![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। লেখার শুরুতেই আপনাদের প্রত্যেককে মহা শিবরাত্রির অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেকেই হয়তো আজকে এই ব্রত পালন করছেন। তবে আজ আমি এই ব্রত পালন করছি না, যাই হোক সেই সংক্রান্ত কথা অন্য কোনো পোস্টে হবে।
আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক কনটেস্টে, যার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আশাকরছি ইতিমধ্যে আপনারা সকলেই অবগত আছেন। তবে যারা এখনও পর্যন্ত পোস্ট পড়েননি, তাদের জন্য পোস্ট লিঙ্ক আমি আরও একবার শেয়ার করছি। কমিউনিটির প্রতিটি ইউজারের কাছে অনুরোধ থাকবে, এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে নিজের মতামত ও অনুভূতি প্রকাশ করার। চলুন এবার আমিও আমার মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করি,-
|
---|
একদমই, আমি একটি বিশ্বাস করি প্রত্যেক সফল পুরুষ মানুষের পিছনে একজন করে নারী রয়েছে। সেই নারী হতে পারে তার মা, দিদি/বোন, স্ত্রী কিংবা মেয়ে। সত্যি বলতে সফলতা আমাদের জীবনে কখন ধরা দেবে সেটা নির্দিষ্ট করে আমরা কেউই বলতে পারি না। আর প্রত্যেকের জীবনেই সফলতার সংজ্ঞা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। ফলতো জীবনের যেকোনো পর্যায়ে গিয়ে আমরা সফলতা অর্জন করতে পারি।
আমাদের জীবনে মেয়েদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি মায়ের কথা বলি তাহলে একজন পুরুষ মানুষকে এই পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণের ক্ষেত্রে তার ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পৃথিবীতে জন্ম না হলে ও বেঁচে থাকা ও সফলতা কোনোটাই পুরুষ মানুষের পক্ষে সম্ভব হতো না। আর একথা বোধহয় কেউই অস্বীকার করবে না যে, একজন মা তার সন্তানের জন্য যত কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন, সেটা বোধহয় আর অন্য কারোর পক্ষে করা সম্ভব নয়।
জীবনের অগ্রগতিতে এরপর পুরুষেরা মেয়েদের সাথে আরও বিভিন্ন সম্পর্কে পরিচিত হই। সেটা বোন হোক, প্রেমিকা হোক কিংবা স্ত্রী হোক। আর এই প্রতিটি সম্পর্কই আমাদের জীবনের বিভিন্ন ওঠা পড়ায় আমাদের পাশে থাকে। বোন বা দিদি হিসেবে ভাইয়ের জন্যও অনেকেই অনেক কিছু ত্যাগ করে। প্রেমিকা হিসেবে অনেকেই খারাপ সময়ে প্রেমিকের পাশে থেকে, জীবনের সফল হওয়ার জন্য তাকে উদ্বুদ্ধ করে। আর স্ত্রী হওয়ার পরে অনেকেই স্বামীর ভালো-মন্দে সম্পূর্ণভাবে সাপোর্ট করার চেষ্টা করে।
প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রেই কিছু কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা অবশ্যই থাকে, তবে ব্যতিক্রম কখনোই উদাহরণ হয় না এই কথাটা আমি অ্যাডমিন ম্যামের কাছে শুনেছি। তাই সেগুলো বাদ দিয়েই যদি আমরা ভাবি, তাহলে প্রতিটি পুরুষ মানুষের জীবনে মেয়েদের ভূমিকা জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই রয়েছে। সত্যি বলতে পুরুষ এবং স্ত্রী ছাড়া একে অন্যের জীবনের পূর্ণতা কখনোই আসে না।
|
---|
আমাদের জীবনকাল ব্যাপী আমরা বিভিন্ন সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত হই। আর প্রতিটি সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখার পিছনে আমাদের বিভিন্ন অনুভূতি অন্তর্নিহিত থাকে। মা-বাবার সাথে সম্পর্কে যে অনুভূতি সেটা কখনোই স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি থাকে না। ঠিক একই রকম ভাবে স্বামী-স্ত্রীর প্রতি সম্পর্কে যে গভীরতা, তা সন্তানের প্রতি একরকম থাকে না। মোট কথা প্রতিটি সম্পর্কেরই আলাদা অনুভূতি রয়েছে আমাদের জীবনে।
তবে যেকোনো সম্পর্কই কখনো একতরফা হওয়া সম্ভব নয়। যেকোনো সম্পর্কে দুটি মানুষের প্রয়োজন হয়। দুটি মানুষের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তাই একতরফা চেষ্টায় কোনো সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়, এই চেষ্টা থাকতে হবে দুই তরফ থেকেই।
সম্পর্কে ভালোবাসা যতটা জরুরী সম্মান ও ত্যাগ সমান ভাবে জরুরী। একে অন্যের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো, একে অন্যের পরিস্থিতি বোঝা, ভালো মন্দ সময়ে পাশে থাকার মত মানসিকতা যেমন প্রয়োজন। ঠিক তেমন ভাবেই একে অপরের নেওয়ার সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে বুঝে তাকে সার্পোট করারও প্রয়োজন আছে।
|
---|
অবশ্যই আমি চাই বর্তমান সমাজে পুরুষ এবং নারীর সর্বক্ষেত্রেই সমান অধিকার থাকুক। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটা মুখে যতটা প্রচলিত বাস্তবে ততটা চোখে পড়ে না। তবে হ্যাঁ মেয়েরাও এখন পিছিয়ে নেই। পুরুষদের কাছ থেকে অধিকার পাবে তবেই যে নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করবে, বা পূরণ করবে এমনটা হয় না। সমস্ত সিদ্ধান্তে পুরুষের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার ক্ষেত্রে আজকাল অনেক মেয়েরই আপত্তি লক্ষ্য করা যায়। সেটা থাকাও উচিত বলেই আমার মনে হয়।
কারণ মেয়েরাও মানুষ তাই ভালোভাবে বাঁচার, নিজের স্বপ্ন পূরণ করার, নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার এবং নিজের ভালো-মন্দ সবটা প্রকাশ করার সমস্ত অধিকার মেয়েদেরও থাকা উচিত। অধিকার লড়াইয়ে মেয়েদের ভূমিকা পূর্বে যতটা লক্ষ্যিত হয়েছে, তার সংখ্যা কম ছিলো। বর্তমান সমাজে সেই সকল মেয়েদের সংখ্যাটা বেড়েছে।লড়াই করার আগেই মেয়েদের হার মেনে নেওয়া উচিত বলেই একটা সময় সকলে বিশ্বাস করতো। তবে আজ অনেক মেয়েরাই আছে যারা হার না মেনে শেষ পর্যন্ত লড়ে ও বিজয়ী হয়।
এই সমাজ যেমন পুরুষ ছাড়া অচল, ঠিক তেমনি মেয়েদের ছাড়াও অচল, এই ভাবনাটা প্রতিটি মানুষের মধ্যে থাকা উচিত। মানুষ হিসেবে পুরুষের মতামতের যেমন গুরুত্ব হয়, একই রকম ভাবে মেয়েদের মতামতের গুরুত্ব দেয়া উচিত। কারণ এমনটা নয় যে পুরুষদের থেকে মেয়েরা শিক্ষাগত দিক থেকে কোনো রকম ভাবে পিছিয়ে রয়েছে।
বরং যা পিছিয়ে রয়েছে তা হল কিছু পুরুষের মানসিকতা, যারা মেয়েদেরকে কোনোমতেই এগিয়ে যেতে দিতে রাজি নয়। তারাই তাদের সেই মানসিকতা দিয়ে মেয়েদের এগিয়ে চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে সব বাধা অতিক্রম করতে আজকালকার মেয়েরা শিখেছে, আর এই কারণেই সমাজের বেশ কিছু পুরুষের মেয়েদের প্রতি ক্ষোভ লক্ষ্যিত হয়। তবে যদি সেই ক্ষোভটা পরিত্যাগ করে তারাও এগিয়ে এসে মেয়েদেরকে সমান তালে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে, তাহলে সমাজের চিত্র বদলাতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
|
---|
যাইহোক এই ছিলো আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি, যেটা আমি লেখার মাধ্যমে আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করলাম। লেখা শেষ করার পূর্বে কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @leonciocast, @mou.sumi ও @mdsuhagmia কে কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আশাকরছি তারাও এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে নিজেদের মতামত শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
Wishing you luck in this contest.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit