যার হারায় সেই বোঝে তার যন্ত্রণা

in hive-120823 •  4 months ago 
pexels-photo-3768131.jpegpexels

আমরা জানি পৃথিবীতে সবচাইতে আপন হচ্ছে মা, আর এই মা হারানো যন্ত্রণা সেই বুঝে যে হারিয়েছে। আপনারা জানেন কিছুদিন আগে আমি একটা পোস্টে বলেছিলাম, আমাদের পাশের বাসার একটি দাদী তার অসুস্থ সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়েছিল, সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হলো না।

pexels-photo-236380.jpegpexels

আজ থেকে ঠিক ২২ দিন আগে সে এই কাজটা করেছিল। সৃষ্টিকর্তা বেঁচে রাখলেও, তার কোন জ্ঞান ছিল না একদম মৃত মানুষের মত ছিল শুধু কোন রকম নিঃশ্বাস নিচ্ছিল। আর এই ২২ টা দিন হসপিটালে আইসিইতে ছিল। সবাই ভেবেছিল হয়তো সৃষ্টিকর্তা সুস্থ করে দেবে কিন্তু না ২২ দিন পর গতকালকে দুপুরে সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান। সেই মৃত্যু তার পরিবারের দুটি সন্তান কোনভাবেই মেনে নিচ্ছিল না, আর নিবেই বা কি করে, মাকে বাঁচানোর জন্য যত রকম চেষ্টা করতে হয় তারা সবটুকু করেছে।

pexels-photo-2324837.jpegpexels

এইতো কিছুদিন আগে তার মাকে ইন্ডিয়া নিয়ে গেছিল, রোগ ও ধরা পড়েছিল আর সেখানকার ওষুধ দেওয়ার পর তার মায়ের শরীরের ব্যথার যন্ত্রণা খুবই ভয়ানক আকার ধারণ করে। আর ডাক্তার বলেছিল এই ওষুধের প্রভাব খুব কঠিন ভাবে পড়বে। কিন্তু তাকে সহ্য করতে হবে আর সব সময় পাশে মানুষ থাকতে হবে। সবসময় মানুষ থাকলেও কিছু সময়ের জন্য চোখের আড়াল হয়েছিল আর ওই সময়টুকুতেই তিনি গলায় দড়ি দিয়েছিল।

গত কালকে দুপুরে যখন মারা যায় তখন রংপুর হসপিটালে ছিল আর মারা যাওয়ার পর লাশ কোনভাবেই দিচ্ছিল না কারণ সে গলায় দড়ি দিয়েছিল। এই নিয়ে শুরু হয় আর এক ঝামেলা আমাদের লালমনিরহাটের থানার পুলিশ মানছিল না পোস্ট ম্যাডাম করতে বলে। সেখানে অনেক ঝড় ঝাপটার পর সেই লাশ বাসায় আনতে পারে তাও রাত বারোটা পর।

অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শুনে আমি বাসা থেকে যায়, আর তাদের আত্মনাদ দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলাম না। টাকাকে টাকা বলেনি শুধু মায়ের চিকিৎসার জন্য, গরু থেকে শুরু করে জমা জমি অনেক কিছু বিক্রি করেছে, তারপরও মাকে বাঁচাতে পারল না। তারা দুই ভাই ও তিন বোন,, বোন গুলোর সবার বিয়ে হয়েছে আর বড় ভাই বিয়ে করেছে আর চাকরি করে সে বাইরে থাকে। ছোট ভাই ও পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকতো মায়ের অসুস্থর জন্য সে বাইরে যাওয়া বাদ দিয়েছে, সবসময় মায়ের পাশে থাকে মায়ের সেবা করে ।

আজ যখন তার মা নেই তখন সে যেন কোনভাবেই এটা মেনে নিতে পারছিল না। যখন শুনেছি তার মা নেই তখন সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তাকে স্যালাইন লাগানো হয়েছিল। যাইহোক রাত বারোটার পর যখন লাশ নিয়ে আসে আর আনার পরে রাতেই তাকে কবর দেওয়া হয়। সবাই সেই দাদীর জন্য দোয়া করবেন সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

যদি কেউ কারো দরদ বুঝতো তাহলে মানুষ মানুষকে মারতে পারতো না অথবা হত্যা করতে পারত না। কেউ কখনো কারোর যন্ত্রণা বোঝে না হয়তো অনেকেই বোঝার চেষ্টা করে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।

একদম সঠিক বলেছেন ভাই যদি কেউ কারো বুঝতো তাহলে মানুষ কখনো মানুষকে হত্যা করতে পারতো না।। কোথায় আছে যার মাথা তার ব্যথা আর সেই ব্যথা কেউ বোঝে না।। খুবই চমৎকার কমেন্ট করেছেন ভাই খুবই ভালো লাগলো।।

কিছুক্ষণ আগে আমি কার যেন ঠিক এই কথাটি বলছিলাম যে যার মাথা তারই ব্যথা অন্য কেউ এই ব্যথা ফিল করতে পারবেনা ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন