মেঘনার তীরে কিছুটা সময়

in hive-120823 •  7 months ago  (edited)
IMG_20240711_235143.jpg


হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা

বন্ধুরা আজ বিকেলে খুব সুন্দর একটি সময় কাটালাম। আমি ও আমার এক বান্ধবী অর্থাৎ আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজে চাকরি করার পূর্বে আমি একটি হাইস্কুলেও ৪ বছরের মত চাকরি করেছিলাম। ওই স্কুলের সাবেক কলিগ ,এখন সে ওই স্কুলের হেডমাস্টার পদে নিয়োজিত রয়েছেন।

IMG20240710180437.jpg

সে সময় সুযোগ পেলেই আমার কোয়ার্টারে চলে আসে একটু সময় কাটানোর জন্য। এখন তো বর্ষাকাল তাই নদীতে পানি ছুই ছুই অবস্থা ধারণ করছে। সে এক অপরূপ সৌন্দর্য ,যা বর্ণনা করার মত ভাষা আমার নেই।

IMG20240710180943.jpg

ব্যক্তিগত কারণেই আমি অনেকটা চিন্তাযুক্ত অবস্থায় রয়েছি কিন্তু যখনই এই মেঘনার তীরে প্রবেশ করলাম, তখনই মনটা পরিবর্তন হয়ে গেল ক্ষণিকের জন্য হারিয়ে গেলাম সৌন্দর্যের লীলাময় ভূমিতে। সত্যি বলতে এত সুন্দর করে তৈরি করেছেন আমাদের এই বাসভূমি। যেদিকে তাকাই ওদিকেই তার অপরূপ সৌন্দর্যের স্বাক্ষর বহন করে।

IMG20240710180656.jpg

সাগরের মত ঢেউ এসে তীর হানা দিচ্ছে ।দমকা হাওয়া মন মাতাল করে তুলছে। এত ভালো লাগছিল ইচ্ছে করছিল না আসতে ।আমরা দুজনে প্রায়ই সূর্য আস্তের পূর্ব পর্যন্ত ওখানেই ছিলাম ।কয়েকটি ছবি ধারণ করলাম এবং নদীর তীরে বসে কতক্ষণ গল্প করলাম।

এক পরিচিত ভাবি তার বাচ্চাকে নিয়ে গিয়েছিল নদীর মুক্ত হাওযায় সময় কাটানোর জন্য ।অবুঝ বাচ্চাটি মায়ের কোল থেকে নেমে এক দৌড়ে চলে গেল পানির মধ্যে। মা কোনক্রমেই তাকে আটকে রাখতে পারছিলনা। পানির মধ্যে ছুটা ছুটি করতে লাগলো। যা দেখে আমি হেসে খুন। এত ছোট বাচ্চা এত ট্যালেন্ট হয় কি করে। বিন্দু পরিমাণে ভয় নেই তার ভিতর ,সে নির্দ্বিধায় অকপটে চলছে পানির মধ্যে ‌।

IMG20240710181206.jpg

তাই আবার আমি মোবাইলটা বের করে এই সুন্দর দৃশ্যটা ক্যামেরা বন্দি করে রাখলাম যা এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আমার এই বান্ধবীর সাথে প্রায় দীর্ঘদিন যাবত ই সম্পর্ক ও সময় সুযোগ পেলেই আমার এখানে চলে আসে। সেই আসলে আজকে আবদার করেছে ,চল নদীর পারে যাই কিছুক্ষণ বসে থাকলে ভালো লাগবে।

আমি অবশ্য প্রথম রাজি হয়নি ,পরে ভাবলাম একা একা তো আর যাওয়া হয় না ।যেয়ে দেখি নিশ্চয়ই ভালো লাগবে তবে এই নদীর পারে আমি আরো বহুবার এসেছি খুব ভালো লাগে আসলে। নদীর পারে আবার কিছু ফুচকা ও বাদামে দোকান রয়েছে । তাই বসে বসে বাদাম খাচ্ছিলাম আর দুজনে গল্পে মেতে উঠলাম ।বাদাম খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে গল্প করতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে, হয়তো আপনার ও আমাদের সাথে একমত হবেন তাই নয় কি বন্ধুরা।

বাদামের সাথে গল্প একাকার হয়ে গেছে।নদীর মুক্ত হাওয়া গায়ে এসে লাগছে সবমিলিয়ে অসাধারণ পরিবেশ। আমার মনে হয় এই ধরনের মুক্ত হওয়ায় প্রতিনিয়তই আমাদের কিছুটা সময় অতিবাহিত করা উচিত ।যা শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

আর এই মেঘনা নদীতে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মাছ পাওয়া যায় ,যা খেতে বেশ সুস্বাদু হয় ।একেবারেই টাটকা সন্ধ্যার পর এই মেঘনা নদীর পাশেই একটি মাছের বাজার রয়েছে সেখান থেকে আমাদের কোয়ার্টারের লোকজন মাছ কিনে থাকেন। আমরা অবশ্য আজকে মাছ কিনিনি কারণ সেই উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা যায়নি।

সত্যি বন্ধুরা এক সুন্দর একটি সময় কাটালাম যা আমার হৃদয়ের মনি কোঠায় দীর্ঘদিন গেঁথে থাকবে। আজ তাহলে এখানেই লেখার সমাপ্ত টানছি। পরিশেষে ,সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম । মহান রাব্বুল আলামিন সবাইকে সুস্থ রাখুক সেই কামনাই করি।।আল্লাহ হাফেজ, শুভরাত্রি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

অনেকদিন পর পুরানো সেই কলিগের সাথে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন।। পদ্মা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে সেই নদীর ঢেউ দেখতে কার না ভালো লাগে।। এক পরিচিত ভাবি তার বাচ্চাকে নিয়ে গেছিল আসলে ঘোরাঘুরি করলে মন এমনি ভাল হয়ে যায় তাই মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করা উচিত।।

আমি মনে করি মন ভালো করার জন্য, অবশ্যই নদীর পাড়ে দিলে মনটা সবারই ভালো হয়ে যায়, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাবো এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

নদীর তীরে বেড়াতে যাওয়ার শান্তিই অন্য রকম হয়ে থাকে। আপনি আপনার সাবেক কলিগ ও বান্ধবী আপনার বাসায় বেড়াতে এসেছিলো। তার সাথেই আপনি মেঘনা পারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আপনাদের নদীতে পা বাজানো ছবি দেখে আমারই লোভ লাগছে যাওয়ার জন্য। যদিও আমি পানিতে নামতে পারি না ,ভয় লাগে।
খুব ভালো লাগলো আজকে আপনার অন্যরকম একটা লেখা পড়ে।