

বর্তমানে সমাজে বিচ্ছেদ একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।। এটাকে মানুষ আর কঠিন ভাবে দেখে না খুবই সহজ মনে করে।।

আমি মনে করি এই মোবাইল ফোন থাকার কারণে মানুষের পরকীয়া বেড়ে গিয়েছে আর এর ফলে বিচ্ছেদ বেড়ে গেছে।।

খুবই চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন ভাই খুবই ভালো লাগলো পড়ে।।

সারা বিশ্বেই বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমাণ এখন বেড়ে গিয়েছে। এর মূল কারণ হলো স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই এখন রোজগার করে। কেউ কারোর উপর নির্ভরশীল নয়। তাছাড়া এখনকার দিনে মানুষের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তনও হয়েছে। স্বামী বা স্ত্রী কেউ কারো সাথে মানিয়ে চলতে চায় না। আর পরকীয়ার ব্যাপার তো আছেই। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

বিবাহ বিচ্ছেদ এখন একটা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। নিজের আত্মীয় সজন্দের মধ্যেও এটা দেখেছি। এছাড়া মোবাইল খুললেই দেখতে পাই। আগে একটা সময় যৌতুকের কারণে বিচ্ছেদ হতো, কিন্তু এখন বিচ্ছেদের মূলে থাকে পরকীয়া।
বিবাহ বিচ্ছেদের ব্যাপারে ধর্মীয় অনুশাসন গুলো মেনে চললে এই ব্যাধি থেকে অনেকটা হয়তো রক্ষা পাওয়া যাবে।

বর্তমান সমাজে এখন বিচ্ছেদ একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে বিচ্ছেদের কথা শুনলে আমাদের মন দূরদূর করে কাপত কিন্তু এখন বিচ্ছেদ হওয়ার কোন ব্যাপারই না মানুষের সহজ মনে করে। আর বিচ্ছেদ কারণ হলো ভালোবাসার অভাব । আর বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার বহু কারণে কিন্তু থাকে । কারো বড় বড় কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আবার কেরো ছোট একটু কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

ধন্যবাদ আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে একটু আলোচনা করেছেন থ্যাঙ্ক ইউ।

আপনি ঠিক বলেছেন এখনকার সময়ে দিবেন বিচ্ছেদ যেন খুব বেশি বেড়ে চলেছে। কেন অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়ার কারণে এমনটাই সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।

মনে হয় যেন পুতুল খেলা কিছু খেলে ব্যাগ গুছিয়ে রেখে দিলাম।। তাছাড়া বিবাহ বিচ্ছেদ ছেলেদের জন্য খুবই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আবার মনে হয় বিবাহ বিচ্ছেদ অন্য একটি কারণ হচ্ছে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে যাওয়ার কারণে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি বিষয়।

বাংলাদেশে বিচ্ছেদ এর করন গুলো মধ্যে একটা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে বুঝাপড়ার অভাব। তবে আপনি ঠিক বলেছেন বর্তমান জেনারেশন এর ছেলে মেয়েরা বেশির ভাগ কম বয়সে আবেগে পড়ে বেকার বা ছাত্র অবস্থায় বিয়ে করে। ফলে একসময় টাকার অভাব দেখা দেয় যার শেষ নিয়তি হয় বিচ্ছেদ। তবে এর পিছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দোষ রয়েছে। তবপ যদি পারিবারিক শিক্ষা ঠিক মত থাকতো তাহলে এ যুব সমাজ অনেক সচেতন হতো। ভালোবাসা তো নেই বললেই চলে।অনেক সুন্দর একটা আলোচনা করেছেন।