নিলাদ্রীর জন্মদিনের কিছু মুহুর্ত

in hive-120823 •  2 years ago 

IMG_20221013_210621.jpg

শুভ জন্মদিন তাতান

Hello,
Everyone,

আশাকরি আপনারা প্রত্যেকে খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আজকের দিনটা আপনাদের সকলের ভীষন ভালো কেটেছে।

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, আমার দিদির ছেলের জন্মদিনের কিছু মুহুর্ত। ওর ভালো নাম- নিলাদ্রী মন্ডল। আমরা সকলে অবশ্য তাতান নামেই ডাকি। তিতলি ও তাতান নাম দুটো আমিই রেখেছিলাম।

জন্মদিন সকলের কাছেই ভীষন প্রিয়। বিশেষ করে বাচ্চাদের কাছে। কারন, সব বাচ্চারা এটা জানে আর কিছু না হোক, জন্মদিনে বাবা, মা কেউ বকবে না, মারবে না। শুধু সকলের আদর, নিজের পছন্দের খাবার, সবার দেওয়া উপহার এই সবকিছু নিয়ে কেটে যাবে দিনটা।

তাতানের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই। জন্মদিন আসার আনন্দের অনেক দিন আগে থেকেই সে খুশিতে মেতে ছিলো। আমাকে অনেক বার ফোন করেছে। আমার শরীর এতো খারাপ তবুও আমাকে যেতেই হলো। অবশ্য গিয়ে ভালোই হয়েছে। জন্য জন্মদিন পালনের পাশাপাশি, তিতলির রঙ দিয়ে আমি কিছু কাজও করেছি। সেটা সম্পর্কে আমি কাল লিখবো।

IMG_20221013_210435.jpg

বেলুন দিয়ে ঘর সাজানো হয়েছে

যাইহোক, আমার যেতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। যখন স্টেশনে নামলাম, তখন বৃষ্টি পড়া শুরু হয়ে গেছে। তাই ছাতা মাথায় দিয়ে দিদিদের ফ্ল্যাটে পৌঁছালাম। গিয়ে দেখলাম ওদের ঘরে ততক্ষণে বেলুন লাগানো হয়ে গেছে। আমি ফ্রেশ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কেক কাটার আয়োজন করা হলো।

IMG_20221013_210504.jpg

তিতলি ওর ভাইয়ের জন্য নিজের হাতে এই উপহারটা বানিয়েছে

ইতিমধ্যে আমাদের তিতলি ওর ভাইয়ের জন্য ঘরের দরজা বন্ধ করে জন্মদিনের জন্য একটা কার্ড বানিয়েছে। যেটা ও নিজের হাতে ভাইকে দেবে বলে ঠিক করেছিল। সন্ধ্যা বেলা দিদই সকলের জন্য পাস্তা বানিয়েছিলো। আমি গিয়ে একটু পাস্তা খেলাম। তারপর তাতানকে নতুন জামা পড়িয়ে দিলাম।

IMG_20221013_210604.jpg

কেক কাটার প্রস্ততি

IMG_20221013_210719.jpg

দিদি ভাইকে উপহার দিচ্ছে

এরপর তিতলি ও তাতান একসাথে বসে কেক কাটলো। সকলে ওদের আর্শীবাদ করলো। তারপর তিতলি ওর নিজের হাতে বানানো কার্ডটি ভাইকে দিলো। তার সাথে অনেক গুলো চকলেট ও দিলো। এরপর সকলে কেক ও পায়েস খেলো।

IMG_20221013_210156.jpg

দুপুরে দুই ভাইবোনের খাওয়ার আয়োজন,ছবিটি দিদির কাছ থেকে নেওয়া।ঔ সময় আমি গিয়ে পৌছায়নি বলে ছবি তুলতে পারিনি(অবাক হয়ে গোটা মাছের মাথা দেখছে)

দিদি দুপুরে অনেক কিছু রান্না করেছিলো। কিন্তু আমি সেগুলোর ছবি আলাদা করে তুলতে পারিনি। কারন শরীরটা আমার খুবই খারাপ লাগছিলো। কেক কাটার পর আমি গিয়ে একটু বিশ্রাম করলাম।

রাতে দিদি খেতে ডাকলে আমি অল্প পরিমাণে খেয়ে শুয়ে পড়লাম। তাতান এসে কতক্ষণ গল্প করলো আমার সাথে। আজকাল গল্প করার জন্য ওর প্রিয় বিষয় হলো- সার্ক ও ডাইনোসর। যে কোনো কথা ঘুরে ফিরে হয় সার্কের গল্প হয়ে যায় না হলে ডাইনোসরের।

IMG_20221013_213703.jpg

সন্ধ্যা বেলা পাস্তা খাওয়ার সময় তাতান ও আমি।পুরো জন্মদিনে একটাই ছবি তোলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার

যাইহোক, এইভাবেই কাটলো তাতানের জন্মদিন। আমি আজকে বাড়িতে ফিরলাম। আজ সারাদিন কি করলাম সেকথা আপনাদের সাথে আগামীকালের পোস্টে শেয়ার করবো।

আপনারা সকলে আর্শীবাদ করবেন, তাতান যেন বড়ো হয়ে মানুষ হতে পারে। জীবনে আর কিছু না হেক, ওর মানবিকতা যেন নষ্ট না হয়। সকলে খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভ রাত্রি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

@sampabiswasআপনার ভাগ্নের জন্য রইলো অনেক ভালোবাসা আর আশির্বাদ। ও অনেক বড় হোক এটাই কামনা করি।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা তোমার দিদির ছেলেকে। মাছের মাথাটা দুজন কতো অবাক হয়ে দেখছে। ছোটোবেলার এই সব মুহুর্ত গুলোই সবথেকে দামী।

একদম ঠিক বলেছেন দিদি এই মুহুর্ত গুলোই স্মৃতি হয়ে থাকবে। ওরা মাছের চোখ খুব ভালো খায়। তাই বড়ো চোখ করে মাছের চোখ দেখছে।

আমার অনেক আশীর্বাদ এবং শুভেচ্ছা নীলাদ্রির জন্যে, শৈশবে জন্মদিনটা সবসময় আলাদা আনন্দ বয়ে আনে।

ধন্যবাদ স্যার ওকে আর্শীবাদ করার জন্য। আসলেই ছোটো বেলার জন্মদিনের আনন্দই আলাদা। বড়ো হয়ে গেলে এইসব ছোটো ছোটো আনন্দ গুলি হারিয়ে যায়।