হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভাল আছেন ,সুস্থ আছেন ।আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আজ আমি হঠাৎ এক বন্ধুসহ মোটরসাইকেল নিয়ে অলিপুর ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে আমরা অনেক মজা এবং আড্ডা দেই। সেই আনন্দময় মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আমরা যখন বাখরের হাট থেকে ওলিপুর এর দিকে রওনা দিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে একটা ছোট্ট বাজার ছিল সেখানে একটি ঝাল মুড়ির দোকান দেখতে পেলাম ।
সেখানে আমরা সবাই মিলে ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম ঝাল মুড়িওয়ালা আমাদের অনেক পরিচিত ।
তার কাছ থেকে ২০ টাকা ঝাল মুড়ি চাইলাম। উনি অনেক সুন্দর করে ঝাল মুড়িটা বানায় দিয়েছিল ।ঝালমুড়ি খেয়ে অনেক মজা পেয়েছিলাম।
তারপর আমরা সবাই মিলে আবার উলিপুরের দিকে রওনা দিলাম। মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় অনেক ঠান্ডা বাতাস লেগেছিল।
সে ঠান্ডায় আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে অনেক ধীরগতিতে যাচ্ছিলাম । হঠাৎ দেখি একটা বৃদ্ধ লোক দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার পাশে ।সে রাস্তা পার হইতে পারছিল না। আমি মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাকে রাস্তা পার করে দিলাম ।সে বৃদ্ধ লোকটি অনেক খুশি হয়েছিল। এবং আমায় দোয়া করলো।
অবশেষে আমরা চলে এলাম উলিপুরে।
উলিপুরে গিয়ে দেখি রাস্তার পাশে একটা ছোট হালিমের দোকান। সেখানে আমরা হালিম খেতে গেলাম। হালিমের দোকানটা অনেক ছোট হলেও। তার দোকানের হালিম ছিল অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার।
হালিম খেয়ে অনেক মজা পেয়েছিলাম। তারপর হঠাৎ একটা বন্ধুর ফোন এলো তার মা অসুস্থ ওষুধ নিতে হবে। আমরা সবাই মিলে ওষুধের দোকান গেলাম এবং আমার বন্ধুর মায়ের ওষুধ নিয়ে আসতেছিলাম।
হঠাৎ একটা স্কুল জীবনের বন্ধুর সাথে দেখা ।সে বলল যে অনেকদিন পর দেখা একটু আড্ডা দিয়ে যাই। তারপর তার সাথে আমরা একটা পার্কের মোড়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম ।এবং আবারো ফুচকা ঝালমুড়ি খেলাম।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে অনেক ভালো লেগেছিল। কারণ ওরা আমাদের স্কুল জীবনের বন্ধু ।স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে অনেক মজাই লাগে।
কিন্তু তাদের সাথে আগের মত আড্ডাটা দেওয়ার হয় না ।এটাই দুঃখের বিষয়। অবশেষে আমরা উলিপুর থেকে আবার বাসার দিকে রওনা দিলাম হঠাৎ চা খাওয়ার ইচ্ছে হলে ।আমরা সবাই মিলে চায়ের দোকানে গেলাম চা খাওয়ার জন্য চায়ের দোকানে চা খেয়ে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
চা খেয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম ।বাড়ির দিকে রওনা দিতে দিতে দেখলাম একটা ভ্যান গাড়ি চালক অনেক বিপদে পড়েছে ।তার গাড়ি খালে পড়ে গেছে আমরা মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটা অনেক কষ্ট করে ঠেলে তুলে দিলাম। ভ্যান গাড়িওয়ালা অনেক খুশি হয়েছিল আমাদের উপর। আমরাও তাকে সহযোগিতা করে অনেক আনন্দ পেয়েছিলাম।
তারপর আমরা আবার মোটরসাইকেল করে রওনা দিলাম। অবশেষে অনেক মজা আড্ডা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছলাম। বাড়িতে পৌঁছে অনেক খারাপ লেগেছিল কারণ ওখানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে অনেক ভালো লেগেছিল ।সেই সময় গুলো মিস করেছিলাম।
আজকে এই পর্যন্ত,
বন্ধুরা , ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আমার এই পোস্টটা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।আবার দেখা হবে ভিন্ন কোন প্রসঙ্গ নিয়ে।
আপনার লেখা মন দিয়ে পড়তে গিয়ে দেখলাম আপনি কিন্তু বন্ধুর মায়ের ওষুধ দিতে ভুলে গেছে,হাহাহা,আসলে হয়ত লিখতে ভুলে গেছেন।ভালো থাকবেন,অনেক অনেক মজা করুন আর রাস্তা ঘটে মানুষকে সাহায্য করতে থাকুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Curated by - @ripon0630
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit