"কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা খাওয়ার আনন্দঘন মুহূর্ত"

in hive-120823 •  last year 
Picsart_23-12-14_14-52-08-116.jpg

আনন্দ মানুষের জীবনে হঠাৎ করেই আসে। গতকাল ঘুম থেকে উঠে মায়ের সাথে নাস্তা বানানোর কাজে হাত লাগিয়ে ছিলাম। এরপর রান্না করতে করতে প্রায় দশটা বেজে গেল। হঠাৎ করেই আমার বড় ভাই এসে বলল ওর আজকে কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা খেতে মন চাচ্ছে। ও আমাদের বাড়ির একটা ছোট ভাইকে নিয়ে কাঁঠালের মুচি এবং কামরাঙ্গা পেড়ে নিয়ে এসেছে। আমার কাছে এসে বলছে, ওকে এটাকে ভর্তা তৈরি করে দেয়ার জন্য।

কি আর করা আমি সবকিছুকে ধুয়ে প্রথমত পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর সালাতের মেশিন দিয়ে কাঁঠালের মুচি একদম মিহি করে কুচি করে নিয়েছে। এরপর কামরাঙ্গা টাকে আমি বটনির নিয়ে সাহায্যে কুচি করে নিয়েছি।
সবকিছু কুচি করতে গিয়ে আমি রোদের মধ্যে একটু বসেছি। কেননা আমার কাছে খুব ঠান্ডা লাগছিল, ওমা আমি সামনে তাকিয়ে দেখি সবাই এসে উপস্থিত।

IMG_20231214_145116_543.jpg
IMG_20231214_145116_649.jpg
IMG_20231214_145116_195.jpg

যাক সবকিছু রেডি হয়ে গেলে, আমি তার সাথে লবণ মরিচ এবং আচার দিয়ে দিয়েছি। এরপর হাত দিয়ে যতটুকু সম্ভব চটকে নিয়েছি। কারণ যত বেশি চটকানো যাবে তত বেশি মজা হবে।

IMG_20231214_145116_158.jpg
IMG_20231214_145116_596.jpg

সবাই মিলে বেশ মজা করেই খাওয়া শুরু করলো। এত পরিমাণে ঝাল হয়েছে যেটা বলে বোঝাতে পারবো না। সবাই আনন্দ করতে করতে মোটামুটি কাঁঠালের মুচি এবং কামাঙ্গা ভর্তা শেষ করে ফেলেছে। এরপর সবাই মিলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে, বেশ ভালই লাগলো কালকের দুপুরটা।

এবার চলুন আমি আপনাদের সাথে কচি কাঁঠালের গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করি। কেননা কচি কাঁঠালের মুচি খাওয়ার মধ্যেও কিছু উপকারিতা রয়েছে।

কাঁঠালের মুচির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা আমাদের মাথার চুল ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যারা অতিরিক্ত মাথার চুল ঝরা নিয়ে টেনশনে আছেন। তারা চাইলে প্রচুর পরিমাণে কাঁঠালের মুচি খেতে পারেন। বর্তমান সময়ে কাঁঠালের মুচি প্রত্যেকটা জায়গায় পাওয়া যায়।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের কিনা পেটের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা থাকে। বিশেষ করে সব সময় বলে যে পেটব্যথা করে। তারা চাইলে কাঁঠালের মুচি দিয়ে ভর্তা অথবা তরকারি বানিয়ে খেতে পারে। এতে করে তাদের যে পেটের সমস্যা রয়েছে, সেটা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

IMG_20231214_145121_602.jpg
IMG_20231214_145116_218.jpg
IMG_20231214_145116_407.jpg
IMG_20231214_145115_854.jpg

কাঁঠালের মুচি সম্পর্কে রিসার্চ করতে গিয়ে আমি এটাও জানতে পেরেছি যে, কাঁঠালের মুচি খেলে নাকি বয়সের যে ছাপ রয়েছে সেটা অনেকটা দূর হয়ে যায়। অনেকের টেনশন থাকে যে বয়স হয়ে গেছে মুখের মধ্যে একটা ছাপ পড়ে গেছে। তারা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে কচি কাঁঠালের মুচি খেতে পারে। তাহলে কিন্তু তাদের এই সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পেতে পারে।

কাঁঠালের মুচি শুধু ভর্তা নয়, এটা দিয়ে তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। আবার অনেকেই হালুয়া হিসেবে খেয়ে থাকে। আবার অনেকেই দেখা যায় কাঁঠালের মুচি রোদে শুকিয়ে, সেটা দিয়ে গুঁড়ি তৈরি করে এবং সেটা সকালের শরবত হিসেবে খেয়ে থাকে। এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমি আসলে কাঁঠালের গুনাগুন সম্পর্কে এত কিছু জানতাম না। বিশেষ করে কচি কাঁঠালের মধ্যে এত পুষ্টিগুণ রয়েছে, সেটা আমার মোটেও জানা ছিল না। আবার দেখা যায় যাদের শরীরের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত অবস্থায় থাকে। তারা চাইলে কাঁঠালের কচি মুচি দিয়ে রোদে শুকিয়ে। সেটাকে শিল পাটার মধ্যে বেঁটে ওই জায়গার মধ্যে লাগিয়ে দিতে পারে। এতে করে তাদের ক্ষতস্থান অনেকটাই ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমি এই বিষয়টা নেটে সার্চ করে জানতে পারলাম। অবশ্যই কোন কিছু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অনেক বেশি জরুরী।

কালকের মুহূর্তটা ছিল অসাধারণ, সকালবেলা সূর্য ওঠেনি, একটু পর দেখলাম সূর্য মামা দেখা দিয়েছে। রোদের মধ্যে বসে কাঁঠালের মুচি ভর্তা তৈরি করেছি এবং সবাই মিলে অনেক মজা করে খেয়েছি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন। সবার সুস্থতা কামনা করছি ভালো থাকুন।

meraindia

কমিউনিটির জন্য ১০% বেনিফিশিয়ারি


png_20230827_214431_0000.png


The official accounts of the Incredible India community

Discord | Twitter | Telegram | Instagram


Htq.gif


20230831_233618_0000.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দারুন একটি লোভনীয় পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।মেয়েরা বরাবরি টকের প্রতি আমি অনেকটাই দুর্বল ।আর আপনার পোস্টটি দেখে আমারও খুব সাধ হচ্ছে এভাবে বানিয়ে খাবার কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো কামরাঙ্গা কিনতে পাওয়া গেল কাঁঠালের মুচি কিনতে পাওয়া যায় না। তাই এটি আমাদের করে খাওয়া হয় না।

ছোটবেলায় মামা বাড়িতে খেয়েছিলাম । অনেক বছর হল কাঁঠালের মুচি ভর্তা খেয়েছিলাম কিন্তু কামরাঙ্গা দিয়ে যে মুছে ভর্তা খাওয়া যায় আজকে জানতে পারলাম।

খাবারটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে । এঁচোড়ের সবজি রান্না করা হয় এবং আমিও রান্না করি কিন্তু কখনো ছোট্ট মুচি এভাবে রান্না করিনি এবং কিভাবে রান্না করতে হয় তাও জানিনা ।তো এটি কিভাবে রান্না করতে হয় সেই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন ।

আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।নতুন পোষ্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ।

যদি অনেক বেশি ইচ্ছে করে তাহলে আপনার এই আমাকে বিকাশ নাম্বার পাঠিয়ে দেন।😜 আমি আপনাকে পাঠালে মুচি পাঠিয়ে দেবো বিকাশ করে।🤗 বিষয়টা কিন্তু মজা করার জন্য বললাম। আসলে এই মুহূর্তগুলো জীবনে হঠাৎ করেই আসে। আর কাঁঠালের মুচির ভর্তা অনেক বেশি মজার। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

ওরে বাবা! আপনি তো জিভে পানি এনে দিলেন আপু। এখনই ঢাকা শহরে কাঁঠালের মুচি কোথায় পাই? সেই ছোটবেলায় যে কাঁঠালের মুচির ভর্তা খেতাম বড় হওয়ার পর আর কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি যে লোভনীয় ভাবে ভর্তা বানালেন তা দেখে সত্যি আমি চমকৃত হলাম। আর কাঁঠালের মুচি যে এত উপকারিতা এটাতো আমার জানাই ছিল না। এবার নিশ্চয়ই আপনি কাঁঠালের মুচি খেয়ে স্কিনকে একদম জ্বলজ্বলে বানিয়ে ফেলবেন। ভিডিও কলে আপনাকে দেখতে হবে। যাইহোক কাঁঠালের মুচি দিয়ে ভর্তা বানিয়ে আপনারা সকলে একটি চমৎকার সময় উপভোগ করেছেন। খুব ভালো লাগলো আপনার এই অভিজ্ঞতার গল্পটুকু পড়ে।

আসলে যখন গ্রামে আসবেন তখন অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা আপনি ছোটবেলায় ও এই কাঁঠালের মুচির ভর্তা খেয়েছেন। বিশেষ করে আমরা যারা গ্রামে এবং নোয়াখালীতে আছি। তারা কিন্তু এটা খুব বড় একটা ভক্ত। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা কিভাবে করে তা আজকে আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম ৷ তাছাড়াও এই ভাবে কখনও খাওয়া হয় নি তবে আপনারা বেশ মজা করে খেয়েছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো ৷

আপনাদের মত আমিও একদিন ট্রাই করে দেখবো কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা কতটা টেষ্টি হতে পারে ৷

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন ৷

অবশ্যই ট্রাই করবেন। আর যত দ্রুত সম্ভব একবার খেয়ে দেখবেন। যখন এটার স্বাদ একবার গ্রহণ করবেন। তখন বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য

Loading...

আপনার কাঠাল মুচি,কামরাংগার ছবি দেখেই তো জিভে জল চলে আসার উপক্রম। কাঠালের মুচি দিয়ে এত সুন্দর ভরতা খাওয়া যায় এটা আমার কল্পনাতেও ছিল না। আমি এবার গ্রামে গেলে অবশ্যই এটা ট্রাই করবো। মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে।

ধন্যবাদ একদম নতুন একটা খাবার সম্পর্কে জানতে পারলাম।

আসলেই কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গার ভর্তা অসাধারণ। যদি কখনো সুযোগ পেয়ে থাকেন অবশ্যই এর স্বাদ গ্রহণ করবেন। আর অনেক বেশি ঝাল দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

আপনি আজ অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করলেন। কাঁঠালের মুচি ভর্তা খেয়েছি কিন্তু কখনো কামরাঙ্গা দিয়ে খাইনি। কাঁঠালের মুচির ভর্তাটা তো দেখে জিভে পানি এসে গেল আর ধরে রাখা গেলইনা। আর মুচি যে এত উপকারিতা এটা একদম জানাই ছিল না। কাঁঠালের মুচি খেলে এই স্কিনকে একদম জ্বলজ্বলে বানিয়ে দেয় যেটা আপনি বলেন। আপনার পোস্টটি অসাধারণ হলো।

থ্যাংক ইউ খুব লোভনীয় একটি পোস্ট শেয়ার করলেন।

অবশ্যই কামরাঙ্গার সাথে কাঁঠালের মুচি দিয়ে ভর্তা তৈরি করে খাবেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে, ওটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করিনি। তবে নেটে সার্চ করলে আরো জানতে পারবেন। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

আমি কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা কোনদিনও খেয়ে দেখিনি। আমি কামরাঙ্গা পাকা অবস্থায় খেয়েছি বা কাঁচা অবস্থায় খেয়েছি কিন্তু ভর্তা বানিয়ে যে খাওয়া যায়, এই ব্যাপারে আমার কোনও ধারনাই ছিল না। কামরাঙ্গা ভর্তার ছবি দেখে তো আমার জিভে জল চলে এলো। আপনি আপনার পোস্টে আবার কাঁঠালের মুচির গুনাগুন সম্বন্ধেও লিখেছেন। এগুলো আমার জানা ছিলো না। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আসলে অবশ্যই নতুন কিছু খাবার ট্রাই করবেন। আর যখন খাবারটা গ্রহণ করবেন তখন তার স্বাদ বুঝতে পারবেন। অবশ্যই কাঁঠালের বিচির অনেক গুনাগুন রয়েছে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

কাঠালের মুচি যে খাওয়া যায় এটা জেনেছিলাম আমার ন এক বন্ধুর কাছে।ওর বাসায় যেয়েই প্রথমবার খেয়েছিলাম কাঠালের মুচি দিয়ে তেতুল মাথা । আর অন্য কোনভাবে খাওয়া যায় এটা জানা ছিলো না আমার। এমনকি এই কামরাঙ্গা দিয়ে খাওয়ার কথাও আনি প্রথমবারই আজকে জানতে পারলাম।
কাঠালের গুনাগুন আমার জানা ছিলো কিন্তু এর মুচি সম্পর্কে আমাকে অজ্ঞই বলা চলে। ধন্যবাদ আপনাকে এই মুচি সম্পর্কে এত সুন্দর একটা রেসেপি ও এত তথ্যাবলী আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে কাঁঠালের মুচি দিয়ে তেঁতুল মাখা আমরাও খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা ঐদিন নতুন একটা খাবার ট্রাই করার চেষ্টা করছিলাম। তাই কাঁঠালের মুচির সাথে কামরাঙ্গা এবং আমের আচার ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে খুব সহজেই কিন্তু এই কাঁঠালের মতই ভর্তা তৈরি করে খেতে পারেন। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

কখনো এমনভাবে ভর্তা খাওয়া হয়নি। তবে দেখে বেশ ভালই মনে হচ্ছে। নতুন একটি ভর্তা রেসিপি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

অবশ্যই একবার হলেও ট্রাই করবেন। এটার স্বাদ এত বেশি যেটা আমি আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। আর এটার মধ্যে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

এটা ঠিক যে আমাদের আনন্দের মুহূর্ত হঠাৎ করে চলে আসে আনন্দের কোন শেষ থাকে না বা আনন্দ কখন আসবে এটা কেউ জানেও না যে আনন্দ হঠাৎ করে চলে আসে সেই আনন্দর মুহূর্ত আসলেই অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। আপনি সকালে আপনার মায়ের সাথে নাস্তা বানানোর কাজে হাত দিয়েছিলেন এবং আপনার বড় ভাই এসে বলল কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা তৈরি করার জন্য। আসলে আপু আমি কখনো কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা তৈরি করা যাই জানতাম না আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে নতুন একটি ভর্তা সম্পর্কে জানতে পারলাম। যাইহোক আনন্দের একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

বাড়িতে আসলে অবশ্যই কাঁঠালের মুচির ভর্তা কামরাঙ্গা দিয়ে তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এটা অনেক বেশি মজা, বিশেষ করে আচার এবং লবণ মরিচ মাখিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমার পোস্ট করে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।

যদিও আমি কখনই কাঁঠালর মুচি দিয়ে কামরাঙা ভর্তা খাইনি। তবে মনে আলাদ স্বাদ আছে এটার মধ্যে যার কারণে আপনারা সবার মজা করে খাওয়ার কথা শুনেই বুঝলাম। কঁচি কাঁঠাল দিয়ে চিংড়ি খেয়েছি অনেকবার। ভিষণ স্বাদ হয়।

কচি কাঁঠালের মুচি কামরাঙা ভর্তা এবং কঁচি কাঁঠালের উপকারিতা নিয়ে একটি সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

সত্যি কথা বলতে কাঁঠালের মুচি কামরাঙ্গা ভর্তার অসাধারণ। আপনি অবশ্যই যদি কখনো সুযোগ পান তাহলে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আর খাওয়ার সময় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে আচার এবং লবণ মরিচ মাখিয়ে খাবেন। এতে করে আপনার মুখে রুচি ফিরে আসবে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

হঠাৎ করে আনন্দের মূহুর্ত গুলো আসলে বেশ ভালো লাগে। ছোট বেলায় দেখতাম বাড়ির চাচাতো বড় বোনেরর সবাই মিলে কাঁঠালের মুচি কামরাঙা একসাথে মিশিয়ে সাথে আচার লবন মরিচ ইত্যাদি দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খেত। সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার কারনে এর মজাও বৃদ্ধি পেত। আপনার পোস্ট পড়ে শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল।আপনি আবার কাঁঠালের মুচি স্বাস্থ্য গুনাগুন সম্পর্কেও সুন্দর আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার আনন্দঘন সময় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আসলেই স্মৃতিগুলো আমাদের শৈশব মনে করিয়ে দেয়। আমরাও ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। বিভিন্ন ধরনের আচার দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার। কিন্তু বর্তমান সময়ে বড় হওয়ার কারণে সংসারের ঝামেলায়, সবাই এক সাথ হতে পারি না। তাই খাওয়া হয় না। কিন্তু এই আনন্দঘন মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক বেশি ইম্পর্টেন্ট ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

কাঁঠালের মুচকি এতো সব পুস্টিগুন রয়েছে তা সম্পর্কে আমার কোন পূর্ব ঙ্ঘান ছিল না। অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার পোস্টটি থেকে।
বয়সের ছাপ,পেটে ব্যথা নিরাময় করতে।এর জুড়ি নেই। আমি এখন থেকে এটি খাওয়ার চেষ্টা করবো।বাট পাব কোথায়। তারপর ও চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে।

এর অনেকগুলো পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং আপনারা চাইলে কাঁঠালের মুচি পিস করে রোদে শুকিয়ে এর গুড়ি তৈরি করে কিন্তু খেতে পারেন। আমাদের শরীরের ক্ষেত্রেও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে তাও ভাল রাখার ক্ষেত্রে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

তাই আমার জানা ছিল না কাঁঠালের মুচি ত্বকের যত্নে বেশ ভালো কাজ করে। তাহলে তো খেতেই হবে আমার ত্বকে এমনি তো খুব সমস্যা ।যদি
ত্বকের কাজ করে, তাহলে আমি চেষ্টা করব
আমার এখানে আছে তবে আমার গাছ নেই ।
অন্যের আশেপাশের গাছ থেকে নিতে পারব
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই যে, একটি রেসিপির সাথে এর পুষ্টিগুণাগুণ নিয়ে সুন্দর একটি আলোচনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। কিন্তু আপু আমি সত্যি এই রেসিপিটা সম্পর্কে জানি না। আজকে আপনার লিখার মধ্যদিয়ে জানতে পারলাম। কামড়াঙ্গা ঝালিয়ে খেয়েছি কিন্তু ভর্তা কখনো খাইনি। এছাড়াও কাঁঠালের মুচি কামড়াঙ্গার সাথে কখনো খাইনি। তবে আপনার দেখানো পদ্ধতি অবলম্বন করে একদিন ট্রাই করবো। নিশ্চই অনেক সুস্বাদু হয়েছে যা আপনার লিখা পড়ে জানতে পারলাম।

আপনি কাঁঠালের মুচি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এর পুষ্টিগুণাগুণ সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন। এগুলোও আমার এতদিন জানা ছিলো না। আপনার এই শিক্ষনীয় পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

যদি কখনো সুযোগ হয়, তাহলে ভাবীকে বলবেন আপনাকে কাঁঠালের মুখে দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা তৈরি করে দেয়ার জন্য। এটা অনেক মজার একটা খাবার। আর সবাই মিলে খেলে অনেক ঝাল দিয়ে খান, তাহলে তার আনন্দটাই হয় অন্যরকম। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

আমি আগে কখনো কাঁঠালের মুচি এই নামটাই শুনে, পরবর্তীতে পোস্টটি করে বুঝতে পারলাম কচি কাঁঠালের কথা বলা হয়েছে,

আজ আপনার ভাইয়ের চেয়েছে কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা খাবে যদিও এই ভর্তা নাই কখনো খাইনি তবে দেখে বেশ মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
তাছাড়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে দেখে লোক লেগে যাওয়ার মত।

এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের জানা থাকবে তা কিন্তু নয়। আমরা অনেক কিছুই অজানা, আজকে আপনি প্রথম জানতে পারলাম কচি কাঁঠালকে, কাঁঠালের মুচি বলা হয়। অবশ্যই একবার ট্রাই করে দেখবেন এটা কিন্তু অনেক মজার। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

আসলেই কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা আমি কখনো খাইনি, এমনকি শুনিও নি। তবে হ্যাঁ কাঁঠালের মুচি খাওয়া যায় এটা শুনেছি এবং দেখেছি, কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার উপস্থাপনা এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ জেগেছে, এবার বাড়িতে গিয়ে প্রথমে কাঁঠালের মুচি দিয়ে কামরাঙ্গা ভর্তা করে খাব ইনশাআল্লাহ।

অবশ্যই কাঁঠালের মুচি এবং কামরাঙ্গা দিয়ে ভর্তা তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এটা অনেক মজা। বিশেষ করে যদি ঝাল বেশি দিয়ে আপনি তৈরি করেন। তাহলে এটা খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

কাঠালের মুআি খাওয়া যায় শুনেছি,, কিন্তু কিভাবে খাওয়া যায় তা জানতাম না।।কিন্তু আপনি তে অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি বলে দিলেন গল্পের ছলে।
আর এই জিনিসের যে এতটা স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে তা তো কখনো ধারণাও করি নি।
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মূহুর্তের পোস্ট আকারে শেয়ার করার জন্য।

আমি আপনাদের সাথে যেভাবে শেয়ার করেছি ওভাবে একদিন খেয়ে দেখবেন আবার খেতে ইচ্ছে করবে। এটার অনেকগুলো গুনাগুন রয়েছে। ত্বকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।