![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরছি আপনারা সকলে খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং প্রত্যেকেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আমার দিনটিও মোটামুটি ভালোই কেটেছে।
এর আগের পোস্টে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম কয়েকদিন ধরে আমার ফোনটা অনেক বেশি হ্যাং করছিলো। ফলতো রবিবার দিন দুপুরের পর থেকে অনেকটা সময় এই ফোন ঠিক করার পিছনে অতিবাহিত হয়েছিলো। তবে সবথেকে দুঃখের বিষয় সবকিছু ঠিক করার মাঝখানে অনেক ছবি ডিলিট হয়ে গিয়েছে গ্যালারি থেকে।
পরে যখন সেগুলো খেয়াল করলাম, মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেলো। কিন্তু যা গেছে তা তো আর ফিরে আনার উপায় নেই, তাই আজ গ্যালারি ঘেঁটে দেখছিলাম, ঠিক কি কি ছবি রয়ে গেছে। আর সেগুলো দেখার ফাঁকেই গ্যালারিতে বেশ কিছু পুরনো ফুলের ফটোগ্রাফি চোখে পড়লো। যেগুলো আমি শশুর মশাইকে নিয়ে হসপিটালে থাকাকালীন তুলেছিলাম।
সত্যি বলতে এইমস হসপিটালটা বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে এখনো নির্মাণকার্য চলছে। বিশাল এলাকা জুড়ে থাকার কারণে, আশেপাশে প্রচুর ফাঁকা জায়গা রয়েছে। যেখানে খুব সুন্দর ভাবে কিছু ফুল গাছ, কিছু ফল গাছ লাগানো আছে, যেগুলো জায়গাটার সৌন্দর্য্য আরও অনেকটা বাড়িয়ে তুলেছে।
হসপিটাল মানেই সেখানে মানুষের হাহাকার চোখে পড়ে, লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রত্যেকটি মানুষের চেহারায় চিন্তার ছাপ। কেউ নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত, আবার কেউ আপনজনের। হসপিটালের ভিতরে সব সময় রোগীর যাতায়াত। ডাক্তার, এম্বুলেন্স, হুইলচেয়ার, স্ট্রেচার, ওষুধের দোকান, লিফটে করে ডাক্তার, নার্স, রোগীর যাতায়াত, এই সব কিছু চোখে পড়ে।
ফলতো সেখানে বসে থাকলে এমনিতেই মন খারাপ হয়ে যায়। তবে হসপিটাল চত্বরের বাইরে বেরিয়ে যখন এই গাছপালার মাঝে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করা হয়, তখন কিছুটা হলেও যেন মনটা ভালো হয়।
যেমনটা আপনারা পূর্বে জেনেছেন বেশ কিছুদিন সেখানে থাকার কারণে, মাঝেমধ্যে বাইরে বসতে হয়েছে আবার কখনো ওয়ার্ডের ভিতরে। এই চলাফেরের মাঝখানে এইরকমই কিছু গাছ চোখে পড়েছিলো, যেগুলো সেই মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম। ভেবেছিলাম আপনাদের সাথে এক এক করে শেয়ার করবো, কিন্তু কোনো কারণে আর শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি।
তবে সৌভাগ্যবশত বহু ছবি ডিলিট হলেও, কিছু ছবি কিভাবে যেন ফোনের গ্যালারিতে রয়ে গেছে। তাই ভাবলাম এই গুলো ডিলিট হয়ে যাওয়ার পূর্বে, আপনাদের সাথে ছবিগুলো শেয়ার করি।
এইমসের তিন নম্বর গেট দিয়ে ঢোকার পর, পার্কিং এড়িয়া পেরোতেই এই গোলাপি রঙের ফুলের গাছগুলো চোখে পড়ে। সারিবদ্ধ অবস্থায় বেশ অনেকগুলো এইফুলগাছ লাগানো রয়েছে। ফুল গুলো দেখতে কি অপূর্ব সুন্দর তাই না?
প্রথমে আমি একটা ফুলের ছবি তুলেছিলাম। পরে ভাবলাম পুরো গাছটার ছবিও তুলি, যেখানে হয়তো স্পষ্টভাবে ফুলগুলোকে ততটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে যদি শুধু ফুলের ছবিটা আপনারা দেখেন, তাহলে হয়তো বুঝতে পারবেন ফুলটার রং এবং রূপ দুটোই অসম্ভব সুন্দর।
এই ফুলটা আপনাদের অনেকেরই হয়তো পরিচিত। রাস্তাঘাটে চলতে চলতে আশেপাশের জঙ্গলেও অনেক সময় এই ফুল ফুটে থাকতে দেখে থাকবেন। সত্যি কথা বলতে ছোট্ট হলেও ফুলগুলোর সৌন্দর্য্য কিন্তু মুগ্ধ করার মতন। এগুলোকে অনেকটা চেরি ফুলের মতনই দেখতে, তবে আকারে বড্ড বেশি ছোটো।
এই ফুল গুলোর নাম অজানা হলেও, রংটা আমার ভীষণ পছন্দের। ছোটবেলায় এই ফুলগুলো নিয়ে অনেক খেলেছি। তবে অনেক বছর বাদে এই দিন এইমসে গিয়ে এই ফুলগুলো চোখে পড়লো।
এগুলোর জন্য আলাদা করে কোনো যত্নের প্রয়োজন হয় না। জঙ্গলের মধ্যেই ফুটে থাকে, তবে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে এই ছোট্ট ছোট্ট ফুলের অবদান কোনো অংশে কম বলে আমি মনে করি না। তাই রাস্তাঘাটে চলতে চলতে এমন ছোট্ট ফুল যদি আমার চোখে পড়ে, আমি কিন্তু সেগুলোর ছবি তোলার চেষ্টা করে সবসময়।
এই ফুলটি গোটা এইমসের মধ্যে অসংখ্য জায়গাতে লাগানো আছে। গাছগুলো মোটামুটি বড় ও ঝাপটালো হয়ে থাকে। তবে ফুলগুলো অনেকটাই ছোটো। উপরে আপনারা যে জংলি ফুলটা দেখলেন, এটার রঙও ঠিক সেই রকম অর্থাৎ বেগুনি। তবে এটা জংলি ফুল নয়, কারণ এই গাছটাকে খুব সুন্দর করে কাটতে দেখেছি, তাই সেই হিসেবেই বলছি এটাকে যত্ন করে কেটে প্রকৃতির সৌন্দর্য্যায়নে সজ্জিত করে রাখা হয়েছে।
এগুলো গাঁদা ফুল, তাই এটা সম্পর্কে আলাদা আর কোনো বর্ণনা আপনাদেরকে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে এই ফুলের ছবিটি আমি তুলেছিলাম কারণ, গাঁদা ফুলের পাশাপাশি তার পাশে আপনারা পাতাবাহারের গাছ দেখতে পাচ্ছেন, যেটাকে খুব যত্ন সহকারে সুন্দরভাবে কেটে রাখা হয়েছে।
এর পাশেই রয়েছে পার্কিং এড়িয়া যেখানে শুধুমাত্র হসপিটালে কর্মরত স্টাফদের গাড়ি পার্ক করা হয়। মাঝখান দিয়ে সরু একটা রাস্তা আছে এবং রাস্তার পাশ দিয়েই এমনভাবে সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো পাতাবাহার গাছ ও গাঁদা ফুল গাছ। আমার মনে হয় শীতকালের পরে এই গাঁদা ফুলের গাছগুলো কেটে এখানে অন্য কোনো ফুল নিশ্চয়ই লাগানো হবে।
যাইহোক মাঝে ওখানে থাকাকালীন আরও বেশ কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছি, তার কিছু ছবি এখনও গ্যালারিতে রয়েছে। তবে আজকের পোস্টে সবগুলো শেয়ার করছি না, বাকি ছবিগুলো নিয়ে অবশ্যই পরবর্তী একটা পোস্ট আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তার সাথে হসপিটালে ওপিডিতে ডাক্তার দেখানোর কিছু অভিজ্ঞতাও।
তাই আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। ফটো তোলাতে আমি ততখানি দক্ষ নই, তবে তুলতে ভালো লাগে তাই চেষ্টা করি এই আর কি। আপনাদের উপরের ছবিগুলোর মধ্যে থেকে কোন ফুলটা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে, সেটা মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন। প্রত্যেকে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফুলের ছবিগুলো তুলেছেন। আপনি যেভাবে ফুলগুলোর সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন, বিশেষ করে ফুলের রং এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য প্রতিফলিত হয়েছে লেখাটিতে। ছবিগুলোও অসাধারণ, বিশেষ করে গোলাপি ফুলের গাছের ছবি, যা সত্যিই অপূর্ব। আমার কাছে গোলাপি ফুলটা অনেক ভালো লেগেছে!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গোলাপ ফুলটা আসলেই অনেক বেশি সুন্দর ছিল। প্রথম দেখাতেই নজর কেড়ে নিয়েছিল। পরবর্তীতে খেয়াল করলাম রাস্তা জুড়ে সারিবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি গাছ লাগানো। রঙটা এতো আকর্ষণীয় যে, আমার মতন অনেকেই দাঁড়িয়ে ফুলটির ছবি তুলেছে। আপনার ও ফুলটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for your support @memamun. 🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই জিনিসটা আমার সাথে হয়ে থাকে আমার মোবাইলে যদি কোন সমস্যা হয় সেটা ঠিক করতে গিয়ে আমার অনেক ছবি এবং রাখা অনেক স্মৃতি ডিলেট হয়ে যায় যেটা আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লাগে তবে সেটার জন্য আফসোস করে কোন লাভ নেই কারণ যেটা চলে গেছে সেটা তো গেছে যেটা বর্তমানে আছে সেটা নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করা মনে হয় আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন।
তার পরেও আপনি মন ভাল করে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যেগুলো সত্যিই অসাধারণ আসলে বসন্তকাল আসলে চারপাশে ফুলের সমারোহ দেখতে পাওয়া যায় বন্য ফুল থেকে শুরু করে আমাদের পরিচিত অনেক ফুল আমরা দেখতে পাই অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit