রংপুর আমাদের বিভাগ অনেক সময় অনেক প্রয়োজনে আমরা রংপুরে যেয়ে থাকি বিশেষ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য। যখন রংপুরে আমরা ভালো চিকিৎসা করতে পারি না, তখন আমরা চলে যাই রাজধানী মানে ঢাকায় আর যখন ঢাকায় ও ভালো চিকিৎসা হয় না তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেই বাইরে কোথাও চিকিৎসা করার।
আপনারা জানেন কিছুদিন আগে আমার বোনের বাবু হয়েছে আর তার টিউমার ছিল দুটো অপারেশন এক সাথে করার কথা ছিল কিন্তু সিজার করানোর সময় সমস্যা হওয়ায় টিউমার অপারেশন করা হয় না। আর ডাক্তার বলেছিল এটা পরবর্তীতে করতে হবে যেহেতু টিউমার রয়ে গেছে তাই সবসময় একটা দুশ্চিন্তা যেন বোনের মধ্যে কাজ করতেছিল। বেশ কয়েকদিন হয় আমাকে বলতেছিল রংপুরে আসবে ডাক্তার দেখাতে যেহেতু বোন নীলফামারী থাকে আর ওখান থেকে রংপুর আসবে আর আমি বাসা থেকে যাব।
আর হ্যাঁ আপনারা জানেন আমার বোন জামাই ও এক্সিডেন্ট করে খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ছিল। সৃষ্টিকর্তার রহমতে সে এখন পুরোপুরি সুস্থই বলা যেতে পারে। যাইহোক গত পরশুদিন বোন ও দুলাভাই রংপুরের আসবে আর আমাকে বলেছিল রংপুরে আসতে। আমাদের বাসা থেকে রংপুর যেতে খুব বেশি সময় লাগে না দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে যাওয়া যায় কিন্তু বোন যেখানে তাকে ওখান থেকে আসতে অনেকটা সময় লাগে।
পরে বোন রংপুরে আসে আর আমিও বাসা থেকে যাই। আমি যাওয়ার আগেই বোন তার টেস্ট করানো সবকিছু করেছে। আর টেস্ট গুলো বের হতে বেশ সময় লাগবে এছাড়াও ডাক্তার বিকাল ৭ টার সময় বসে। আমার যেতে যেতে প্রায় চারটা পার হয়েছে। আমি যেয়ে দেখি তারা বাইরে বসে আছে আমার জন্য অপেক্ষা করতে ছিল। আর আমি যেয়ে ছোট বাবুকে দেখে আশ্চর্য হয়ে যায় এত তাড়াতাড়ি এত বড় হয়ে গেছে।
যাই হোক পরে আমি বাবুকে নিয়ে অনেকক্ষণ দুষ্টামি করি সেই সাথে বড় বাবু আমার সাথে দুষ্টামি করে। আর আমি বাসা থেকে খাবার নিয়ে গেছিলাম সেগুলো বোন জামাই বোন খায়। পরে আমরা ক্লিনিকে আসি এবং টেস্টগুলো এখনও বের হয়নি। বোন আবারো রাতেই চলে যাবে নীলফামারীতে আর আমি বাসায় চলে আসব। দুলাভাইয়ের ছুটি না থাকায় বোন বাসায় আসতে পারছিল না কিছুদিন পর আসবে।
সত্যি কথা বলতে ভালো ডাক্তারের কাছে গেলে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আমরা ফোনে সিরিয়াল দিয়ে রেখেছিলাম ৯ নাম্বারে কিন্তু টেস্ট বেরোতে দেরি হওয়ার জন্য আমরা যেয়ে দেখি ৯ নম্বর সিরিয়াল পার হয়ে গেছে। পরে অপেক্ষা করতে থাকি আর অপেক্ষা করতে করতে প্রায় দশটার সময় বোনকে দেখে। আর বলে সমস্যা নেই বাচ্চা যখন এক বছর পার হবে, বাড়তি খাবার খাবে তখন অপারেশন করতে হবে।
পরে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে হালকা খাবার খেয়ে বোনকে গাড়িতে উঠিয়ে দিই ইতিমধ্যেই দশটা পার হয়ে গেছে। পরে আমিও বাসায় আসার জন্য রওনা দেই রাত বেশি হওয়ায় গাড়ি পাওয়ার একটু ঝামেলা ছিল। অনেক কষ্ট করি আমি রাত একটার দিকে বাসায় আছি।