|
---|
Hello,
Everyone,
জীবনে কিছু কিছু দিন এমন আসে যেদিন হাজার চেষ্টা করলেও, ক্লান্ত শরীরের কাছে অক্লান্ত মনটা অনায়াসেই হার মানতে বাধ্য হয়। আজ এমনই একটা দিন ছিলো আমার জন্য।
অপরিকল্পিতভাবেই সারাদিন ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে। কারণটা অবশ্য এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো না। অন্য কখনো নিশ্চয়ই বলবো। এই মুহূর্তে ভারতীয় সময় রাত ১.৪৭মিনিট। সবেমাত্র পোস্ট লিখতে বসলাম।
জানি হয়তো আজ পোস্ট না লিখলেও পারতাম, লেখাটা একেবারেই বাধ্যতামূলক ছিলো না। কিন্তু কেন জানিনা শরীর ক্লান্ত হলেও, কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভীষণ ইচ্ছে করছে।
ইতিমধ্যে মোবাইলে চোখ পড়তেই খেয়াল করলাম তারিখ পরিবর্তিত হয়ে ৫ ই অক্টোবর হয়েছে। তাই লেখার শুরুতেই নিজেই নিজেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চাই। হ্যাঁ একদমই ঠিক বুঝেছেন, আজ আমার শুভ জন্মদিন।
তাই আমি নিজেকে বলতে চাই, - "হ্যাপি বার্থডে টু ইউ সোনা। তুমি খুব ভালো থাকো, সুস্থ থাকো, খুশি থাকো। কারণ এই পৃথিবীতে তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য অনেক মানুষ পেয়ে যাবে, কিন্তু খুশি থাকার জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট।
এই কথাটা আমি নিজে নিজেকে এই কারণেই বললাম, কারণ এটা আমি বিশ্বাস করতে চাই। এই পৃথিবীতে আমি জন্মানোর জন্য যে ব্যক্তিটি সবথেকে বেশি খুশি হয়েছিলেন, তিনি আজ আর এই পৃথিবীতে নেই। তাই আমার জন্মদিন মনে রেখে কেউ যে অনেক বেশি খুশি হবে, এই প্রত্যাশা না করাই শ্রেয়।
তবে কি জানেন তো, আমরা মানুষেরা বড্ড বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে থাকি। তাই উপর উপর যতই বলি, আমরা কারোর থেকে কোনো প্রত্যাশা করি না, করবো না বা করা উচিত নয়, তবে যদি ঠিকভাবে ভেবে দেখেন, মনের কোনো কোণে কিছু মানুষের কাছ থেকে কিছু কিছু প্রত্যাশা আমাদের থেকেই যায়।
তবে অবাক বিষয় এটাই, যখন সেই প্রত্যাশা গুলো একটু একটু করে শেষ হয়। যখন সেই প্রত্যাশা গুলো আর আমাদের কষ্ট দিতে পারে না, বোধহয় তখনই আমরা জীবনের বাস্তবতা সবথেকে ভালো অনুভব করতে পারি।
আপনাদের অনেকেরই মনে হতে পারে, আমি বোধহয় আমার মন খারাপ থেকে আজ এই কথাগুলো বলছি। আর এটা একদম ঠিক। এই মুহুর্তে আমার মন সত্যিই খারাপ। তবে খুব কাছের মানুষগুলো আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায় নি বলে নয়। কারন আমি জানি কাল সকালে আমার ফোনে অনেক মেসেজ আসবে, অনেকে আমাকে শুভেচ্ছা জানাবে।
কিন্তু আজ খারাপ লাগাটা অন্য জায়গায়। এই বছর আমি ভেবেছিলাম আমার জন্মদিনটা নিজেই সেলিব্রেট করবো। নিজের যেটা করতে ভালো লাগবে সেটা করবো। নিজে নিজেকে উপহার দেবো। কিন্তু দেখুন কি অদ্ভুতভাবে জীবনের পরিস্থিতি গুলো পরিবর্তিত হয়ে গিয়ে, আজ এত রাতে নিজের মন খারাপের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বসলাম। শশুর মশাইয়ের শারীরিক অবস্থা আজ সবটাই পরিবর্তন করে দিলো।
প্রত্যাশার থেকে কঠিন শাস্তি আর কিছু নেই। একটা সময় আমি ভীষণ আবেগপ্রবণ ছিলাম, আজও আছি, তবে আজ অনেকটা সামলে নিতে পারি নিজেকে। আবেগগুলো চোখের জলের পরিবর্তে হাসি দিয়ে প্রকাশ করতে শিখেছি। ছলছল করা চোখ হাত দিয়ে রগরে, অন্যকে বোঝাতে শিখেছি যে আমি কান্না করিনি, চোখ চুলকানোর কারনে জল এসেছে চোখে।
চোখের জলের এটা একটা ভালো গুন যে, কষ্টে চোখে জল আসুক অথবা চুলকানোর কারণে, তার রং একই থাকে। সুতরাং তা দেখে অন্য কারোর বোঝার উপায় থাকে না কোনটা মন খারাপের কান্না, আর কোনটা শুধুমাত্র চোখের জল।
খুব প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছি ইতিমধ্যেই। তবে এই পাওনা গুলো আজকাল তেমন সাড়া জাগাতে পারে না হৃদয়ে। হয় পরিণত হয়েছি, অথবা প্রত্যাশা ত্যাগ করতে শিখেছি।
তবে অমানবিক হতে শিখিনি আজও। নিজের খুশি জন্য দায়িত্ব এড়াতে শিখিনি আজও। সামনে হেসে কথা বলা মানুষ গুলোর প্রকৃত স্বভাব জানার পরেও, তাদের সব কথার যথাযথ উত্তর দিতে শিখিনি এখনও। এইরকম আরও অনেক গুন নেই আমার। তবুও দিব্যি বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে। কারোর পছন্দের, কারোর অপছন্দের হয়ে দিনগুলো পার করছি।
তবে আজকাল কারোর অপছন্দের হলেও, তাকে খুশি করার প্রচেষ্টাটা বাদ দিয়েছি। কারণ এটা আমি বুঝে গেছি আমি যেমন, ঠিক তেমনভাবেই এই পৃথিবীর মানুষগুলোর বিচার করার ক্ষমতা রাখি।
তাই অন্য মানুষ আমাকে কি চোখে দেখছেন সেটা আজকাল খুব বেশি নাড়াতে পারে না আমাকে। তাই এই জন্মদিনে ঠিক করেছি এখন থেকে নিজেই নিজেকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেবো। কারণ আমার বিবেকের কাছে যদি আমি ঠিক থাকি, তাহলে অন্য কারোর মতামত আমার জন্য একেবারেই মূল্যহীন হওয়া উচিত।
নিজেকে ঠিক এই চিন্তাভাবনার মানুষ হিসেবে তৈরি করবো, এটাই আমার এই বছরের জন্মদিনের নিজের নিজেকে দেওয়া উপহার। জানি যারা আমার পোস্ট পড়বেন, তারা সকলেই আমাকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
তাই আমার তরফ থেকে অগ্রিম সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিজের জন্মদিন শুধু নিজের হোক, নিজেই আনন্দ করুন, নিজেই নিজেকে খুশি রাখুন, কারণ এই পৃথিবীতে আপনাকে আপনার থেকে বেশি ভালো কেউ রাখতে পারবে না। তাই আমাদের নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব, নিজেদেরকেই নিতে হবে। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you @damithudaya Sir for your support. 🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। একদম ঠিক বলেছেন দিদি, নিজের জন্মদিন শুধু নিজের হোক নিজেই আনন্দ করে কাটানো ভালো। আপনার প্রিয় মানুষটি তো তাও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে না। কিন্তু আমার প্রিয় মানুষ সেটাও ভুলে যাই। সংসার জীবন পালন করতে গিয়ে আমরা অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়েই দিনগুলো কেটে যায়। তবুও আমাদের নিজেদেরকে নিজেদের ভালো রাখার চেষ্টা করতে হয়। বাড়ির বাইরে হাসিমুখে চলে বেড়াতে হয়। আপনার পোস্ট করতে আমার সব সময় খুব ভালো লাগে ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit