গুড়া চিংড়ি মাছের গল্প,,,,

in hive-120823 •  2 days ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আবারো আপনাদের মাঝে এসেছি একটা নতুন গল্প নিয়ে তো দেরি না করে শুরু করি।

IMG_20241116_171752.jpg

  • আজকে সকালে আমার হাজবেন্ডের জন্য নাস্তা প্রস্তুত করেছিলাম। রান্নাঘরে বিভিন্ন ধরনের মসলা ও সবজি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছিলাম।
    ভাবছিলাম যে আজকে নাস্তা টা একটু অন্যরকম করব। হঠাৎ আমার ফোনে একটি মেসেজ এলো। আমি তাড়াতাড়ি করে গিয়ে মোবাইলে মেসেজটা চেক করলাম। মেসেজটা দেখেই আমার মুখে হাসি ফুটে উঠলো। কারণটা হলো আমার হাজব্যান্ড মেসেজ করে বলেছে বাজার থেকে আমি গুড়া চিংড়ি নিয়ে যাচ্ছি। গুড়া চিংড়ি আমার ভীষণ পছন্দ। এটা আমার হাজবেন্ড ও জানে যে গুড়ো চিংড়ি আমি কতটা পছন্দ করি।

IMG_20241116_171606.jpg

শুধু আমি পছন্দ করি না আমার হাজবেন্ডও গুড়া চিংড়ি ভীষন পছন্দ করে। তাই আমি প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আজকে বিশেষ পদ রান্না করব। ভাবছিলাম আজকে গুড়া চিংড়ি দিয়ে কি রান্না করা যায়।এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠলো। আমি তড়িঘড়ি করে দরজার কাছে গিয়ে দরজাটা খুলে দিলাম। দেখি আমার হাজবেন্ড মিটমিট করে হাসতেছে।

গুড়া চিংড়ি দেখে একদিকে আমি তো ভীষণ খুশি,, আবার অন্য দিকে ভালো লাগতেছে না যে,, এইগুলা আমি কতক্ষণে কাটবো। মজার বিষয় কি জানেন এই গুড়া চিংড়ি কাটার সময় আমার এমন অবস্থা কখন যে, আমি কান্না করে দেই।এই অবস্থা দেখে আমার হাজবেন্ড নিজের থেকেই আমাকে সাহায্য করার জন্য বসে পড়লেন। এবং আমার সাথে এই গুড়া চিংড়িগুলো কাটতে লাগলেন। আমি কাটার সুবিধার্থে প্রথমে চিংড়িগুলো ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে, একটু হলুদ ও লবণ দিয়ে সামান্য ভেজে নিয়েছি কড়াই এ।এভাবে হালকা আচ দিলে একটা চিংড়িও নষ্ট হবে না

IMG_20241116_171648.jpg

আমি ও আমার হাজবেন্ড মাছগুলো কাটতেছিলাম আর হাসতেছিলাম বিভিন্ন গল্প নিয়ে। আমার হাজবেন্ড যখন নিজের থেকেই সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসলো তখন আমার খুব ভালো লাগছিল। কারণ হচ্ছে আমি একা একা কাটতে অনেক সময় লাগবে কিন্তু আমার হাজবেন্ড সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে এখন বেশি সময় লাগবে না এই ভেবে। এদিকে আমার মেয়েটা আমাদের অনেক ডিস্টার্ব করতেছিল। কি আর করা ওকে ম্যানেজ করে আমরা দুজনেই মাছগুলো কাটতে লাগলাম।

আমাদের সবারই কিন্তু উচিত যে, স্বামী স্ত্রী যেই হয় না কেন একে অপরকে সবকিছুতেই সাহায্য করলে, তাহলে হাজারো কঠিন কাজ সহজ মনে হবে। আমরা দুজনেই মাছ কাটা শেষ করলাম। আমার হাসবেন্ড আমার মেয়েকে দেখাশোনা করলো এবং আমি তাড়াতাড়ি করে তরকারিটা রান্না করে ফেললাম। গুড়া চিংড়ির স্বাদে নতুন একটা রসিকতা সৃষ্টি হলো।

IMG_20241116_190115.jpg

হঠাৎ আমার হাজবেন্ড বলে উঠলো তুমি কি জানো,গুড়া চিংড়ি হলো আমাদের সম্পর্কের মতো, মাঝে মাঝে অস্বচ্ছ কিন্তু খুবই উজ্জ্বল। আমি তাকে সমর্থন দিয়ে বললাম ঠিকই বলেছো, জীবনে নানা টানাপড়োনে আমাদের সম্পর্ককে সতেজ রাখতে এই ছোট্ট অসামান্য বিষয়গুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এসব গল্প করতে করতে আমাদের খাওয়া শেষ হল। আমাদের সবারই উচিত এরকমভাবে সুখে- দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা এবং সাহায্য সহযোগিতা করা।

  • যাইহোক, আজ আর লিখতে চাই না সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমাদের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ হাফেজ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আমার মনে হয় গুঁড়ো চিংড়ি মাছ খেতে সবাই কম বেশি পছন্দ করে। শুধু এটা পরিষ্কার করা নিয়ে ঝামেলার জন্য অনেক মানুষ গুড়ো চিংড়ি বাসায় নিয়ে যেতে চায় না। আপনি আজকে রান্না করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তখন হঠাৎ করে আপনার হাজব্যান্ড আপনার মোবাইলে এসএমএস করেন। আপনি এটা জানতে পেরে অনেক খুশি হয়েছেন এবং আপনি ও আপনার হাসবেন্ড গুড়ো চিংড়ি মাছ খেতে অনেক পছন্দ করেন।

এটা আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে জানতে পেরে যে আপনার হাজব্যান্ড আপনার কাজে সহযোগিতা করেছে। প্রত্যেকটা হাজবেন্ডের উচিত তার স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করা কারণ স্বামী স্ত্রীর মধ্য ভালোবাসা থাকলে সব কিছু করা সম্ভব। যাইহোক আশা করি গুঁড়ো চিংড়ি আপনারা সবাই অনেক আনন্দের সাথে খেয়েছেন ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।