বন্ধুরা গতকালকে বোনকে বাসায় নিয়ে আসব সেজন্য ঘুম থেকে উঠেই অনেক ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম। ভাইয়া বাসায় এসেছিল তাকে ফোন করে বলি সকালেই জানো হাসপিটালে আসে সেখানে বেশ কিছু কাজ রয়েছে। তারপর আমি হোটেলে যাই সকালে নাস্তা আনার জন্য আর সেখান থেকে আসার পরেই দেখি আমাদেরকে ভাউচার দিয়েছে মোট কত টাকার বিল এসেছে সেটার। মোট আমাদের ৬১ হাজার টাকা এসেছে এছাড়াও আমাদের আরো আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছে ২০ হাজারের মতো সব মিলে ৯০ হাজারের উপরে খরচ হয়েছে বোনের পেছনে।।
আমি সকালের হালকা নাস্তা করে চলে যাই অর্থোপেডিক ডাক্তারের ওখানে কারণ আমার বোন জামাইকে পায়ের ডাক্তার দেখাতে হবে। সেখানে একজন ডাক্তার ছিল যার নাম ড. মৃগাষ্ক ভট্টাচার্য্য পরে তার এখানে সিরিয়াল দিয়ে ভাইকে দেখায়। আর সে একটা এক্সরে দেয় পরে সেটা দেখানো হয় আর সে বলে আর খুব সুন্দরভাবে জোড়া লাগতেছে। আর কিছু ওষুধের পরিবর্তন করে দেয় আর বলে ছয় মাস পরে আবার একবার ডাক্তারের কাছে আসতে।
পরে সেখান থেকে আবারও রুমে চলে আসি, আর ভাইয়া ফোন করে বলে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসতেছে পরে সেখানে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো একাই দৌড়াদৌড়ি করে করতে থাকি। তারপর ব্যাংকে যাই টাকা উঠানোর জন্য, আমরা ডক্টরস ক্লিনিকে ছিলাম সেখান থেকে জনতা ব্যাংক অনেকটা দূরে ছিল। পরে সেখানে যেয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়ে আসার পথে ছোট ভাগ্নের জন্য কিছু কেনাকাটা করি আর সেইগুলো নিয়ে আস্তে আস্তে প্রায় দুইটা পার হয়ে যায়।
তারপর সেখান থেকে এসে সেখানকার কর্মরত নার্সদের সাথে কথা বলি যে আমাদের ফাইলের সকল কাজ যেন তাড়াতাড়ি রেডি করে। তারা বলতেছিল ডক্টর ম্যাম অডিতে আছে তাই একটু দেরি হবে। পরে আমরা অপেক্ষা করতে থাকি, এই পাশে টাকাগুলো পরিশোধ করে দেয়।
পরে একটু বাইরে এসে বসি আর মাথা অনেক ব্যথা করতেছিল সকাল থেকে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতেছিলাম। পরে দেখতে পাই একজন মানুষ শরবত বিক্রি করছে পরে সেখানে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত খায় তখন একটু ভালো লাগতেছিল। আসলে রোগীকে নিয়ে গেলে নিজেরও রোগী হতে হয় আর সব সময় দৌড়াদৌড়ির উপর থাকতে হয়।
যাই হোক তার কিছু সময় পরেই ফোন করে যে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসেছে পরে আমি নার্সদের কাছে যেয়ে বলি আমাদের ফাইলটা তাড়াতাড়ি দেন আমাদের গাড়ি চলে এসেছে। তার একটু পরেই তারা আমাদের ফাইল দিয়ে দেয় আর সেখানে বোনের ওষুধের সবকিছু লিখে দেয়। পরে সেখান থেকে নেমে আমরা এম্বুলেন্সে উঠে বাসায় আসার জন্য রওনা দেই। আর বাসায় আসার পথে একটা দোকানে যেয়ে মিষ্টি নেই কারণ বাসায় আসলেই অনেকেই আসবে তাদের খাওয়ানোর জন্য। আর বাসায় আসতে আসতে আমাদের প্রায় পাঁচটা বেজে যায়।
তো বন্ধুরা আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
আসলে হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে থাকলে একটু দৌড়ের উপরেই থাকতে হয়। যাইহোক আপনার টাকা খরচ হয়েছে সেটা বড় কথা না আপনার বোন যখন সুস্থ হয়ে যায় সেটার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টাকার চাইতে মানুষের মূল্য বেশি তাই টাকা খরচ হয়েছে সে যেন কোন দুঃখ নেই সৃষ্টিকর্তা জানো বোনকে সুস্থতা দান করে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ভালো থাকবেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার বোনজামাইকে অর্থোপেডিক ডাক্তার দেখিয়েছেন।শুনে খুশি লাগলো যে আপনার বোন জামাইয়ের ফ্রাকচারের কন্ডিশন অনেকটাই ভালো।যেসব ঔষধ পরিবর্তন করে দিছে সেগুলো ভালোভাবে সেবন করুন। আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।আপনার।সরবতগুলো বেশ লোভনীয় লাগতেছে।ভালো লাগলো আপনার দিনলিপিটি পড়ে।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই ডাক্তার যেহেতু ওষুধ পরিবর্তন করে দিয়েছে সেগুলো নিয়মিত খাওয়ালে আশা করি আরও দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।। খুবই সুন্দর ও পরামর্শমূলক কমেন্ট করেছি দেখে ভালো লাগলো।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হসপিটাল থেকে বাসায় আসার সময় কি পরিমানে পেরেশানির মধ্যে পড়তে হয়। সেটা আমি বেশ ভালোভাবেই জানি। কেননা বেশ কয়েকবার নিজের পরিবার-পরিজন নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা মোটামুটি রয়েছে।
আপনার ভাইয়াকে ডাক্তার দেখিয়েছেন এবং ডাক্তার বলেছে উনার ফ্যাকচারারের জায়গাটা মোটামুটি ভালো আছে। শুনে ভালো লাগলো আশা করি উনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। দুই ভাই মিলে মোটামুটি অনেক বেশি পেরেশনের মধ্যে রয়েছেন। আশা করি আপনাদের পেরেশানি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit