" ছেলেকে ভালো রাখার.......... একটু প্রচেষ্টা!"

in hive-120823 •  22 days ago 
IMG_20240910_101935.jpg

আমি জানি অসুস্থতা আল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া একটা নিয়ামত। কিন্তু এত বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বো সেটা কখনো কল্পনাও করিনি। যেমন আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। ঠিক তেমনি ছোট ছেলেটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি ঠিক জানি না আমি অসুস্থ হলে হঠাৎ করে সে কেন? এত অসুস্থ হয়ে পড়ে! তারপরেও সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি! যেমন আছি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

বেশ কয়েকটা দিন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং ডিপ্রেশন এর মধ্যেই কেটে যাচ্ছে আমার দিনগুলো। হয়তোবা আল্লাহ তাআলার সামনে আমার জন্য ভালো কিছু রেখেছেন, আর নয়তো তার চাইতেও বেশি খারাপ। সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। তিনি যা রেখেছেন তার উপরেই আমি ভরসা করে পথ চলছি, বাকিটা উনার ইচ্ছা।

IMG_20240910_101928.jpg
IMG_20240910_101914.jpg

গত দুইদিন ধরে ছেলেকে কোন কিছু খাওয়াতে পারি না। শুধু কান্না করে জ্বরে গা পুড়ে যায়। ডাক্তারের কাছে কোন মতে আজকে গিয়েছিলাম। তবে ঔষধ খাওয়াতে গিয়ে আমার একেবারে নাজেহাল অবস্থা। কোনভাবেই ঔষধ খাবেনা, কোন কিছুই খাবে না। শুধু কান্না করেই যাচ্ছে। ওকে ভালো রাখার জন্য একটু নিজে থেকেই চেষ্টা করলাম। কিভাবে ওকে ভালো রাখা যায়।

মাঝে মাঝেই দেখি ওরা দুই ভাই মিলে অনেকগুলো কাঠ সংরক্ষণ করে, সেগুলো দিয়ে ঘর বানায় এবং সেগুলো দিয়ে অনেক খেলাধুলা করে। আজকে আমি আমার ভাগিনা কে নিয়ে তাদের কাঠ গুলো নিয়ে ঘর বানানোর চেষ্টা করলাম। যদিও এটা আমার দ্বারা সম্ভব না তার পরেও নিজে থেকে একটু একটু করে ট্রাই করে, ছোট্ট একটা ঘর তৈরি করলাম। দেখতে অতটা সুন্দর না হলেও আমার ছেলে দেখে অনেক বেশি পছন্দ করেছে।

আজকের দিনের বেশিরভাগ সময় আমি ওর সাথে কাটানোর চেষ্টা করেছি। কারণ আমি চাই অন্ততপক্ষে ও একটু ভালো থাকুক। ও ভালো থাকলে অন্ততপক্ষে আমি ভালো থাকতে পারবো। নিজের অসুস্থতাকে একপাশে রেখে ওকে ভালো রাখার চেষ্টায়, বর্তমান সময়ে একটু বেশি চেষ্টা করে যাচ্ছি। কাঠ দিয়ে তৈরি ঘর বানানো শেষ হলে ওকে দেখিয়ে, তারপর ওকে একটু ভাত খাইয়ে দিয়েছিলাম। তারপর ঔষধ খাইয়ে দিয়েছিলাম।

IMG_20240910_101855.jpg
IMG_20240910_101849.jpg
IMG_20240910_101842.jpg

এই কাঠ দিয়ে বানানো ঘরটার দিকে তাকিয়ে বারবার হাঁসছিল আর আমাকে বলছিল। আম্মু আমি বড় হলে ঠিক এভাবেই এরকম একটা ঘর তৈরি করব। ওর কথা শুনে আমি নিজেও না হেঁসে পারলাম না। তারপর আমি বললাম ঠিক আছে। তুমি যখন ভালো হয়ে যাবে। তখন তুমি তোমার মত করে ঘর তৈরি করে আবার নিজের মত করে খেলাধুলা কর।

কিছুটা সময় ওর সাথে নিজের কষ্টগুলো সরিয়ে ওকে ভালো রাখার চেষ্টায় যখন মেতে উঠেছিলাম। অবশেষে বুঝতে পারলাম শিশুরা অল্পতেও খুশি হয়। এখান থেকেই বুঝতে পারলাম। শিশুদেরকে খুশি করার জন্য বেশি কিছু দামি জিনিসের প্রয়োজন হয় না। আমি চেষ্টা করেছি আমার ছেলেকে ভালো রাখার জন্য। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তাকে সুস্থ করে দেবেন। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Loading...

মাঝে মাঝে অনেক কারণে আমরা অনেক দুশ্চিন্তা ও ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে দিন পার করি।। আমরা চাইলেও সেটা থেকে বের হয়ে আসতে পারি না যত সময় না যেটার সমাধান হচ্ছে।। শুনে খারাপ লাগলো আপনাদের অসুস্থ সাথে ছেলেও। ‌ দোয়া করি পরিবারের সকলের মিলে সবাই যেন সুস্থতার সাথে দিন পার করতে পারেন।।

প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দোয়া করার জন্য। আসলে পরিস্থিতি মাঝে মাঝে আমাদের অনুকূলে থাকে না এবং অনেক বেশি ডিপ্রেশন নিজেদের মধ্যে চলে আসে। যেটা আমরা কখন কল্পনাও করি না। তবে অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা যদি চান আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

জীবনের অনেক ক্ষেত্রে অনেক সময় আমরা ডিপ্রেশনে যাব কিন্তু চেষ্টা করতে হবে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার।। মাথার মধ্যে চিন্তা বা ডিপ্রেশন থাকলে কোন মানুষ সুস্থ থাকতে পারে না।।