Better Life With Steem || The Diary game || 09/11/2024

in hive-120823 •  9 days ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম

  • বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সকলে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমার কথা আর নাই বা বলি গতকালের কাটানো দিনটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই । আশা করি আমার লেখা পোস্টটি সকলের অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার তাহলে লেখা শুরু করি।

IMG_20241110_102538.jpg

সকাল থেকেই মনটা অনেক বেশি খারাপ। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর এত বেশি খারাপ লাগছিল,বলে বোঝাতে পারবো না।
হঠাৎ মায়ের কথা খুব মনে পড়ছিল। কোন কাজে মন বসছিল না। তবুও কাজ তো করতেই হবে। প্রতিদিনের মতো আজকেও রান্নাঘরে ঢুকে আটা সিদ্ধ করে নিয়ে রুটি বেলতে শুরু করলাম।রুটি বেলতে বেলতে মনের ভিতর মায়ের সাথে কাটানো বিভিন্ন সময় মনে পড়ে গেল।

বেশ কয়েক মাস হচ্ছে মায়ের সাথে দেখা নেই। বিয়ের আগে মা এক মুহূর্ত বাড়িতে না থাকলে সব কিছু যেন এলোমেলো লাগতো শুধু খুঁজে বেড়াতাম মা কোথায় গেছে। আর এখন কিনা কত মাস হচ্ছে দেখা নেই। কোন সমস্যায় পড়লে সবার আগে মাকে বলতাম আর মা সাথে সাথে সমাধান করে দিত এই দিনগুলো খুব মিস করি। এখনো কোনো সমস্যায় পড়লে সাথে সাথে মাকে কল দেই,, মা যে কোন একটা সমাধান বের করে দেয়।

রুটি বেলা শেষ হলে সাথে সাথে ভেজে ফেললাম। কাজে মন দিতে লাগলাম। কিন্তু কিছুতেই কাজে মন বসছিল না। সব কাজ ফেলে ভাবলাম মায়ের সাথে একটু কথা বলি। কল দিয়ে সাথে সাথে কথা বললাম তখনই মন ভালো হয়ে গেল। রান্নাবান্না শেষ করে হাজবেন্ড কে ঘুম থেকে উঠালাম। তিনি ফ্রেশ হয়ে আসলো খাইতে দিলাম। তিনি খাওয়া-দাওয়া শেষ করে অফিসে চলে গেল। এদিকে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠাইয়া কিছুক্ষণ তার সাথে খেলতে লাগলাম এরপর মা মেয়ে দুজনেই সকালের খাবার খাওয়া শেষ করলাম।

IMG_20241110_102600.jpg

সব কাজ ফেলে রেখে মেয়েকে নিয়ে একটু বাইরে গেলাম। ভাবলাম মেয়েকে নিয়ে একটু ঘুরে আসি। মেয়ের ভালো লাগবে সাথে আমারও একটু ভালো লাগবে। তারপর বেশ কিছুক্ষণ মা-মেয়ে দুজনেই বাহিরে একটু ঘোরাফেরা করে বাসায় চলে আসলাম।
আমার এই পিচ্চি মেয়েটা বাসার ভিতর থাকতে চায় না। ও চায় সারাক্ষণ ওরে নিয়ে বাহিরে ঘোরাফেরা করি ,
কিন্তু সংসারের নানারকম কাজের ফাঁকে খুব একটা বাহিরে বেরোনো হয় না। আমাদের মা-বাবাদের উচিত বাইরে বাচ্চাদের ঘুরতে নিয়ে যাওয়া। আমি সব সময় চেষ্টা করি হাজারো ব্যস্ততার মাঝে মেয়েকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যেতে।

দুপুরে ভাবলাম কি রান্না করা যায়। মনে পড়ে গেল আমার হাজবেন্ড বাজার থেকে একটা লাউ নিয়ে এসেছে। যেই ভাবা সেই কাজ সাথে সাথে ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে,, লাউ দিয়ে রুই মাছ রান্না করে ফেললাম। মেয়েকে গোসল করিয়ে খাবার খাওয়াইয়া ঘুম পাড়িয়ে দিলাম।এ দিকে নিজে গোসল শেষ করে আমার হাজবেন্ডের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর হাজবেন্ড চলে আসলো তিনি ফ্রেশ হয়ে টেবিলে এসে বসলো আমি তাকে খাবার পরিবেশন করলাম সাথে নিজেও খেতে বসলাম। দুপুরের খাবার শেষ করে বিশ্রাম নিলাম।

IMG_20241110_102407.jpg

সন্ধ্যার সময় ভীষণ মাথাটা ধরেছে। কি করা যায় তখনই মাথায় আসলো ভাবলামড়প এক কাপ চা খেলে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। সাথে সাথেই দু কাপ চা বানালাম।এক কাপ আমার হাজবেন্ডের আর এক কাপ চা আমার। দুজন মিলে চা খেতে খেতে অনেক গল্প করলাম। ছোটখাটো একটা আড্ডাও হয়ে গেল।

মেয়েকে নুডুলস খাওয়ালাম দুইজন মিলে। আমরা দুজন চেষ্টা করি মেয়েকে অনেক অনেক সময় দেওয়ার জন্য। এই সময়টা আমার মেয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে আমার সারাটা দিন কেটে গেল। আপনারা সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন ও যেন সবসময় ভালো থাকে সুস্থ থাকে।

IMG_20241110_102245.jpg

  • যাই হোক আজ অনেক কথাই বলা হলো, এর ভিতরে হয়তো অনেক কিছু ছেড়েও দিয়েছি সবকিছু তো আর মনে থাকে না। তারপরও চেষ্টা করেছি আপনাদের সাথে সম্পূর্ণটা শেয়ার করার জন্য। আজকের মত আমার লেখা এখানেই সমাপ্তি করতে চাই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আমরা ছোট হই বা বড়ো সব সময়ই আমাদের সকল সমস্যার সমাধান আমরা মায়ের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। আমাদের সকলের বিশ্বাস যে আমাদের বিপদ থেকে উদ্ধার কেবল মা দিতে পারে তাই যেকোনো খারাপ পরিস্থিতিতে ছুটে যাই মায়ের কাছে।

জীবন সব সময় একরকম থাকে না। একটা সময় চোখের সামনে থেকে মা কে আড়াল হতে দেই না তবে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যখন মাকে না দেখে পার করতে হয় অনেকটা দিন। তখন আমাদের অনেক বেশি খারাপ লাগলেও মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। আপনিও মায়ের সাথে দেখা করেন নি অনেক দিন তাই মন খারাপ করছে। সময় করে একদিন মায়ের সাথে দেখা করে আসবেন দেখবেন মন ভালো হয়ে যাবে। ভালো থাকবেন।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম একটা সুন্দর কমেন্টস করার জন্য। মা তো পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা একজন। মা কথাটি খুবই ছোট কিন্তু এর গুরুত্ব অপরিসীম।

আমরা সবাই এই দুনিয়ার মুখ দেখতে পাই শুধুমাত্র মায়ের জন্য। সেই মাকে ছেড়ে থাকতে ভীষণ কষ্ট হয়। কি আর করার মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছি মেনে তো নিতেই
হবে। ইনশাল্লাহ চেষ্টা করতেছি খুব তাড়াতাড়ি মায়ের সাথে দেখা করব। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন ভাইয়া।

আমি প্রথম আপনার লেখা পরিদর্শন করছি যেটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনার লেখা থেকে আপনার দৈনন্দিন ক্রিয়া-কলাপ সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমরা সকলেই ভিন্ন তাই আমাদের কার্যক্রম ও ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক।

দিনলিপি মানে একটা মানুষের দৈনন্দিন ক্রিয়া-কলাপের পাশাপাশি তাঁর জীবনধারা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য। আপনার পরিবার এবং আপনার দৈনন্দিন ক্রিয়া-কলাপ সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে লেখাটি উপস্থাপন করার জন্য।

প্রথমেই জানাবো আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ,,,,, এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা সকলেই ভিন্ন তাই আমাদের কার্যক্রম গুলোও তো ভিন্ন ভিন্ন হবে।

আমি জেনে খুশি হয়েছি,,, আপনি আমার লেখাটি পরিদর্শন করেছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে তাই আপনাকে আবারো জানাবো অসংখ্য ধন্যবাদ।

মেয়ে সন্তান হয়ে জন্মগ্রহণ করলে শ্বশুর বাড়ি যেতে হবে এক দিন অবশ্যই। এবং সেখানে মা থাকবে না থাকবে শুধু মায়ের সাথে কাটানো স্মৃতি গুলো। সন্তান অসুস্থ হলে বা সন্তান কোন বিপদে পড়লে মায়ের মনে আগে ডাকে। এবং মা সব সমস্যার সাথে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকে। মায়ের সাথে পৃথিবীর সব কথা শেয়ার করা যায় মায়ের কাছে যে ভালোবাসা পাওয়া যায় সেই ভালোবাসা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।

যাইহোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রমের মধ্যেও এটা জানতে পারলাম মায়ের সাথে বেশ কিছু মাস ধরে দেখা হয় না। মায়ের কথা অনেক মনে পড়ছে আপনাকে। আপনি আপনার মায়ের কাছ থেকে গিয়ে ঘুরে আসুন কিছুটা ভালো লাগবে অবশ্যই।

প্রথমেই আপনাকে জানাই ধন্যবাদ, শুধু ধন্যবাদ না অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কমেন্টস করার জন্য। আমরা মায়ের জাত মাকে ছেড়ে থাকতে খুব বেশি, কষ্ট কিন্তু মেয়েদের হয়। কারণ মেয়েদের বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থাকতে হয়।
চাইলেও মায়ের সাথে দেখা করতে পারে না। কারণ ওই যে শ্বশুর-শাশুড়ির অনুমতি নিতে হবে,,, তারা যদি অনুমতি দেয় তো যাইতে পারব না দিলে যাইতে পারব না।
আমি চেষ্টা করতেছি মায়ের কাছে থেকে ঘুরে আসার জন্য। তবে জানিনা আমার এই স্বপ্ন কবে পূরণ হবে।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ভাইয়া।