ঋতু পরিবর্তনশীল গরম শেষে শীত আসবে, শীত শেষে গরম আসবে এটাই প্রকৃতিক নিয়ম। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যারা শীত অনেক পছন্দ করে থাকে আবার অনেকে রয়েছে তারা শীতকে পছন্দ করেনা। মানুষ যেমন ভিন্ন ভিন্ন তাদের পছন্দ গুলো ভিন্ন ভিন্ন আর এটাই স্বাভাবিক। ব্যক্তিগতভাবে শীত আমার খুব বেশি পছন্দ না কিন্তু সবকিছুর প্রয়োজন আছে শুধু শীত থাকবে গরম থাকবে না এমনটা হয় না।
প্রতিটি মানুষ শীতের সকালে রোদকে উপভোগ করতে অনেক বেশি ভালোবাসে। তাই রোদকে উপভোগ করার জন্য সকালে একটু রাস্তায় যেয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। শীতের সময় রোদ উপভোগ করতে অনেক ভালো লাগে, রোদ উপভোগ করার সময় পাশে দেখতে পেলাম। মাশরুমের মত দেখতে একটা উদ্ভিদ যেটাকে আমাদের ভাষায় বলা হয় ব্যাঙের ছাতা। দেখতে অনেকটা মাশরুমের মতই লাগে কিন্তু এগুলো মাশরুম না। ছোটবেলায় এগুলো দিয়ে অনেক খেলা করতাম কিন্তু আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে এই ছাতা খুবই কম দেখতে পাওয়া যায়।
সকালবেলা কুয়াশায় ঘাসগুলো একদম ভিজে আছে, তাই আমি আমার ফোনটা নিয়ে ক্যামেরা বন্দি করে নিলাম সকালে সেই ঘাস ভেজা। দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে প্রতিটি ঘাসের সাথে। বেশ ভালই লাগতেছিল হালকা শীত কুয়াশা ছন্দ আবহাওয়া সবকিছু মিলিয়ে ভালোই লাগতেছে।
শীতের সময় সবকিছুই ভিজে থাকে আর ধানক্ষেত গুলো পানি দিয়ে একদম ভিজে আছে আর সাথে দেখতে পাচ্ছি একটা মাকড়সার জাল। তারা খুবই পরিশ্রম করে এই মাকড়সার যার তৈরি করে থাকে। বেশিরভাগ সময় এরা ঘরে বাসা বাধে থাকে বাইরে খুবই কম দেখতে পাওয়া যায় মাকড়সার বাসা।
ঘাস আমাদের পরিচিত একটি উদ্ভিদ যা ধান ক্ষেত সহ সকল ফসলের পাশে দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে কিছু কিছু ঘাস অসম্ভব সুন্দর লাগে দেখতে। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তাদের অতি পরিচিত এই ঘাস। বাইরে বের হলে বা জমিতে গেলে প্রতিনিয়ত আমাদের চোখে পড়ে থাকে। এরমধ্যেও কিছু কিছু ঘাস থাকে যেগুলোর ফুল ফুটে থাকে তখন দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে।
ধান ক্ষেতের পাতায় কুয়াশার পানি জমে আছে এই ফোটা ফোটা পানি হাত দিয়ে নাড়া দিলেই টিপটিপ করে পড়ে থাকে। এছাড়াও শীতের সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টির মত গাছ থেকে ঝরঝর করে পানি পড়ে। তখনই শীতকে খুব ভালোভাবে বোঝা যায় যে আসলেই শীত পড়েছে। রাতের চাইতেও সকালবেলায় আমরা শীতকে বেশি উপভোগ করতে পারি। যখন কুয়াশায় ভরে যায় সকল দিক আর মানুষ একটু দূরেই দেখতে পারে না এখনো এরকম শীত পড়া শুরু হয়নি।