গতকালকে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম, রাতের বেলা আমার সাথে খুবই জঘন্য একটা ঘটনা ঘটেছে। যেটা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। তবে এটাই বাস্তব হঠাৎ করে এমন কিছু ঘটনা আমাদের সাথে ঘটে যায়, যেটা আমরা কল্পনাও করি না। তবে কিছু ঘটনার খারাপ ইফেক্ট আমাদের উপর পড়ে। যার কারণে আমাদের মধ্যে ভয় কাজ করে। আসলে গতকাল সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না, বারবার রাতের ওই কথাগুলো মনে পড়ছিল কিন্তু কিছুই করার ছিল না।
ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে আবার শুয়ে পড়েছিলাম। শরীরটা অনেক বেশি ক্লান্ত লাগছিল। তারপর দেখলাম ছেলের বাবা ঘুম থেকে উঠে ওদেরকে নিয়ে দোকানে চলে গেছে, সকালের নাস্তা করানোর জন্য। আমি শুয়ে থাকলাম এরপর দেখলাম আসার সময় আমার জন্য পরোটা আর ভাজি নিয়ে এসেছে। খাবার খেতে তেমন একটা ভালো লাগছিল না। কিন্তু যখন খাবার না খাওয়ার কথা বলছিলাম, তখন আমাকে রীতিমতো বকাবকি শুরু করে দিল। কি আর করব উঠে গিয়ে একটা পরোটা খেয়ে নিলাম।
তারপর বললাম আজকে হয়তোবা রান্না করতে একটু দেরি হবে। তারপরও আমাকে বলল আমি সবকিছু রেডি করে দিচ্ছি তুমি শুধু দাঁড়িয়ে রান্নাটা করে নিও। কি আর করব সবকিছু রেডি করে আমাকে ডাক দিল, আমি রান্না করার জন্য রান্না ঘরে চলে গেলাম। তারপর রান্নাবান্না শেষ করে এসে দেখি ঘর মুছে রেখেছে। মনে মনে ভাবলাম বেশ ভালই হয়েছে। তা না হলে আজকে আবার আমার এই কাজটা করতে গিয়ে, আরো বেশি হয়রানির শিকার হতে হতো।
এরপর তাদেরকে দুপুরের খাবার দেয়ার পর, আমি গোসল করতে চলে গেলাম। আজকে ছেলেদেরকে তাদের বাবা দুপুরের খাবার খাইয়ে দিয়েছে। যার কারণে আমার এই ঝামেলাটা আর করতে হয়নি। এসে দেখি তারা দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েছে, মোবাইলে গেমস খেলতে লাগলো। ছেলের বাবা কাজে বেরিয়ে গেল। আমি নিজে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম তার আগে অবশ্যই নামাজ টা পড়ে নিয়েছিলাম।
এরপর কিছুক্ষণ শুয়ে পড়লাম, ঘুম আসছিল না। তারপর কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে ঘরের আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো করে নিয়েছিলাম। এরপর মায়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম। প্রচন্ড গরম লাগছিল হঠাৎ করে কারেন্ট টা চলে গেল। তাই আমি ছাদে চলে গেলাম ছাদে গিয়ে দেখলাম অনেকেই বসে গল্প করছে। আমি ওদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম এবং দেখলাম ছাদের মধ্যে সুন্দর টমেটো ফুল ফুটে আছে। ওখান থেকে দুইটা ফুলের ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম।
এরপর বাসায় এসে আসরের নামাজ পড়ে, কিছুক্ষণ বসে রইলাম আসলে দিন এত পরিমানে ছোট হয়ে গেছে কি আর বলব। কাজ করতে করতে সময় কখন চলে যায় বুঝতেও পারি না। একটু পরেই মাগরিবের আযান দিলো, ছেলেদেরকে পড়তে বসিয়ে আমি রান্না বসিয়ে দিলাম।
রান্না শেষ করে এসে ছেলেদেরকে রাতে খাবার খাইয়ে দিলাম। আমি এশার নামাজ পড়ে শুয়ে পড়লাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সামনে শীতের সময় চলে আসছে আর এক মাস পরেই পুরোপুরি ঠান্ডা পড়বে সেই সময় দিন আরো দ্রুতই ফুরিয়ে যাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদেরকে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit