বাস্তবতা বড়ই কঠিন যত মানিয়ে নিতে এবং মেনে নেয়ার চেষ্টা করবেন ততই কিন্তু মানুষ আপনাকে পেয়ে বসবে। তাই আমার মনে হয় নিজের কাছ থেকে নিজেও কিছুটা কঠোর হওয়া প্রয়োজন, কারণ আপনি যদি কঠোর হতে পারেন আপনিও দিনশেষে ভালো থাকতে পারবেন। তবে কতটা ভালো থাকতে পারবেন জানিনা, তবে উপর ওয়ালার উপর ভরসা রাখুন অবশ্যই তিনি আপনাকে ভালো রাখবে এবং সুস্থ রাখবে। বাস্তব কিছু কথা নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে হাজির হয়েছি। আশা করি কথাগুলো ভাল লাগবে এবং আপনাদের জীবনের সাথে কিছুটা হলেও মিল খাবে।
কিছু মানুষ যখন আমাদের কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। তখন তাদের কথাগুলো এতটাই ভালো লাগে যে তাদেরকে টাকা ধার দিতেও ভালো লাগে, কিন্তু ধারের টাকা যখন চাওয়া হয়। তখন তাদের মুখটা একেবারেই কালো হয়ে যায়। সে বলতে থাকে আজকে না হয় কালকে দেব, এই বিষয়টা নিয়ে দুজনের মধ্যে শুরু হয় সমস্যা আর তখন নিজের কাছে মনে হয়, তার টাকাটা মনে হয় ছিল অনেক ভালই, আমার টাকাটা মনে হয় ছিল কালো। তাই সে আমার সাথে এমন করছে।
একজন মানুষ দেখতে ফেরেশতার মত কিন্তু তার মধ্যে রয়েছে জঘন্য কিছু স্বভাব, চাইলেই কিন্তু সে স্বভাব খুব সহজে দূর করতে পারে না। কারণ মানুষের অভাবে হয় স্বভাব নষ্ট আর স্বভাবের কারণে মানুষের কাছে এবং মানুষের সাথে সম্পর্ক হয় খুব দ্রুত নষ্ট। অন্যের উপকার করতে গিয়ে কিছু মানুষ নিজের মুখে খায় লাথি। নিজের বিপদের সময় কেউ থাকেনা সাথী এটাই বাস্তব।
কিছু কিছু মানুষের ঘরের বউয়ের আবদার থাকে অনেক, কিন্তু যদি সামর্থ্য থাকে তার অল্প। তাহলে কি করে সে পূরণ করবে তার বউয়ের সাজানো গোছানো গল্প। কিছু মানুষ মন দেখেনা দেখে শুধু রূপ, তাই ওই রূপের আগুনে তাকে জ্বলতে হবে সারা জীবন থাকতে হবে, কিন্তু ভাই আপনার বউ যদি ভাল হয় আমার কথা হচ্ছে সে থাকনা একটু কালো। কারণ তাই তো মনীষীরা বলে গেছে, "জাতের মেয়ে কালো ভালো, নদীর পানি কিন্তু ঘোলাও ভালো।"
আর তাইতো আমার কাছে মনে হয় দেখে শুনে ভালো ঘরে বিয়ে করানো উত্তম। কেননা আপনি যদি ভালো ঘরের কোন একটা মেয়ে নিয়ে আসেন, তাহলে কিন্তু আপনার পরিবার থাকবে শান্তিতে আর বর্তমান সময়ে প্রতিটা মানুষ ভালো থাকতে চায় আর ভালো থাকার জন্যই মানুষ কিন্তু প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে, আর এই চেষ্টায় আপনার এবং আপনার পরিবারকে সুন্দর একটা জীবন দান করতে পারে।
কারো উপকার করার আগে এখন দশ বার চিন্তা করি। কেননা পরবর্তী সময় কি হবে কি হতে পারে এটা নিয়ে যদি আমরা বারবার চিন্তা না, করি তাহলে কিন্তু দিনশেষে আমাদেরকেই বিপদে পড়তে হয়। কারণ বর্তমান সময়ের মানুষ নিজেদেরকে অনেক বেশি চালাক মনে করে। তবে তারা এটা ভুলে যায় সৃষ্টিকর্তা সবকিছু দেখতে পান। আমার জীবনের সাথে অনেক কিছুই ঘটে গেছে, তাতে আমি কখনোই কিছু মনে করি না। আমি মনে করি উপরে যিনি আছেন তিনি সব কিছুর বিচার করবেন।
@rubina203 প্রথমেই দুঃখিত আপনি জীবন দর্শনের কোন দিকটি তুলে ধরতে চেয়েছেন সেটা আমার কাছে সুস্পষ্ট নয়!
যদি ধরে নি আপনি একজন আদর্শ মানুষের সংজ্ঞা কি? সেটা বোঝাতে চেয়েছেন তাহলে বলবো, আপনার লেখনীতে সেটা নিয়ে খুব কম বিষয় উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন।
যদি আপনি জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করবার প্রয়াস করে থাকেন, তাহলে বলবো সেক্ষেত্রে আমরা যদি অন্যের থেকে প্রত্যাশার পরিবর্তে নিজেদেরকে উন্নত করবার প্রয়াসে সামিল হই তাহলে এমনিতেই সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব।
এবার বলি সংসার জীবনের ক্ষেত্রে অথবা পারিবারিক শিক্ষা কিংবা স্বভাব যেটার উল্লেখ আপনি লেখায় করেছেন সেই বিষয়ে তাহলে জানবেন, প্রবাদে আছে, স্বভাব যায় না মলে, আর ইজ্জত যায় না ধুলে!
তাই সেই প্রত্যাশা প্রয়াস সম্পূর্ণটাই বৃথা একটা সময়ের পরে।
এখন এই যে মেনে আর মানিয়ে নেবার কথা আপনি উল্লেখ করেছেন, এটা খানিক ব্যক্তিত্বের উপরে নির্ভরশীল।
কেউ কেউ আছেন যারা মেনে নেওয়া এবং মানিয়ে নেওয়াকে বুদ্ধিমত্তায় সামিল মনে করেন, আবার কেউ নিজের অস্তিত্ব কোনো মূল্যেই বিসর্জন দিতে নারাজ।
এবার এই দুপক্ষের ব্যক্তিত্বকে কে কিভাবে নেবেন, কে কোনটা গ্রহণ আর বর্জন করবেন, সেটা একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
তবে, দিনশেষে কোনো কারণেই নিজের চোখে ছোটো হওয়া যাবে না, তাহলে বোধহয় সৃষ্টিকর্তাও সাথ ছেড়ে দেবেন, এমনটা আমি মেনে চলি।
তবে, ব্যাক্তি বিশেষে আমরা পৃথক তাই অনেকেই এটাকে অনেকরকম ভাবে অথবা ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতে পারেন, তবে তাতে আমার বিশেষ কিছুই যায় আসে না, আর এটাই আমি আর আমার ব্যক্তিত্ব যেখানে আত্মসম্মান সর্বোপরি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ম্যাম লেখা শুরু করেছিলাম একভাবে শেষ করেছিলাম অন্যভাবে। যেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আসলে জীবনের প্রতিটা সময় প্রতিটা ব্যক্তি তার নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।আপনি বেশ কিছু বিষয় আমাকে অবগত করেছেন ধন্যবাদ অবশ্যই বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit