প্রকৃত সেবা মূর্তির মধ্যে দিয়ে হয় না, মানবিকতার মধ্যে দিয়ে বহিঃপ্রকাশ পায়।

in hive-120823 •  2 years ago 

IMG_20221129_225048.jpg

(জীবের সেবায় ঈশ্বর মনে হয় বেশি তুষ্ট হন)

IMG_20221129_225033.jpg

প্রিয় বন্ধুরা,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, তবে আমি বিগত ৪দিন ধরে একেবারে বিছানায়। অনেক চেষ্টা করেও পোস্ট লেখার শারিরীক ক্ষমতা ছিল না, এমনকি মানসিক বিরক্তি চলেই আসে শরীর ভালো না থাকলে।

ইচ্ছে ছিলো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের, কারণ এই মুহূর্তে বুঝতে পারছি, শারিরীক অসুস্থতা যেমন মনের উপরে প্রভাব ফেলে, তেমনি মানসিক অব্যক্ত যন্ত্রণা শরীরের উপরে তার ছাপ ফেলে।

তবে আজকে আমি কোনো রান্না বা আমার আঁকা ছবি নিয়ে এখানে আসিনি, এই শারিরীক সমস্যায় একটা কথা বারংবার মনে হচ্ছিল, সত্যিই কি মন্দিরে দেবতার বাস, নাকি বিপদে কারোর পাশে দাড়িয়ে, প্রয়োজনীয় মানুষকে সাহায্যের মাধ্যমে তাঁকে পাওয়া সম্ভব।

কত অর্থ খরচ করে আমরা সকলেই কম বেশি পুজো করি, তাঁকে তুষ্ট করতে নয়, নিজের মনোবাঞ্ছা পূরণ করতে।

ভালো সময় কতজন মন্দিরে যায়? খুব কম মানুষ;
কিন্তু যেই মুহুর্তে খারাপ সময় এসে উপস্থিত হয় সর্বাগ্রে মানুষ মনে করেন ঈশ্বরকে।

IMG_20221129_224915.jpg

(মানবিকতা বিহীন মানুষের ঘরে থাকা সিংহাসনে ঈশ্বর বিরাজ করেন না)

আবার যখন আমরা কোনো বিপদের মধ্যে দিয়ে যাই তখন প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়।
কত মানুষ নিজের দৈনন্দিন জীবন যাপন করেন এমন অনেক কাজের মধ্যে দিয়ে যান যেটা সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারেন না।

কাজেই আমি মনে করি সেই মানুষগুলো আমার প্রকৃত বন্ধু বা শুভাকাঙ্ক্ষী যারা বিপদে পাশে দাড়ান।

আজকের কথাগুলো বলছি কারণ আমরা অন্যের থেকে ১০০ ভাগ আশাকরি সবকিছু কিন্তু কখনো নিজেদের দিকে তাকিয়ে নিজেদের কাজ মূল্যায়ন করি না।

IMG_20221129_224751.jpg

(বাহ্যিক জঞ্জাল পরিষ্কার করে সম্ভব কিন্তু মনের ভিতরের জঞ্জাল পরিষ্কার নিজেকেই করতে হয় অন্য কেউ করে দিতে পারে না)

IMG_20221129_224725.jpg

আমার একেবারেই ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে একয়েকদিন আমি লিখতে পারিনি, কিন্তু সেই খারাপ লাগাটা আমি মুখ ফুটে কাউকে জানাত পারিনি কারণ অনেক সময় আমরা ভুল মানুষের থেকে ভুল আশা করি।

তবে এখন শরীর কিছুটা সুস্থ্ হলেও দুর্বলতা রয়েছে, কিছুই খেতে পারছি না সেইভাবে।
তাই নিজের অসম্পূর্ণ আঁকা সম্পূর্ণ না করতে পারার কারণে দিতে পারলাম না, পাশাপশি কিছুই এই কয়েকদিন রান্না করতে পারিনি তাই সেটাও দিতে পারলাম না।

তবে সেই শরীর খারাপ আমাকে শিখিয়ে দিয়েছেন, নিজের লড়াইটা নিজেরই হয়, কেউ আপনাকে এগিয়ে এসে খবর নিলেও সাহায্যের হাত অনেকেই বাড়িয়ে দেয় না।

তবে আমি এখন থেকে কাজটা নিজের সম্পূর্ণটা দিয়ে করবার চেষ্টা করবো। আশাকরি আমার শারীরিক অক্ষমতার কারণটা জেনে আপনারা আমাকে ক্ষমা আকড়ে দেবেন।

সময়, পরিস্থিতি এবং বিপদ একমাত্র মানুষ চিনতে সাহায্য করে। আমার ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা, কেউ আমার সহায়ক হয়ে নাই বা থাকুক আমাকে যেনো সবার পাশে দাড়ানোর ক্ষমতা দেন।

তাই আমিও জীবের সেবার মাধ্যমে নিজের কাছে চিরদিন নিজের মানবিকতা বহাল রাখতে চাই।

আজ এখানেই শেষ করছি, অনেক কষ্ট করে লিখেছি, ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন। ভালো থাকবেন সবাই এই কামনা করি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

@sanchita96আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এটাই কামনা করি।

ধন্যবাদ দিদি।আপনারা পাশে থাকলে আমি হয়তো আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠবো।

আপনার সুস্থতা কামনা করি, পাশাপশি বলতে চাই আপনি যেটা বোঝাতে চেয়েছেন সেই বিষয় আমি সহমত পোষণ করি।

ধন্যবাদ দিদি।আশাকরি আমার শরীরটা যেন ভালো হয়ে যায় এটাই কামনা করেন আপনারা সবাই।

জীবনের কিছু মুহূর্ত আমাদের নানা শিক্ষা দিতেই আসে, যেখানে মানবিকতা, সত্যতা নেই সেখানে ঈশ্বর বিরাজ করেন না।

Loading...

আপনার শারীরিক অবস্থার কথা জেনে খারাপ লাগলো। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।