প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন। পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সকলেই যেন খুব ভালো থাকেন। আপনাদের দোয়ায় ও মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। তবে আমার বাড়ির কর্তা ভালো নেই। তিনি অসুস্থ, তাই আমার কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। আজ থেকে চেষ্টা করব কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে, সামনে এগিয়ে চলার।
আমি অনেকদিন আগে আমার হাজবেন্ডের সাথে মোটরবাইকে করে কুয়াকাটা ভ্রমনে গিয়েছিলাম। আর সেই কুয়াকাটা থেকে ফিরে আসার সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঘুরে এসেছিলাম। যদিওবা আমি এর আগেও জাতীয় স্মৃতিসৌধ গিয়েছিলাম। কিন্তু হাজবেন্ডের সাথে এই প্রথম জাতীয় স্মৃতিসৌধের পুরো এরিয়াটুকু ঘুরে বেরিয়েছিলাম। তাই আমার কাছে খুব খুব ভালো লেগেছিল। আর সেই ভালোলাগার কথাটুকুই আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আমরা কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইকে করে আমার নিজ জেলা কুড়িগ্রামে ফিরে আসার সময় চিন্তাভাবনা করেছিলাম, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঘুরে তারপরে বাড়ি ফিরব। মোটরবাইকে করে ভ্রমণ করার এই বিশেষ সুবিধাটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। যেখানে ইচ্ছে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা যায়। যদি আমরা গাড়িতে করে ভ্রমণে বেড়াতাম তাহলে হয়তো এরকম সুযোগ পেতাম না। শুধুমাত্র মোটরবাইকে করে ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম বলেই এরকম স্বাধীনভাবে বেড়ানো সম্ভব হয়েছিল।
আমরা যেদিন স্মৃতিসৌধ দেখতে গিয়েছিলাম, সেদিন প্রচন্ড রোদ ছিল। মনে হচ্ছিল সূর্য মামা ক্ষিপ্ত হয়ে তার প্রচন্ড দাবানল পৃথিবীর বুকে ছুরছে।আর সেই দাবানলে আমরা পুড়ে মরছি। কিন্তু সূর্যি মামাতো জানেনা আমাদের মনের জোর কতখানি। সে যতই চেষ্টা করুক না কেন, আমরা আমাদের মনের বাসনা পূর্ণ করে তবে বাড়ি ফিরব। তাই আমাদের পুড়ে যাওয়া দেহটা ও বিধ্বস্ত অবস্থাকে প্রাধান্য না দিয়ে খুব আনন্দ করে স্মৃতিসৌধ ঘুরে বেড়িয়েছিলাম।
আমরা দুজনে ঘুরতে ঘুরতে যখন অজ্ঞাত শহীদের কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম, তখন সেই অজ্ঞাত শহীদদের কথা চিন্তা করতেই আমার গায়ে যেন কাটা দিচ্ছিল। দেশের জন্য যারা এত বড় আত্মত্যাগ করেছে, দেশের জন্য শহীদ হয়েছে তারা আমাদের কাছে আজও অজ্ঞাত হিসেবে রয়ে গেছে। তাদের এই কবর দেখে মনের গভীর থেকে আপনা আপনি শ্রদ্ধা চলে আসে। তাদের এই বলিদানের জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ। সৃষ্টিকর্তার কাছে দুহাত তুলে প্রার্থনা করেছি, আর সারা জীবন প্রার্থনা করব তারা যেন ওপারে পরম শান্তিতে থাকেন।
অনেকটা সময় নিয়ে স্মৃতিসৌধ ঘুরে ফিরে যখন চলে আসছিলাম, তখন একটি সেলফি তুলে নিয়েছিলাম স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়ার জন্য। আজ সেই স্মৃতিটুকু আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই শেষ করছি, দেখা হবে আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আপনাদের স্মৃতিসৌধ ঘুরে বেড়ানোর গল্পটা অসাধারণ ছিল। তার সাথে ফটোগ্রাফি আসলেই ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টা সবার কাছেই অন্যরকম। আর আলাদা একটা মজা করা যায়,ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit