পার্টনারের ছেলের বিয়েতে

in hive-120823 •  2 months ago 
IMG_20250113_003910.jpg


হ্যালো বন্ধুরা

গতকাল ছিল আমাদের পার্টনারের ছেলের বিয়ে। আমরা কয়েকজন একসাথে মিলে ঢাকার শনিআকড়ায় ফ্লাট তৈরি করেছি, ওই ফ্ল্যাটেরই এক পার্টনারের ছেলের বিয়ে ছিল গতকালকে। তাই আমি ও আমার সাহেব বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছিলাম।

IMG20250111142639.jpg

আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন চাকরির সুবাদে আমার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এ থাকি। আর আমার বাকি পার্টনাররা যার যার ফ্লাটেই থাকেন। একসাথে ফ্লাট তৈরি করতে গিয়ে ওদের সাথে একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে আমাদের। তাছাড়া আমরা প্রায় সবাই একসাথেই জব করতাম ,ওনারা রিটায়ার্ড হয়ে যার যার ফ্ল্যাটে উঠেছেন ।আমাদের যেহেতু এখনো চাকরি আছে তাই আমাদের ফ্ল্যাটটা ভাড়া দিয়ে রেখেছি।

IMG20250111142531.jpg
IMG20250111142553.jpg

তবে যে কোন উৎসব অনুষ্ঠানে আমরা একসাথে হওয়ার চেষ্টা করি। তাছাড়া অনেক প্রয়োজনই ফ্লাটে যেতে হয়। আমার ফ্লাটে যে ভাড়াটিয়া থাকে সে বিদেশে চলে যাবে। শুধু বিয়েতে অংশগ্রহণ করার জন্যই নয় ,আমার ভাড়াটিয়ার সাথে দেখা করার জন্য ও গিয়েছিলাম সেখানে।

IMG20250111134035.jpg

এখন বর্তমানে ঢাকা শহরে গ্যাসের খুব সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের বিল্ডিং এ প্রায়ই গ্যাস থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই তাকে ইলেকট্রিক চুলায় রান্না করতে হয়। এজন্য অনেক টাকা মাস শেষে বিল দিতে হয়। শুধু অনেক টাকা বিলে দিতে হয় না, প্রায় কয়েকবারই কারেন্ট চলে যায়। হয়তোবা মাত্রা অতিরিক্ত লোড নেওয়ার কারণে কারেন্ট সাপ্লাই ঠিকমতো দিতে পারছে না।

বিভিন্ন কারণে আসলে গতকালকে হঠাৎ করে ঢাকা চলে গিয়েছিলাম। আমি সাধারণত ট্রেনেই যাতায়াত করি। আর আমাদের ট্রেনের সময় ছিল ভোর ৫ টা ৫৫ মিনিট। তাই স্বাভাবিকভাবে সাড়ে চারটার দিকে ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে নিয়েছি একটু আগেই। আমরা যখন রওনা দিয়েছিলাম তখন রাস্তার মধ্যে ফজরের আযান দিল।

তাই বন্ধুরা বুঝতেই পারছেন কখন বাসা থেকে রওনা দিয়েছি। একেবারে ভোর রাত। এর মধ্যে সারা দেশে সত্য প্রবাহ। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে ট্রেনে উঠেছিলাম। তবে যেহেতু গভীর রাত এর মধ্যে সত্য প্রবাহ রয়েছে। তাই যাত্রীর চাপ একটু কম ছিল।

তিতাস কমিনিউটার ‌। এটি একটি লোকাল ট্রেন। তবে স্বাভাবিকভাবে টেনে প্রচুর যাত্রী হয়। বেশিরভাগ লোক চাকরিজীবী। সকালে অফিস করে রাতের বেলা বাসায় চলে আসেন। আমরাও যেহেতু খুব সকালে ট্রেনে উঠেছি তাই সাড়ে নয়টার মধ্যে ঢাকা পৌঁছে গিয়েছিলাম।

ঢাকা পড়ছে আমার ভাগ্নির বাসায় উঠেছে ।ভাগ্নির বাসা থেকে নাস্তা খেয়ে একটু রেস্ট নিয়ে দুপুরের দিকে কমিউনিটি সেন্টারে চলে গিয়েছি। কমিটি সেন্টারের নাম ছিল স্বপ্ন বিলাস। এটি আমার ফ্ল্যাটের সামনেই, তাই আমরা পায়ে হেঁটে গিয়েছিলাম কমিউনিটি সেন্টারে ‌। অনেকের সাথে বহুদিন পর দেখা হয়েছে। তাই সবার সাথে মতবিনিময় করে, একসাথে খাওয়া দাওয়া করে , দূই আড়াই ঘন্টার মত সময় কাটালাম ওনাদের সাথে।

তারপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমাদের ট্রেনের সময় ছিল বিকাল ৫:৫৫ মিনিট। তাই বিকেল চারটার দিকেই কমিউনিটি সেন্টার থেকে বের হয়ে গেলাম।
ট্রেন স্টেশনে যেয়ে ট্রেনের টিকেট কেটে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করলাম। নির্দেশের সময় ট্রেন ছেড়ে দিল। এবং সঠিক সময় বাসায় এসে পৌঁছলাম আলহামদুলিল্লাহ। মোটামুটি ভালই কেটেছিল দিনটি। তাই আপনাদের সাথে ও শেয়ার করলাম। আজ আর নয় ,আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহাফেজ‌।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

একটা জায়গায় থাকতে থাকতে মানুষের সাথে আমাদের বন্ধুসুলভ আচরণ শুরু হয়ে যায় আসলে একটা বন্ধুত্ব আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আবার একটা ফ্যামিলির মতো হয়ে যায় প্রতিটা মানুষ তার ফ্যামিলিকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করে আপনি আপনার কলিগের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন যেটা দেখে বেশ ভালো লাগলো এবং যেই উদ্দেশ্যে গিয়েছেন সেটা সফল হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

  • একদমই তাই আমরা সবাই মিলে একটি পরিবারের মতই সবাই সবার সুখে-দুখে এগিয়ে আসি। তাছাড়া ওনার অবদান অনেক আমাদের ফ্ল্যাট করার বিষয়ে। তাই একটু কষ্ট হলেও বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছিলাম ‌