প্রধান শিক্ষকের বাসায় নিমন্ত্রণ : পর্ব ১

in hive-120823 •  2 years ago 
"আজ সোমবার - ৭ই ফাল্গুন - ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২০শে - ফেব্রুয়ারি - ২০২৩ সাল"

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আল্লাহর অসীম কৃপায় সকলেই খুব ভালো আছেন। আর আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

আজ আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা চলুন আজকে আমার পোস্ট থেকে ঘুরে আসা যাক।

IMG20230218233242.jpg

আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাসায় নিমন্ত্রণে যাওয়া নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করব। সেদিন ছিল শুক্রবার, স্কুল বন্ধের দিন। তাই যখন নিমন্ত্রণটি পেয়েছিলাম খুব আনন্দের সাথে গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু বিধি বাম হয়ে দাঁড়ালো, সেদিনই আমার ছেলের অল্প অল্প জ্বর হয়েছিল।

যেহেতু আগে থেকেই নিমন্ত্রণটি ছিল, তাই আর নিমন্ত্রণের তারিখ পরিবর্তনের কোন সুযোগ ছিল না। তাই চিন্তা ভাবনা করলাম অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে হবে। আর আমার ছেলেও বলে উঠলো, আমার অল্প জ্বর হয়েছে আমি যেতে পারব। তাই পুরো পরিবার রেডি হয়ে চলে গেলাম প্রধান শিক্ষকের বাসায়।

IMG_20230219_220346.jpg

এখানে গোলাপি রঙের যে পোশাকটি পড়ে আছেন ইনি হচ্ছেন আমাদের প্রধান শিক্ষক কেয়া আপু। আর পাশের জন হচ্ছে আমারই মত সহকারী শিক্ষক, আমার কলিগ মিতা আপু। আর পিছনে হচ্ছি এই অধম, আমি নিজেই।

সেদিন কেয়া আপু আমাদের বিকেলের দিকে ডেকেছিল। কিন্তু আমার ছেলের অসুস্থতার কারণে আমরা সন্ধ্যার পরে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম।

IMG_20230220_191424.jpg

IMG_20230220_191248.jpg

আমরা সন্ধ্যায় কেয়া আপুর বাসায় যাব বলে আমাদের জন্য পিঠা ও পায়েস তৈরি করে রেখেছিল। তাই আমরা যাওয়া মাত্র আমাদেরকে পিঠা ও পায়েস খেতে দিয়ে, কেয়া আপু চা তৈরি করে দিলেন। চা খাওয়ার সময়কার কোন ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারলাম না, কেননা ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম।

IMG_20230219_215813.jpg

আমরা চা খেয়ে অনেক গল্পস্বল্প করলাম তারপর নিজেদের কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আমার ছেলে অসুস্থ তাই সে কোন ভাবে আমার কোল থেকে নামতে চাইছিল না। তাই ছেলেকে কোলে নিয়েই ছবিটি তুলে ফেললাম।

IMG_20230219_215445.jpg

আমি যখন ছবি তুলছিলাম তখন আমার ছেলে বলছিল মামনি আমিও ছবি তুলব। যদিও বা তার গায়ে অল্প অল্প জ্বর ছিল, তবুও সে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে গেল। তাই কেয়া আপুর মেয়ে ও আমার ছেলের সাথে একটি ছবি তুলে নিলাম আমার মোবাইল ফোনে।

IMG_20230219_133223.jpg

আমরা অনেকটা সময় খুব আনন্দের সাথে গল্প গুজব করে ছবি তুলেছিলাম। সেই মুহূর্তটুকু আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। কেননা কেয়া আপু মানুষ হিসেবে যতটা ভালো ঠিক ততটাই অতিথি পরায়ন। শুধু আমি অথবা আমরা কলিগরা নই, তার আতিথিয়তায় সকল আত্মীয়-স্বজন তার উপরে ভীষণ খুশি হয়।

আপনাদের সাথে গল্প করতে করতে অনেকটা সময় পার করে ফেলেছি, পোস্ট অনেক বড় করে ফেলেছি। তাই আজ আর বিশেষ কিছু লিখছি না। নিমন্ত্রণের পর্ব নিয়ে দেখা হবে আগামী পর্বে। আজ এ পর্যন্তই বিদায় নিচ্ছি।

আল্লাহ হাফেজ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রধান শিক্ষকের বাসায় গিয়ে বেশি গল্প গুজব করে নেমন্তন্ন খেয়ে এসেছেন, বিষয়টা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।

তার সাথে আপনি তার অনেক প্রশংসার করেছেন। এবং ফটোগ্রাফি ও শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

খুব ভালো লাগলো যে আপনি প্রধান শিক্ষকের ভালো গুনাগুন গাইলেন। অন্যের ভালো গুনাগুন মানুষের কাছে প্রকাশ করা মানে নিজের সম্মান বৃদ্ধি পাওয়া।

যাইহোক অনেক সুন্দর কিছুক্ষন মুহুর্ত কাটিয়েছেন তাদের বাসায়। সকলে মিলে ভোজনবিলাস করলেন। খুব ভালো লাগলো এই সময় টাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Loading...