রবিবার সকাল টা ঘুম ভেঙেই ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়ে অফিসে আসার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। গতদিনের নানা জুস কিছুটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা করছিল। আমার এই একটা অসুস্থতা কমবেশি লেগেই থাকে।যাইহোক স্নান সেরে খাওয়া দািয়া করে বেরিয়ে পড়লাম।এত সকালে বেরিয়েছি তাও রোদের কবলে পড়লাম।বাইরে তখনি এত তাপদাহ যে সহ্য করা যাচ্ছে না।কাছে ব্যাগ থাকায় কয়েক মিনিটের ভিতর শার্ট ঘামে ভিজে গেল।একটা অটোতে করে রূপসা ঘাটে পৌঁছে গেলাম।ট্রলারে উঠে দাড়িয়ে রইলাম। তখনো ট্রলারের পর্যাপ্ত যাত্রী হয়নি।এরপর ট্রলার পার হয়ে বাস ধরার পালা।আজ হাতে সময় থাকায় আর চিন্তা করিনি।বাসে উঠে বসে একটা পোষ্ট রেডি করতে থাকলাম।
এরই মধ্যে বাস ফকিরহাট পৌঁছে গেল।ফকিরহাট নামা মাত্রই কলিগ ফোন করল যে সেও রওয়ানা করেছে। কাজেই আজ আর অপেক্ষা করা লাগছে না।কলিগ আসলে রওয়ানা করলাম।১০ টার কিছু আগে অফিসে পৌঁছে গেলাম।বাইক থেকে নামলেই আবারো গরমের তীব্রতা অনুভব করতে পারলাম।অফিসে ঢুকে দেখি বিদ্যুৎ নাই।এরপর অফিসে লোকজন আসতে শুরু করল আর কাজের ভিতর ডুবে গেলাম।
আমি বরাবরই লাঞ্চ সময়ে গড়িমসি করি না।সামনে লোকজন থাকলে বলি লাঞ্চ করে এসে কাজ করব।লাঞ্চ শেষ করে কলিগের সাথে কিছুক্ষন গল্প করলাম।কলিগ যশোর থেকে একটা নতুন হেলমেট আনিয়েছে।সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম।হেলমেট ভাল না হলে কি বিপদ হতে পারে তার কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা কলিগ শেয়ার করল। এরপর পুনরায় কাজ শুরু করলাম।
কাজ শেষ করে অফিসিয়াল কাজে একটা জায়গায় ভিসিট করতে গেলাম কলিগের সাথে।এই অঞ্চলে এখন ধান কাটার সময়। আশেপাশের সব জমিতে কম বেশি ধান রোপন করা হয়েছিল।রাস্তার দুপাশের জমিগুলো থেকে পাকা ধানের গন্ধ নাকে ভেসে আসছিল। সন্ধ্যার পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলাম কলিগেরই সাথে।বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল।বাড়ি পৌঁছেই প্রথমে চলে যায় ছাদে।সেখানে গিয়ে দেখি কিছু গাছ রোদে জল না পেয়ে মরে গেছে! দেখে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।গাছগুলোকে গত বর্ষার সিজনে এনে লাগিয়েছিলাম।
Source: খেলা চলাকালীন মোবাইলে স্ক্রিনশট নেয়া।
গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে কত সময় চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম। এরপর বাকি গাছগুলোতে পর্যাপ্ত জল দিয়ে নিচে নেমে এলাম।গ্রামের বাড়ি হলেও এখন এখানেও খুব গরম পড়েছে।স্নান সেরে কিছু সময় বিশ্রাম নিব এমন সময় মনে পড়ল আইপিএল এ আজ অনেক ভাল একটা খেলা হচ্ছে।মোবাইলেই খেলা দেখা শুর করলাম।আসলেই ম্যাচটি দেখে অনেক মজা পেয়েছি। এরপর নিজের কিছু কাজ সারতে লাগলাম।এরই মধ্যে মা খেতে ডাকছে।সাড়া না পেয়ে রুমে চলে এসেছে।মার সাথে নিচে নেমে গেলাম ডিনার করার জন্য। গরমে ক্লান্ত লাগছিল তাই আর দেরি না করে ঘুমাতে চলে গেলাম পরের দিনের আশায়।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
সত্যিই হেলমেট খুব জরুরি বাইকারদের জন্য কারন দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না তাই সবারই সতর্ক থাকা আবশ্যক। আপনার বন্ধু তার কিছু বাজে অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছে। আপনার মতো আমিও আইপিএল খেলা দেখি রেগুলার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছু খাবার আছে যেগুলো ফেলে প্রায় সময়ই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। আমরা যারা বাইক চালাই তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই হেলমেট খুবই জরুরী। কারণ দুর্ঘটনা কখনো বলে আসেনা।
আপনি দেখি প্রতিদিনই আইপিএল খেলা দেখে থাকেন।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit