আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন। নতুন একটি দিনের সূচনা হলো, আর আমি আল্লাহর রহমতে ঘুম থেকে উঠে গেলাম। প্রথমেই ওজু করে ফজরের নামাজ আদায় করলাম। নামাজের পর কিছুক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করলাম, মনটা বেশ প্রশান্তিতে ভরে গেল। এরপর ভাবলাম, আজকের সকালের নাশতা ঠিকঠাকভাবে তৈরি করে ফেলতে হবে, কারণ আমার হাজবেন্ড অফিসে যাবেন।
আমি দ্রুত রান্নাঘরে ঢুকে গেলাম। প্রথমেই ময়দা নিয়ে রুটি বেলার প্রস্তুতি নিলাম। চুলায় কড়াই দিয়ে একটার পর একটা রুটি ভাজতে লাগলাম। রুটির সঙ্গে থাকছে বয়লার মুরগির মাংস। অন্য চুলায় রান্নার কড়াইটা বসিয়ে দিলাম, যাতে মাংস সেদ্ধ হতে থাকে। রান্নার সুবাসে পুরো ঘর ভরে গেল, তাতে মনটা আরও ভালো লাগছিল। এর মধ্যেই আমার হাজবেন্ড ফ্রেশ হয়ে এসে টেবিলে বসলেন, আমি গরম গরম রুটি আর মাংস পরিবেশন করলাম। তিনি খেয়ে নিলেন আর আমাকে ধন্যবাদ দিলেন সুন্দর নাস্তার জন্য।
সকালবেলা এত কাজ করেও বিশ্রামের সুযোগ নেই, কারণ আমার মেয়ের জন্যও আলাদা রান্না করতে হবে। সে তো ছোট, ঝাল খেতে পারে না, তাই ওর জন্য বিশেষভাবে মুরগির মাংস আলাদা করে নিলাম। চুলায় কম আঁচে মাংস সেদ্ধ হতে দিলাম, যেন ওর জন্য নরম হয়। রান্নার ফাঁকে ফাঁকে ঘরও একটু গুছিয়ে নিলাম, কারণ গোছানো পরিবেশে থাকতে আমার বেশ ভালো লাগে।দুপুরের খাবারের জন্য আবার নতুন করে রান্না করতে হলো। এবারও ছিল মুরগির মাংস, তবে একটু ভিন্ন স্বাদে। মেয়ের জন্য আগেই নরম করে রান্না করা মাংস আলাদা করে রেখেছিলাম, এবার নিজের ও স্বামীর জন্য একটু ঝাল দিয়ে রান্না করলাম। খাওয়ার সময় সবাই মিলে বসে খেলাম, তখন আমার মেয়েটা খেতে খেতে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছিল, যা আমার জন্য অনেক আনন্দের ছিল।
খাওয়া-দাওয়া শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম, তারপর আবার কাজ শুরু করলাম। দুপুরের পর জামাকাপড় ধোয়ার জন্য হাতে নিলাম, এরপর গোসল সেরে নিলাম। কিন্তু ঠিক তখনই দেখলাম, পানির চাপ কম, যা একদমই বিরক্তিকর। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর সামান্য পানি পেলাম, সেটাই দিয়ে কাজ চালিয়ে নিলাম।বিকেলের দিকে আমার মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল, আর আমি একটু বিশ্রাম নিলাম। কিন্তু সন্ধ্যা হতেই সে আবার উঠে পড়ল, সঙ্গে সঙ্গে আবদার করল নুডুলস খাবে। তাই ওর জন্য তাড়াতাড়ি নুডুলস রান্না করলাম। এরপর মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করলাম, যা সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দিল।
রাতে একটু হালকা খাবার খেয়ে, কিছুক্ষণ মোবাইল চালিয়ে, পরে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম। সারাদিনের পরিশ্রমের পর বিছানায় শুয়ে মনে হলো, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাকে শক্তি দিয়েছেন সব কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার। নিজের পরিবারের জন্য যত্ন নিতে পারছি, এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দ।
এইভাবেই আমার একটি কর্মব্যস্ত দিন শেষ হলো। জীবন চলার পথে প্রতিদিনই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসে, কিন্তু ভালোবাসা আর ধৈর্য ধরে এগিয়ে গেলে সবই সহজ মনে হয়। ইনশাআল্লাহ, আগামীকাল আবার নতুন একদিন, নতুন কিছু কাজ, নতুন কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে। আল্লাহ যেন আমাদের সকলের দিন ভালো করে দেন।
আজ তাহলে এই পযন্তই সবাই ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন আল্লাহ হাফেজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আবার প্রতিটা মেয়ে চেষ্টা করে সকালবেলা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজের সংসারের কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে আবার অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন রকম কাজের জটিলতার কারণে সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না কিন্তু আপনি রান্নাবান্না করার পাশাপাশি নিজের সন্তানকে সময় দেয়ার পাশাপাশি কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে চাই করতে পেরেছেন এর চাইতে বড় পাওয়া হয়তো বা কিছুই হতে পারে না আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনিও ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সারা দিনের কাজকর্ম অত্যন্ত সুন্দর এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। একটি গৃহিণী হিসেবে আপনার কর্তব্য এবং দায়িত্বগুলো যেভাবে সঠিকভাবে পালন করছেন, তা প্রশংসনীয়। একজন মা ও স্ত্রী হিসেবে আপনার পরিশ্রম, ভালোবাসা এবং ধৈর্য সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বিশেষ করে, পরিবারের জন্য গরম, সুস্বাদু খাবার তৈরি করার পাশাপাশি ঘর গোছানো ও সন্তানের যত্ন নেওয়া ইত্যাদি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সংসারী মানুষের মাথায় সবসময় কাজের কথায় থাকে কখন কি করতে হবে সবকিছু টাইম যেন সেট করে রাখা।।।
ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা তৈরি করেছেন এছাড়াও কাপড় চোপড় ধৌত করেছেন।। আরো যা যা করেছেন সব কিছুই সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।। পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপনার পরবর্তী পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টের প্রথম ছবিটি অনেক সুন্দর ছিল। রুটিগুলো একদম বৃত্তের মত গোল হয়েছে। শুক্রবার বলুন আর শীতের ছুটির দিন বলুন সকালবেলা ঘরের বৌদের ছুটি বা অলসতা নেই।তাইতো আপনিও সকাল সকাল উঠে সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করার কাজে লেগে পরেছেন।
বাচ্চার জন্য মাংস আলাদা ভাবে নরম করতে দিয়েছেন। শহরের প্রধান সমস্যা গুলোর মধ্যে হলো পানি থাকেনা , গ্যাস থাকেনা।এই সমস্যা গুলো নিত্যদিনের সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
মেয়ের আবদার পূরণ করার সাথে সংসারের কাজ করে আপনার মূল্যবান দিনগুলো পার করছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit