আজ সকালে মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙে।মাকে বলে রেখেছিলাম আগেই যেন আমাকে সকালে ডেকে তোলে কারণ আজ আমি এক কলিগের সাথে অফিসে যাব।তাই আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে হবে।মা যখন ডেকে দিল তখন সকাল ৮:০০ টা বাজে।এরপর মায়ের সাথে কথা বলতে বলতে আমড়া পাড়তে লাগলাম।এই সময় আমড়া দিয়ে টক ডাল অসাধারণ লাগে আমার।বাড়িতে আমড়া গাছ থাকায় যখন তখন এই খাবার টা খেতে পারি আমরা।মাকে আমড়া পাড়তে সাহায্য করে চলে গেলাম ছাদে।বাড়িতে না থাকার দরুন আমার ছাদে লাগানো সব গাছই প্রায় মরে গেছে।অল্প কিছু ক্যাপসিকামের চারা বেঁচে আছে।গাছগুলোতে ফুল এসেছে দেখে মনের ভিতর আনন্দের বাতাস বয়ে গেল।
গাছগুলোর গোড়ায় আগাছা জন্মেছে অনেক।সেগুলো হাত দিয়ে তুলে ফেলে দিলাম।এখন বর্ষাকাল চলায় প্রায় নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে যার ফলে গাছে জল দেয়ার অতিরিক্ত পেইন নাই।সেখানে অল্প সময় থেকে রুমে চলে এলাম।এরপর স্নানাদি সেরে অফিস যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করলাম।স্নান সেরে নিচে নামতেই ৯ টা বেজে গেল।কোন রকম নাকে মুখে দুমুঠো ভাত খেয়েই বেরিয়ে পড়লাম।কিন্তু কলিগের দেখা মিলছে না এবং সে ফোনও তুলছে না।চিন্তায় অস্থির লাগতে শুরু করল।কিছু সময় পর সে এলে দুজনে রওয়ানা হলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।
অফিসে এসেই বিরক্তিকর যন্ত্রণায় পড়লাম।আমার ডেস্কের কম্পিউটারটা নষ্ট হয়ে গেছে একদম।এখন নতুন পি সি তে কাজ করতে হবে।কিন্তু কম্পিউটার রেডি করতে নিজেরা পারব না।অনেক যোগাযোগ করেও কাজ হলো না।দপ্তর বিহীন মন্ত্রীর মতো ঘুরে বেড়ালাম লাঞ্চ পর্যন্ত। কাজ থাকুক বা না থাকুক খাওয়ার সময় হলে খেয়ে নিতে হবে এই নীতিতে বিশ্বাসী আমি।কাজেই খাওয়ার কাজ সারতে চলে গেলাম।খাওয়া দাওয়া শেষ করে কলিগের সাথে কিছু সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললাম।
এভাবে লাঞ্চের পরও বহু সময় পর আমার কম্পিউটার ঠিক করে দিল নিয়ন্ত্রণকারী কতৃপক্ষ।বিকালে অফিসের নিচে নামলাম কিছু কাজ করতে।এরপর হালকা খাবার খেয়ে অফিসে চলে এলাম।অফিস থেকে বের হতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।
আজ আমার কলিগ হঠাৎ আমার সঙ্গে যেতে চাইল।তাই তাকে ফকিরহাট দিয়ে তারপর আমাকে পুনরায় বাড়ি যেতে হবে।আজ ভিন্ন একটা রুটে আমরা ফকিরহাট পৌছালাম।রাতের বেলায় বাইপাস খুব ভয়ানক হয়ে যায়।যাইহোক সাবধানে তাকে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি এলাম।
বাড়িতে পৌঁছে দেখি ছোট বোনটা অসুস্থ। কিছু সময় ওর পাশে বসলাম।ও অসুস্থ হওয়ায় একদমই কথা বলছিল না।তাই ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করলাম।এরপর ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় নিজের মতো কাটালাম।রাতের খাবার খেতে ডাকলে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।হঠাৎ কফি খেতে মন চাইল,যেই ভাবা সেই কাজ,এক মগ কফি নিয়ে বেডরুমে চলে গেলাম।ফোন ব্রাউজ করতে করতে কফির কাপে চুমুক, অন্য রকম ভালো লাগল সময়টা।তারপর ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
টক ডাল আমারও ভীষণ প্রিয়। গ্রামের দিকে অধিকাংশ বাড়িতেই আমড়া গাছ রয়েছে। আমড়ার টকও সবার কাছে খুব প্রিয়। গাছপালার যত্ন না করলে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ইলেকট্রনিক জিনিস যখন তখন নষ্ট হয়ে যায় এর কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ গ্রাম অঞ্চলে আমড়া গাছ বেশ পরিমাণ রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit