কচুরিপানার ফুলের ফটোগ্রাফি

in hive-120823 •  11 days ago 
IMG_20241105_180942.jpg

সবার পরিচিত ও জনপ্রিয় কচুরিপানার ফটোগ্রাফি নিয়ে আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম। সৌন্দর্যে ভরা আমাদের এ পৃথিবীতে কত রকম না ফুল রয়েছে কত রকম না দর্শনীয় স্থান রয়েছে। মন ভালো করার জন্য প্রতিটি মানুষ ভ্রমণ করতে চাই কিন্তু সবাই চাইলেই ভ্রমণ করতে পারে না মানে সবার সেই সার্থ থাকে না।

IMG_20241105_181222.jpg
IMG_20241105_181146.jpg

কচুরিপানা চেনে না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না, প্রতিটি মানুষ এই কচুরিপানার সাথে অবগত আছে। আর হ্যাঁ আপনারা সকলেই জানেন কচুরিপানা একটি অবহেলিত উদ্ভিদ যা নিজে থেকেই হয়ে থাকে। প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ে এই কুচুরিপানার দেখা মেলে, যখন সব গুলো ফুল এক সাথে ফুটে তখন অসম্ভব সুন্দর লাগে যেটা মানুষের নজর খুব সহজে কাড়ে। বিশেষ করে এই ফুলের রংটা মানুষের যেন খুব বেশি ভালো লাগে সাদার মাঝে বেগুনি থাকায় মানুষ এটিকে অনেক বেশি পছন্দ করে।

IMG_20241105_181355.jpg
IMG_20241105_181253.jpg

এই ফুলগুলো বিশেষ করে কোন বিল বা নদীর ধারে বেশি দেখা মেলে। প্রতিবছরে যখন এই ফুলগুলো ফুটে থাকে তখন মানুষ এই ফুলের ফটোগ্রাফি নিতে অনেক বেশি পছন্দ করে।সৌন্দর্যের ভরা এই ফুল যেন প্রাকৃতিক সুন্দর্য আরো বাড়িয়ে তোলে। আমাদের এই পৃথিবীতে এরকম অনেক ফুল থাকে যা বছরে একবারই আসে আর কিছুদিনের মধ্যে আবারো বিলুপ্ত হয়ে যায়।

IMG_20241105_181116.jpg
IMG_20241105_181033.jpg

অযত্নে বেড়ে ওঠা এই কচুরিপানার ফুল যেন মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আমাদের বাসার পাশেই একটা বিল রয়েছে প্রতিবছরই এই ফুলের দেখা মেলে তুলনামূলক এ বছরে কচুরিপানা খুবই কম থাকায় খুব বেশি ফুল ফুটেনি। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় অনেক বেশি ফুটেছে যা মানুষের নজর কেড়েছে।

পৃথিবীতে হাজারো ফুল থাকলেও কিছু কিছু ফুল সৌন্দর্যের দিক থেকে অনেক বেশি এগিয়ে থাকে তার মধ্যে একটি হলো কচুরিপানার ফুল। ঝাকে ঝাকে যখন এই ফুলগুলো ফুটে থাকে তখন অনেক বেশি সুন্দর লাগে। ব্যক্তিগতভাবে এই ফুলগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের অনেক বেশি ভালো লাগে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কিনা এই কচুরিপানার ফুল দিয়ে রেসিপি তৈরি করে থাকে। আমাদের আশেপাশে অনেকে আছে যারা এই ফুল গুলো সংগ্রহ করে রেসিপি তৈরি করে। দুঃখের বিষয় হল আমি এখনো এই ফুলের রেসিপি খাইনি। আবার অনেক সময় হাটবাজারে বিক্রি করতেও দেখা যায় এই কচুরিপানার ফুল মানুষ খুব আনন্দের সাথে সেগুলো ক্রয় করে থাকে।

পৃথিবীতে এরকম অনেক ফুল থাকে যেগুলো মানুষ রেসিপি তৈরি করে থাকে। তার মধ্যে একটি হলো কচুরিপানার ফুল। সৌন্দর্যের দিক থেকে যেমন এগিয়ে আছে তেমন রেসিপি তৈরি করার ক্ষেত্রেও কোন অংশ পিছিয়ে নেই।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আমি মাঝেমধ্যে সত্যিই ভাবি, এই অযত্নে বেড়ে ওঠা জিনিসগুলোই কি এত সুন্দর দেখতে হয়, যে জিনিসগুলো যত যত্ন করে রাখি সেগুলো যেন যত্ন পায় না। আর যেগুলোর যত্ন আমরা করি না সেগুলোই কত সুন্দর করে বড় হয়ে ওঠে। প্রকৃতির সাথেও যেন সে রকমই হয়। গাছপালা যেগুলো আমরা এত যত্ন করি তার থেকেও অযত্নের জিনিসগুলো অর্থাৎ অযত্নে বেড়ে ওঠা আগাছা জাতীয় গাছগুলো কি অপরূপভাবে বেড়ে উঠতে থাকে।

কচুরিপানা দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমার মামার বাড়ি যাওয়ার সময় একবার আমি আর কান্ড ঘটিয়েছিলাম। আমার মামার বাড়ি রায়গঞ্জের দিকে। মেইন রোডের পাশ দিয়ে দুদিকে জমি। আমাদের গাড়ি করে আমরা যাচ্ছিলাম। গাড়ি টাইপ করছিল পিসেমশাই। আমার মনে আছে আমি দিদাকে আনতে যাচ্ছিলাম। আমি গাড়ির সামনেই বসে ছিলাম। রাস্তায় যেতে যেতে দু'পাশের অনেক জলাভূমি দেখছিলাম। সেখানে প্রচুর কচুরিপানা ফুটেছিল। এই কচুরিপানা ফুল গুলোকে দূর থেকে দেখতে এত অপরূপ লাগে, আমার চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যদি একবার কাছে যেতে পারতাম।

আমি রীতিমত জেদ শুরু করলাম পিসেমশাইয়ের সাথে। অনেকগুলো জলাভূমি পেরিয়ে আমার জেদ এতটাই বেড়ে গেল আমার পিসেমশাইকে আমাদের গাড়িটা থামাতেই হল। একটা বড় জলাভূমির পাশে গাড়িটা থামানো হল। সেখানে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা ফুটেছিল। আমার জন্য পিসেমশাই সেখান থেকে অনেকগুলো কচুরিপানা তুলে দিল।।

খুব রিস্ক নিয়ে পিসেমশাই জলাভূমির একদম ধারে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকেই কচুরিপানাগুলো তুলছিল। আমি সেই ভিডিওটা ক্যাপচার করে রেখেছিলাম। জিনিসগুলোকে হাতে পেয়ে এত সুন্দর লাগছিল। তবে গাছ থেকে ছেঁড়ার পর আমার আবার মনটা কেমন যেন লাগছিল। গাড়ির সামনে যেখানে ঠাকুরের ছোট্ট মূর্তিটি রাখা, সেখানে ফুল গুলোকে রেখে দিলাম। তারপর মামার বাড়ি পৌঁছানোর পরেও অনেকক্ষণ ওই ফুলগুলো একই রকম ছিল। কিন্তু গাছ থেকে তোলার পর স্বাভাবিকভাবে ফুলগুলো নেতিয়ে যায়।

কিন্তু আমি সত্যিই সেদিন খুব মজা পেয়েছিলাম। প্রকৃতি এক অপরূপ বৈচিত্র নিয়ে রয়েছে। আমরা কতকিছু দেখতে পারিনা। এই ধরুন বিদেশের মানুষজন এই কচুরিপানার ফুল দেখেনি কখনো। আমার তো মাঝেমধ্যে এই ফুলগুলোকে ময়ূরের পালকের মত লাগে। ফুলের মাঝে ডিজাইন টা ময়ূরের পালকের ডিজাইনটার মতন অনেকটা।

যাইহোক আপনি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

প্রতিটি মানুষ পছন্দের জিনিসগুলো কাছ থেকে দেখতে খুব পছন্দ করে।। এই কুচুরিপানা নিয়ে আপনার একটা স্মৃতি রয়েছে সেটি জেনে খুবই ভালো লাগলো।। প্রতিটি মানুষের জীবনে এরকম অনেক স্মৃতি থাকে যেগুলো কখনো মন থেকে মুছে যায় না।। ভালো লাগলো আপনার সেই পুরনো দিনের স্মৃতির কথা শুনে।।

Loading...

বাহ দাদা প্রথমেই বলি কচুরিপানা ছবিগুলি অসাধারণ তুলেছেন। বেশ অনেক বছর পর এভাবে কচুরিপানা গুলোকে দেখতে পেলাম। পুকুরে কিভাবে যেন কচুরিপানা গাছগুলো জন্মায় আবার এত সুন্দর ফুল হয়। কচুরিপানা ফুল দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। ফুলের রংটাও যেন অসাধারণ পুকুরে যদি ফুটে থাকে দেখতে অসাধারণ লাগে। আমার মামার বাড়ি কাছেই একটা পুকুর ছিল। পুকুরটার নাম লাহিড়ি পুকুর। পুকুরে যখন জল থাকতো তখন কচুরিপানা ফুল ফুটে আলো হয়ে থাকত। ছোটবেলায় কত নিয়ে খেলা করেছি। পুকুরের জল যখন শুকিয়ে যেত তখন কচুরিপানা গুলো শুকিয়ে যেত আমরা তখন ওই পুকুরে খেলা করতাম। আপনার পোস্টে কচুরিপানা ছবি দেখে আমার ছোটবেলাকার কথা মনে পড়ে গেল। এখন আর ওই দিকে যাওয়া হয় না তাই পুকুরের কচুরিপানা চোখে পড়ে না। তবে নদীতে দেখেছি অনেক কচুরিপানা জলে ভেসে ভেসে যায় কিন্তু ফুল ফুটতে দেখিনি। যাইহোক আপনার কচুরিপানা সম্পর্কে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

জেনে ভালো লাগলো অনেকদিন পর কচুরিপানার ফুল দেখলেন সেই সাথে ছোটবেলায় এগুলো নিয়ে খেলা করেছে।। আসলে প্রতিটি মানুষের ছোটবেলার এই কচুরিপানার অনেক স্মৃতি রয়েছে।। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত এত সুন্দর ভাবে প্রকাশ করার জন্য ভালো থাকবেন।।

আপনার টাইটেলটা পড়ে পোস্টটা খুলেছিলাম,,
আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আবার এত বেশি ভালো লেগেছে ,, এত বেশি বললে হয়তো কম হয়ে যাবে এক কথায় দারুন হয়েছে ,,,।

আমার তো মনেই চাইছিল ফুলগুলো এখান থেকে নিজের কাছে নিয়ে আসি,,আপনার পোস্ট পরে এবং ফুল দেখে আমার একটা কথা বলার পরে গিয়েছিল সেই দশ বছর আগের কথা ,,, আমি একবার কচুরিপানার ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে পড়ে গিয়েছিলাম ,,, তবে তখন খুব একটা ক্ষতি হয়নি।।।
তবে আমি একটু অবাক হলাম এই ফুল দিয়েও রেসিপি তৈরি করা যায়,,! যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।।