আজকে সারাদিন এর ব্যস্ততা খুব ক্লান্তদায়ক ছিল//the dairy game//26-01-2025

in hive-120823 •  4 days ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম।আমি @saniya9 ওরফে শামীমা খান।

সবাই কেমন আছেন?আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি। তো আবারো চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আমার সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য।এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের কথা খুবই মনে পড়ে তাই ভাবলাম আবারও কিছু মুহূর্ত তুলে ধরি আপনাদের মধ্যে|

1000012975.jpg

1000012716.png

আমি সব সময় ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠি।তবে গতকাল থেকে আমি খুব অসুস্থ, তাই আজকে ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরি হয়েছে। তো যাইহোক ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পরিবারের সবার জন্য নাস্তা বানিয়ে দিয়েছিলাম।ছেলের জন্য আলাদা করে নাস্তা বানাতে হয়।তার জন্য নুডুলস রান্না করেছি।আর আমার জন্য কিছু ড্রাই ফ্রুটস এবং চিয়া সিডের শরবত বানিয়েছিলাম।সকাল বেলার সব কাজকর্ম শেষ করে চলে যাই আমার নিজস্ব কাজে।

1000012770.jpg1000005193.jpg1000012617.jpg

আমার ছেলে যে মাদ্রাসায় পড়ে,আমি সেখানকার ই কম্পিউটার বেসিক কোর্সের একজন স্টুডেন্ট।আমি মনে করি,আমাদের জীবনে শিক্ষা গ্রহন ও জ্ঞান অর্জন করার কোন বয়স নেই।তো যাই হোক আমি আমার কম্পিউটারে বাংলা টাইপিং শিখতেছি।এই মাদ্রাসাতে আমার ছোট বোনও পড়ালেখা করে। তো আমার কম্পিউটার ক্লাস শেষ করে আমি আমার ছোট বোনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি মার্কেটে যাওয়ার জন্য।

1000012929.jpg1000012923.jpg

আমরা রিক্সার জন্য বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি।তখন ওই রাস্তা দিয়ে একজন ফুলওয়ালা যাচ্ছিল। তো আমার বোন আবদার করলো ফুল কিনে দেয়ার জন্য। আমি তখন তাকে ফুল কিনে দেই।তারপর তাকে নিয়ে একটি হোটেলে গিয়ে সিঙ্গারা কিনে দিয়েছি কারণ সিঙ্গারা তার খুব পছন্দ।

1000012938.jpg1000012942.jpg1000012936.jpg

1000012716.png

তারপর আমরা চলে গেলাম লাইব্রেরীতে।আমি এমএস ওয়ার্ড বই কিনার জন্য আজকে একমাস যাবত ঘুরছি।তো এক সপ্তাহ আগে এডভান্স পে করে অর্ডার দিয়ে বইটা আনিয়েছি।আসলে আমার স্বপ্ন হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার হওয়া। তাই আমার অনলাইন জগতে ঝোক বেশি।

তারপর লাইব্রেরি থেকে ছেলের জন্য, কলম কিনেছি ওর ম্যাজিক বইয়ে লিখার জন্য।তারপর একটা ফলের দোকানে গিয়েছিলাম।আমার ছেলে খেজুর খেতে খুব পছন্দ করে।তাই আমি কিছু খেজুর কিনেছি।

1000012944.jpg1000012946.jpg1000012947.jpg

1000012716.png

বিকেলবেলা আমার ছাত্রীরা এসেছিল, তাদেরকে পড়াচ্ছিলাম।তো হঠাৎ করে দেখি যে,আমার ছেলে খুব অসুস্থ হয়ে পড়লো।তাই আমি সবকিছু ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে চলে গেলাম আবারও মার্কেটে ফার্মেসির উদ্দেশ্যে। তো সেখানে গিয়ে ডাক্তার দেখালাম।হঠাৎ করেই তার শরীরের জ্বর ১০২ ডিগ্রিতে চলে গেছে।তারপর আমি তার প্রয়োজনীয় সকল ঔষধ কিনে নিয়েছিলাম।আমিও ইদানিং খুব অসুস্থ আমার নিজের জন্যও কিছু ঔষুধ কিনেছি।এভাবে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।

1000012967.jpg1000012968.jpg

বাসায় আসার পথে ছেলে কান্না শুরু করলো সে পুরি সিঙ্গারা খাবে।আমি সহজে বাচ্চাকে বাহিরের খাবার খেতে দেই না।কিন্তু আজকে আর মানাতে পারিনি তাই কিনে দিলাম বাধ্য হয়ে।এভাবে বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে এলো।

1000012969.jpg

1000012716.png

এই ছিলো আমার আজকে সারাদিনের ব্যস্তময় মুহুর্তগুলো। সকাল থেকে রাত অব্দি বিশ্রাম নেয়ার সময় নেই।মেয়েদের জীবন হয়তো এরকমই হয়।আর আমার সবকিছুতেই একা দৌড়ানো লাগে।কারন আমার মাথার উপর মা-বাবার এবং স্বামীর হাত ছাড়া আর কেউ নেই। তাও আমি এসবে ক্লান্ত হইনা।কারণ জীবন মানেই কষ্ট,পরিশ্রম।

ধৈর্য,কষ্ট,পরিশ্রম ই আমাদের জীবনকে সাফল্য এনে দেয়। .

1000012466.png

সবার সুস্থতা কামনা করছি।আপনারা সবাই অবশ্যই আমার এবং আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।আমার ছেলে খুবই অসুস্থ।আজকের মত এখানেই বিদায় জানাচ্ছি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপু আপনার সারাদিনের কর্মকাণ্ড এর মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোস্টে পড়ে জানতে পারলাম আপনি কতদিন অসুস্থ ছিলেন। আশা করি এখন সুস্থ আছেন। আপনি সত্যি একটি ব্যস্ততা দিন পার করলেন। আপনি যে এখনো পড়াশোনা করছেন এটা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আপনি ঠিক কথা বলেছেন লেখাপড়ার কোন বয়স নেই। ইচ্ছা থাকলেই যেকোনো সময় পারা যায়।

ভালো থাকবেন আপু আপনি।

আপনার গল্পটি পড়তে খুবই ভালো লাগলো। একদিকে যেমন আপনি পরিবার ও কাজের দায়িত্ব পালন করছেন, তেমনি আপনি নিজের উন্নতির জন্যও চেষ্টা করছেন, যেমন কম্পিউটার বেসিক কোর্সে অংশগ্রহণ ও ফ্রিল্যান্সার হওয়ার স্বপ্ন। তবে আপনার ছেলের অসুস্থতা সত্যিই উদ্বেগজনক, এবং আপনার সব কাজের মাঝেও তাকে সঙ্গ দিতে আপনার যে প্রচেষ্টা তা খুবই প্রশংসনীয়। জীবন সত্যিই কঠিন, কিন্তু আপনি যেভাবে সবকিছু সামলাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি আপনার ছেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে এবং আপনি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থ করুন।

TEAM 5 Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

Picsart_24-12-31_15-00-29-616.jpg

Curated By @memamun

আমাদের প্রতিনিয়ত অনেক বেশি কষ্টের মধ্যে কাটাতে হয় পরিশ্রম না করলে সফলতা অর্জন করা যায় না তবে আপনি ঠিকই বলেছেন জ্ঞান অর্জন করার বয়স কখনো পেরিয়ে যায় না মানুষ যে কোন বয়সে তার যে কোন জিনিস শিখতে আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে এবং যদি আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই এসে শিখতে পারে।

তবে বিকেল বেলা আপনার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে যেটা জানতে পেরে খুব খারাপ লাগলো জানিনা সে এখন কেমন আছে দোয়া করি সে খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাক আমাদের সংসার জীবনটা একটু ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে যায় যেটা আপনার ক্ষেত্রে হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের দৈনন্দিন কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।