আজকে অনেকদিন পরে কেন জানিনা মনটা একটু হালকা লাগছে। তাই একটু বাহিরে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করলাম। আসলে শান্ত পরিবেশ কুয়াশা ঘেরা চারপাশ দেখতে বেশ ভালই লাগছে। ছাদে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে দেখলাম সন্ধ্যা মালতি আছে ফুল ফুটে আছে। একটু পরেই হয়তোবা ফুলগুলো নুয়ে পড়বে কিছুই করার নেই। তাড়াতাড়ি করে দুইটা ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম। তারপর বাড়িওয়ালা আন্টির সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম।
ওনার সাথে গল্প করতেই আমার বেশ ভালই লাগে। উনি বেশ কিছু বাস্তবসম্মত কথা বলেন। যেগুলো আমাদের জীবনের সাথে একেবারেই মিলে যায়। উনার জীবনেও নাকি উনি অনেকটা দুঃখ কষ্ট বলতে পারেন এক প্রকার জীবন যুদ্ধ করে এই পর্যন্ত এসেছেন। তবে উনি বলছেন উনি বর্তমান সময়ে বেশ ভালো আছেন। আল্লাহতালা উনাকে বেশ ভালো রেখেছেন।
উনার কথাগুলো শুনলে বেঁচে থাকার জন্য একটু উৎসাহ জাগে। আবারো কিছু করব নিজের পথ চলা শুরু করব এমন উৎসাহ পাই এবং উনি উৎসাহ দিতে সবাইকে পছন্দ করেন। শুধু আমার সাথে নয় যার সাথেই উনি কথা বলেন সবাই বলেন ওনার কথাগুলো যেমন সুন্দর। ঠিক তেমনি জীবনকে পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে উনার কথাগুলো মেনে চলাটা খুব প্রয়োজন।
যাইহোক নিচে এসে সবকিছু গুছিয়ে ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে সোজা মাদ্রাসায় দিয়ে আসলাম। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ছেলের শরীরটা অনেক ভালো হয়েছে। সেজন্য অবশ্যই শুকরিয়া আদায় করছি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে। ওদেরকে মাদ্রাসায় দিয়ে আমি সোজা বাজারে গেলাম। ওখান থেকে বাজার করে বাসায় চলে আসলাম।
এসে দেখলাম সাহেব আমার আগেই বেরিয়ে গেছে। আজকে নাকি ওর একটু কাজ আছে। এরপরে আমি রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিলাম। কিন্তু বিরক্তি কর বিষয় হচ্ছে গ্যাস না থাকা। এই শীতের কারণে গ্যাসে এত পরিমাণে সমস্যা হচ্ছে যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না। কিন্তু কিছু করার নেই তাই অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম। তারপরে দেখলাম সামান্য পরিমাণে গ্যাস এসেছে। মনে মনে চিন্তা করলাম অন্তত পক্ষে ভাত রান্না করা সম্ভব হবে রাতে না হয় তরকারি টা রান্না করে নেব।
এরপর কোনমতে ভাত রান্না করলাম একটু পরে দেখলাম সাহেব চলে এসেছে। তাকে দুপুরের খাবার দিয়ে আমি সোজা ছেলেদের জন্য খাবার নিয়ে চলে গেলাম। ওদেরকে দুপুরের খাবার খাইয়ে বাসায় এসে প্রথমত গোসল করে, তারপরে নামাজ পড়ে নিলাম এরপর নিজে দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার জন্য শুয়ে পড়লাম। কিন্তু টেনশনে ঘুম আসছে না কেননা একটু পরে আবার উঠে ওদেরকে নিয়ে আসতে হবে। শীতের দিনের সময় টা যে কত পরিমাণে দ্রুত যায় সেটা কি আর বলবো।
মাত্র বাসা থেকে বের হলাম এমন সময় পাশের পাশের ভাবি হাতে ধরিয়ে দিল তেতুল মাখা। উনি তৈরি করেছেন আসলে তেতুল এমন একটা জিনিস যেটা দেখলে সবার জিভে জল চলে আসে। আমি আর লোভ সামলাতে পারলাম না, উনার সাথে বসে খাওয়া শুরু করলাম, তারপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম আমার আর এখানে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব নয়। তাড়াতাড়ি করে নিচে চলে গেলাম অতিরিক্ত ঝাল হওয়ার কারণে তেতুল মাখা এত মজা হয়েছে কি আর বলবো।
এরপর সোজা মাদ্রাসায় গেলাম, ওদেরকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে আসলাম। বাসায় এসে ওদেরকে চিপস ভেজে দিয়েছিলাম। ওরা সন্ধ্যার নাস্তা করে ওদের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল। আমিও রান্না নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম, আমার রান্নাবান্না শেষ করে নামাজ পড়ে ওদেরকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। এরপর আমি হালকা পরিমাণে খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম এরপর ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আর একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করছি আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
আপু মনে শান্তি থাকলে প্রতিটা কাজে ই শান্তি মেলে মনে শান্তি থাকলে সকালে অনুভব করা যায় শিসির ভেজা ঘাস কুয়াশায় ঘেরা সকাল ও ফুল দেখলে মনে হয় সেই খুশির আনন্দটা বয়, যেটা শুধু অনুভব করা যায় কাউকে বোঝানো যায় না ইত্যাদি ইত্যাদি
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit