Hello Everyone,,,
কেমন আছেন সবাই..? আশা করি সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন। বিগত কিছু দিন ধরে অসুস্থ থাকার কারণে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করা সম্ভব হয়ে উঠিনি। আজ একটু সুস্থ বোদ হওয়ায় আপনাদের মাঝে চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক...
শৈশব আমাদের জীবনের সবচেয়ে মধুর একটি স্মৃতির ভান্ডার। মনে হয় আমি কালকের ছোট্ট একটা বাচ্চা, খালি পায়ে মাঠে দৌড়াচ্ছি, গাছের ডালে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু সময় কত দ্রুত চলে যায়! আজ আমি বড় হয়ে গেছি, কিন্তু শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো এখনও আমার মনে রয়ে গেছে।
শৈশবের স্মৃতি ভুলে কোনো মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। গ্রামের বাড়ির আঙিনায় আমার শৈশব কেটেছে। শৈশবের স্মৃতির কথা মনে করতেই চোখের সামনে ভেসে আসে কতনা মধুর স্মৃতি। বন্ধুদের সাথে লুকোচুরি খেলা থেকে শুরু করে, গোল্লাছুট, মারবেল খেলা,কুতকুত খেলা, দড়ি টানা খেলা, সাতধাপ্পা, চোর-পুলিশ খেলা, খেলার মতো হাজারো মজার সব খেলার স্মৃতি।
বাড়ির পেছনের বাগানে গাছের ডালে বসে পাখিদের গান শুনে, বন্ধুদের সাথে লুকোচুরি খেলে আমার বেশির ভাগ দিন কাটত। বর্ষার দিনে কাদা মাখামাখি করে ছোট্ট নৌকা বানিয়ে পুকুরে ভাসাতাম। আর সন্ধ্যার সময় এসে ঠাকুরমার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতাম।
শৈশবের সবচেয়ে মজার একটি অংশ ছিল দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার সময় নতুন জামা কাপড় পরে, বিভিন্ন জায়গায় পূজা দেখে, মিষ্টি খেয়ে, আত্মীয়স্বজনের বাড়ি ঘুরে আমরা খুব আনন্দ করতাম।
শৈশবের দিনগুলো ছিল খুবই সহজ সরল। কোনো চিন্তা, কোনো দুশ্চিন্তা ছিল না। আমরা খুব স্বাধীনভাবে বেড়াতাম। কিন্তু আজকের বাচ্চারা এত স্বাধীন নয়। তারা মোবাইল আর কম্পিউটারের জগতে হারিয়ে গেছে। এখন বাচ্চারা সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ মুছতে মুছতে গিয়ে বাবা কিংবা মার ফোন ধরে। এরপর শুরু হয় গেম খেলা, নয়তো কার্টুন দেখা।
আমাদের শৈশব বেলায় আমরা তেমন একটা ফোন হাতে পাইনি। এখন যে রকম ক্লাস সিক্স সেভেনে পড়া ছেলেমেয়েদের হাতে নিজস্ব টাচ ফোন থাকে। স্কুলে গিয়ে যখনই একটু সময় সুযোগ পায়, তখনই ফোন নিয়ে শুরু করে দেয় গেম খেলা কিংবা ভিডিও দেখা।
শৈশবের স্মৃতি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এটা আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে জীবনটা কত সুন্দর এবং কত মধুর। এই স্মৃতিগুলো আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে। আমি চাই এই স্মৃতিগুলো সারাজীবন আমার সাথে থাকুক।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টে শৈশবের স্মৃতি ছবিগুলো দেখে নিজের ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরাও নিজেরা কত রকম খেলা করে বেরিয়েছি। তা ঠিক নেই। ছোটবেলায় কাদামাটি নিয়ে খেলা করার মজাই ছিল আলাদা। তবে এখন বর্তমানে দাঁড়িয়ে সেই ছেলেবেলার সঙ্গী গুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। যে যার কাজে ,সংসারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পিছন ফিরে তাকালে ছেলেবেলার অনেক স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তবে দুর্গাপূজা নিয়ে কিছু বলার নেই। বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা আমরা যে পূজা আসার আগে থেকে কত কিছু ঠিক করে রাখতাম তার ঠিক নেই। আর দুর্গা পূজার পরে নাড়ু আর নিমকি খাওয়া এটার কথা মনে পড়লে এখন নিজেরই লজ্জা লাগে। যাই হোক ছেলেবেলার ঘটনা শেয়ার করতে গেলে আমারই একটা পুরো পোস্ট লেখা হয়ে যাবে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি ঠিক বলিছেন, ছোট বেলার সাথীরা এখন যে যার কাজে ব্যাস্ত হয়ে গেছে। এখন কেউ আর যোগাযোগ রাখে না, আগের মত আড্ডা দেওয়া হয় না। আসলেই দুর্গাপূজা নিয়ে কিছু বলার নেই। কারণ দুর্গাপূজা মানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এক মহা আনন্দ উৎসব।
দুর্গাপূজার পর নাড়ু আর নিমকি খাওয়ার কথা আসলেই ভোলার মত নয়। ছোট বেলার কথা আসলেই লিখতে বসলে শেষ হয় না। চোখের সামনে ছোট বেলার এক এক দৃশ্য এসে ভেসে পড়ে।
যাই হোক, আপনি আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং এতো সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই তোর পোস্টটি পড়ে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। কতই না সুন্দর ছিল আমাদের শৈশব জীবনটা। বন্ধুদের সাথে একসাথে ফুটবল,ক্রিকেট, মার্বেল, গোল্লাছুট আরো কত খেলা একসাথে খেলা হতো। এখন শৈশবের কথা মনে পড়লে আবারো শৈশবে ফিরে যেতে ইচ্ছা হয়।তবে তুই হয়তো ঠিক কথাই বলেছির বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েরা আগের কালের মত বন্ধু-বান্ধবদের সাথে খেলাধুলা না করে ঘরে বসেই মোবাইল ফোন, কম্পিউটারে গেমস খেলে।
তোকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শৈশবের খেলা ধুলা গুলো হয়তো এখন আর নেই কিন্তু শৈশবের স্মৃতি এখনো আমাদের মনের কোনো এক কোনায় গেথে আছে। শৈশব কাল মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ কাল। এই সময় না থাকে কোন চিন্তা ভাবনা না থাকে কোন কাজের চাপ।
যাই হোক, তুই তোর মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়েছির এবং এতো সুন্দর একটি কমেন্ট করেছির তার জন্য ধন্যবাদ। সব সময় ভালো থাক এবং এই ভাবে কমেন্ট করতে থাক এই কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শৈশবের মধুর স্মৃতিগুলো যেন সব সময় মনকে ছুঁয়ে যায়। আপনার লেখা পড়ে নিজের শৈশবের দিনগুলো মনে পড়ে গেল। খেলার মাঠ, বর্ষার নৌকা, আর ঠাকুমার গল্প, বর্তমানের শিশুদের সঙ্গে শৈশবের এই পার্থক্যটা সত্যিই চোখে লাগে। খুব সুন্দরভাবে স্মৃতির কথা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সেই সোনালি দিনগুলোতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শৈশবের স্মৃতি আমাদের জন্য খুবই মূল্যবান কিছু মুহূর্ত যেগুলো আমরা সহজে ভুলে থাকতে পারি না আর যখনই শৈশবের কোন জিনিস আমরা দেখতে পাই তখন ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে সেটা চাইলেও আমরা কখনোই ফিরিয়ে আনতে পারব না আর একটা কথা অবশ্যই আমাদের সবাইকে অনেক বেশি কষ্ট দেয় যে সময়টা আমরা পার করেছি সেটা আমাদের জন্য কতটা মূল্যবান ছিল ধন্যবাদ শৈশবকে ঘিরে আপনার লেখা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার আজকের পোস্ট দেখে আমার শৈশবের কথা খুবই মনে পড়ছে কত আনন্দের সাথে সময় গুলো পার করেছি।। আপনাদের শৈশবের সময় সবচাইতে আনন্দের মুহূর্ত ছিল দুর্গাপূজা আর আমাদের ছিল ঈদুল আযহা যেখানে আমরা গরু কুরবানী দিতাম।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit