"মেয়েদের জীবন.........."

in hive-120823 •  8 days ago 
IMG_20250205_163917_056.jpg

আবেগ বড়ই খারাপ একটা জিনিস কারো প্রতি আবেগ বশীভূত হয়ে মায়া জন্ম গ্রহণ করে। যার কারণে আমরা চাইলেও একটা মানুষকে খুব সহজে নিজেদের কাছ থেকে সরিয়ে দিতে পারি না। আমরা যখন একটা মানুষকে অনেক বেশি প্রিয় মনে করি। তখন তার প্রতি আমাদের আবেগ কাজ করে আর মায়া জন্ম গ্রহণ করে। মায়া এমন একটা জিনিস কারো প্রতি একবার জন্মালে তার কাছ থেকে দূরে সরে থাকতে, আপনার অনেকটা সময় লাগবে বা তাকে ভুলে যেতে অনেকটা সময় লাগবে। আবেগ দিয়ে এই পৃথিবী কখনোই চলে না।

আমি বড়ই অদ্ভুত ধরনের মানুষ। কেউ একটু হেসে কথা বললেই তার সাথে অনেক ভালোভাবে মিশে যাই। নিজের মনের অনুভূতি তার সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। তার কষ্টগুলো দূর করার চেষ্টা করি, কিন্তু দিনশেষে যতটুকু বুঝতে পেরেছি আমি মানুষের সাথে যত বেশি মিশেছি। মানুষ তত বেশি আমাকে ঠকিয়েছে। তাতেও আমার কোন আফসোস নেই। কেন জানেন কারণ আমি কখনো কাউকে ঠকাইনি, আমি বিশ্বাস করি যারা আমাকে ঠকিয়েছে, যারা আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। আমার উপরে যিনি আছেন তিনি সবকিছুই দেখছেন, এর বিচার একদিন তিনি অবশ্যই করবেন।

IMG_20250206_164521_272.jpg

আমাদের মেয়েদের ক্ষেত্রে আমার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক কিছুই করি। সম্পর্ক যেন ঠিক থাকে সেজন্য সবকিছু মেনে নিই, কিন্তু মেনে নিতে আর মানিয়ে নিতেই আমাদের জীবন চলে যায়। আমাদের মনের অনুভূতি আমরা কেমন আছি এসব কিছু কেউ কখনোই জানতে চায় না। আর কখনো চাইবে বলে আমার মনে হয় না। এমন কিছু ফ্যামিলি আছে যারা কিনা চেষ্টা করে, তাদের ছেলের বউকে নিজেদের মেয়েদের মতো করে রাখতে। সেই ফ্যামিলির মধ্যে যদি কোন মেয়ে বউ হিসেবে যায়। আমি মনে করি সেটা তার ভাগ্যের কারণে গিয়েছে, কারণ বর্তমান সময়ে এমন ফ্যামিলি খুব কম দেখা যায়।

IMG_20250127_164841_994.jpg

তারপরেও আমরা মেয়েরা কতটা অদ্ভুত। সবকিছু গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টায় প্রতিনিয়ত ব্যস্ত থাকি। ফ্যামিলির প্রতিটা সদস্যের ভালো মন্দের কথা চিন্তা করি, তারা কখন কি করবে কখন কি খাবে এই নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকি। নিজেকে সময় দেয়ার মত সময় আমাদের কাছে থাকে না। সবার আবদার পূরণ করতে করতে আমরা নিজেদের আবদার এর কথা ভুলে যাই। মাঝে মাঝে তো দেখা যায় সবার সবকিছু গুছিয়ে নেয়ার পর, নিজের জন্য যে কিছু সময় বের করব। সেই সময়টা যেন আর হয়ে ওঠে না। অনেক পরিমাণে ক্লান্তি ঘিরে ধরে কখন ঘুমিয়ে পড়ি সেটা নিজেও জানিনা।

কোন মেয়ে আজ পর্যন্ত তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে কোন কাজ শিখে গেছে বিয়ের আগে, এটা আমার মনে হয় না। পরিস্থিতির কারণে মেয়েরা অনেক কিছুই শিখে নেয়। কিন্তু তারপরেও শ্বশুরবাড়িতে তাকে অনেক কথা শুনতে হয়। তাকে শুনতে হয় বাবার বাড়িতে কি কোন কাজ করে আসনি, কোন কাজ শিখে আসো নি। আসলে বাবার বাড়িতে তো মায়ের কাছে মেয়েরা হচ্ছে রাজকন্যা বাবার কাছে রাজকন্যা। তারা তো চায় না তাদের রাজকন্যা কোন ধরনের কোন কাজ করুক। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে তো আর এটা কখনোই মেনে নেবে না।

IMG_20250201_130605.jpg

এক্ষেত্রে আমি সবার কথা বলবো না, কিছু কিছু ফ্যামিলি আছে তারা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছু কিছু ফ্যামিলি আছে এই বিষয় গুলোকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বাড়ির মানুষ পাড়া-প্রতিবেশী সবাইকে জানানোর চেষ্টা করে। আমার মনে হয় আপনি যদি একটু মেনে নিতেন আর একটু বুঝে নিতেন। তাহলে হয়তোবা সবকিছুই ঠিক থাকতো, কিন্তু আপনি সেটাকে সবাইকে জানান দিয়েছেন, সবাইকে আর একরকম নয়। বাস্তবতা কঠিন সবকিছু মেনে নিতে আর মানিয়ে নিতে গেলে জীবন শেষ। তাই আমি মনে করি নিজের ব্যক্তিত্ব নিজের পরিচয় বহন করে এমন কিছু করুন। দিন শেষে অন্তত বলতে পারবেন আমিও কিছু করেছি।

ছবিগুলো পূর্বে ব্যবহৃত হয়েছে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

TEAM 5 :
Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

Application for community curator for February 2025 (8.5 x 3 cm)_20250130_064622_0000.png

Curated By @memamun

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। আপনাদের সাপোর্ট আমাদেরকে নতুন করে কাজ করার উৎসাহ জাগিয়ে তোলে।

এই পোস্টটি খুবই হৃদয়গ্রাহী এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতাগুলি তুলে ধরেছে আপনে। এই পোস্টের মধ্যে, মেয়েদের প্রতি প্রত্যাশা, আত্মসম্মান এবং পারিবারিক সম্পর্কের সমন্বয় নিয়ে চিন্তা করছেন, যা বেশিরভাগ মানুষই অনুভব করে। বিশেষ করে, মেয়েরা নিজের মন এবং অনুভূতির প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব না দিয়ে অন্যদের সন্তুষ্টি এবং ভালোবাসা পাওয়ার জন্য নিজের আবেগকে লুকিয়ে রাখে। বাস্তব বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ,আল্লাহ হাফেজ।

যদি কখনো সময় হয় তাহলে আপনার মায়ের কাছে বিষয়গুলো একবার জানার চেষ্টা করবেন আপনার মায়ের জীবনটাকে একটু সামনে তুলে ধরবেন তখন দেখবেন আপনার মা আপনার বোন শুধুমাত্র নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে নিজের অনেক চাওয়া পাওয়া বিলীন করে দিয়েছেন মেয়েরা খুব শান্ত হয়ে থাকতে পছন্দ করে তবে সব মেয়েরা নয় কিছু ফ্যামিলি মেয়েদেরকে খুব ভালবাসতে জানে আবার সব ফ্যামিলি নয় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

Loading...

Excelente reflexion querida amiga, la vida de ustedes las mujeres es dificil de llevar, son continuamente juzgadas cuando hacen o no las cosas, me parecio interesante esa situacion y es que nunca me habia puesto a pensar en ello, muchas mujeres son tachadas de inexpertas por sus suegros cuando no saben hacer un labor, pero estos nunca han pensado en el transfondo de la situacion, asi como tu lo dices los padres tratan a sus hijas como princesas.

আমরা কিছু করি বা না করি আমাদের বিচার সবার আগে করা হয়ে থাকে আমাদেরকে সবার আগে দোষারোপ করা হয়ে থাকে কিন্তু দিন শেষে যে আমরাও পরিবারের জন্য কিছু করি পরিবারের ভালো থাকার জন্য নিজেদের সুখ শান্তি চাওয়া পাওয়ার সবকিছু ত্যাগ করি এটা অনেকেই বুঝতে চায় না আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্ট পরিদর্শন করে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবে।

পৃথিবীতে আজ হাজারো মেয়ে আছে যারা একটা সংসার বা একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক কিছু সেক্রিফাইস করে।। আবার এমনও দেখা যায় অনেক মেয়ে তারা কিনা সংসার না করার জন্য অনেক কিছু করে থাকে।।

আসলে প্রিয় মানুষগুলোর প্রতি একটা অন্যরকম মায়া সৃষ্টি হয় যে মায়া চাইলেও আরো ভোলা যায় না।।

আপনার পোস্টটি অনেক গভীর এবং হৃদয়স্পর্শী। মেয়েদের জীবনের বাস্তবতা এবং তাদের মানসিক অবস্থা আপনি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। সত্যি আমাদের সমাজে মেয়েরা অনেক সময় নিজেদের অনুভূতিকে উপেক্ষা করে অন্যদের কথা ভাবতে থাকে, নিজের পরিচয় এবং ব্যক্তিত্বের মূল্য বুঝে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আপনার অভিজ্ঞতা থেকে শিখে আমি মনে করি জীবনে নিজের জন্য কিছু সময় বের করা এবং নিজের ইচ্ছার প্রতি সম্মান রাখা উচিত।

আমাদের ব্যক্তিত্বের মূল্যবোধ কেউ বুঝবে না কেউ বুঝলেও আমরা সেটাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি না মানসিক ভাবে আমরা যতটা ভেঙ্গে পড়ি কেউ আমাদের ভেঙ্গে পড়া থাকে গুরুত্ব দেয় না নিজেদের গুরুত্ব নিজেদেরকেই দিতে হয় নিজের ইচ্ছা নিজের প্রতি সম্মান নিজের ভালোবাসা সব কিছু নিজেকেই করতে হয় তাই আমি মনে করি দিন শেষে নিজের জন্য কিছু করুন। অন্ততপক্ষে নিজের জন্য বেঁচে থাকুন।