প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন বাংলা ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি শেষ পর্যন্ত সবাই আমার পাশে থাকবেন।
প্রতিদিনের মতো আজকে ও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলাম। তখন সকাল ছয়টা বাজে।ঘুম থেকে উঠেই আগে টুথপেস্ট ব্রাশ খুঁজলাম। তারপর দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ঘরের সকল কাজ করা শুরু করলাম। তারপর সকল কাজ শেষ করে পরিবারের সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করলাম। তারপর সবাইকে নাস্তা পরিবেশন করে আমি নিজেও নাস্তা খেয়ে নিলাম। বাচ্চাকে খাবার দিলাম। খাবার শেষ করে বাচ্চাকে স্কুল ড্রেস পরে পরিপাটি করে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি করলাম। আমি নিজেও তৈরি হলাম বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। প্রতিদিনের মতো আজকে ও ছেলেকে নিয়ে স্কুলে গেলাম। আজকে সকালে ছেলে বাসা থেকে খাবার খেয়ে এসেছে। এজন্য ছেলের জন্য আজকে টিফিন নিয়ে আসিনি। টিফিন নিয়ে আসলেও তেমন একটা খাবার খায় না। ছেলে টিফিনের সময় দোকানের খাবার খেতে চায়।তাই ভাবলাম আজ টিফিনে ছেলেকে সিঙ্গারা কিনে দেবো। এবং সকাল সাড়ে দশটার সময় টিফিনের ঘন্টা দিয়ে দিলো। তারপর আমি ছেলেকে নিয়ে স্কুলের সামনে হাঁটা ধরলাম। তারপর কিছু সময় হাঁটার পর মেইন রোড পার হলাম। গিয়ে দেখি গরম সিঙ্গারা ভাঁজজে। এবং আমি তাকে বললাম চারটা সিঙ্গারা দিতে। একটি সিঙ্গারার মূল্য পাঁচ টাকা। যেহেতু আমি চারটা সিঙ্গারা কিনেছি তার মূল্য বিশ টাকা। আমি দোকানদারকে বিশ টাকা দিয়ে সিঙ্গারা নিয়ে চলে গেলাম স্কুলে । তারপর একটি বেঞ্চে বসলাম। এবং সিঙ্গারা গুলি বাইরে বের করে দিলাম। নিচে সিঙ্গারা গুলির একটি ছবি শেয়ার করলাম।
সিঙ্গারার ও সাথে পানি দিলাম। দিয়ে বললাম সিঙ্গারা গুলি খেয়ে পানি খেতে। এছাড়াও অনেক বাচ্চারাই একসাথে টিফিন খাচ্ছিল। বাচ্চারা কি সুন্দর গুছিয়ে বেঞ্চে বসে একসাথে সবাই টিফিন খাচ্ছিলো। এই মুহূর্তে বাচ্চাগুলোর আমি একটা ছবি তুলি আর ছবিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
তারপর সব বাচ্চাদের টিফিন খাওয়া শেষে ক্লাস রুমে চলে যাই। বাকি দুইটা ক্লাসের পর স্কুল ছুটি হয় ১২:৩০ মিনিটে। স্কুল ছুটির আগে আমি স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখানে বেলকোনিতে কিছু ছোট ছোট ফুলের গাছ আছে। গাছগুলো দেখতেও সুন্দর। এখনো ফুল সেভাবে ফোটেনি। তবে আশা করা যায় আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিটা গাছে ফুলে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। প্রতিটা ডালে ছোট ছোট ফুলের কুঁড়ি। আমার খুব ভালো লাগলো আমি একটি ছবি তুলেছি। সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। নিচে ছবিটা দেখতে পারছেন ।
এর মধ্যে একটি ফুলের নাম রঙ্গন ফুল। সাধারণত এই রঙ্গন ফুলটি আমাদের বাড়ির আশে পাশে তে দেখা যায়। বাড়ির আশেপাশে ফুলের গাছটি খুব বেশি দেখা যায় । দেখতেও গাছটির আমাদের খুব চেনা। এখন এই গাছটি স্কুলে বেলকনিতেও লাগানো আছে। রঙ্গন ফুলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো চোখ ধাঁধানো রং। রঙ্গন ফুলের কালার বেশ কয়েক রকম হয় যেমন লাল, গোলাপি ,সাদা, হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের রংঙের কারণে এই ফুল গাছটি বাগানের আরও আকর্ষণ বাড়ায়। ছোট গাছটিতে ছোট ছোট কুড়ি হওয়ার কারণে কত সুন্দর লাগছে। নিচে একটি রঙ্গন ফুলের গাছের ছবি শেয়ার করলাম।
রাঙ্গল ফুলের পাপড়ি গুলো সাধারণত প্রশস্ত ও গোলাকার হয়ে থাকে। ফুলের পাপড়ি গুলো প্রাকৃতিক নকশার মত লাগে। যা ফুলের সুন্দর ও আকর্ষণীয় বেড়ে যায়। রঙ্গন ফুলের গাছের পাতাও অনেক সুন্দর। রঙ্গন ফুলের গাছ সাধারণত উঁচু ও ছাতার মতো ছড়িয়ে পড়া হয়। কিন্তু সেই তুলনায় গাছটি এখনো অতটা বড় হয়নি। গাছটা এখনো অনেক ছোট। এই গাছের ফুল ও পাতা অনেক গারো রং। এই গাছের ফুলগুলো সহজে ঝড়ে যায় না। এজন্য এই গাছের সুন্দর্য দীর্ঘদিন ধরে বজায় রাখতে পারে। যদিও রঙ্গন ফুলের গন্ধ তীব্র নয়। কিন্তু ফুলটি অনেক সতেজ ও সুন্দর। নিচে একটি ছবি শেয়ার করলাম।
এখানে আরো অন্যান্য ফুলের গাছ আছে। আমি সেগুলোর নাম জানি না। এজন্য আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না। ওখানে আর কি কি গাছ আছে আমি খুব বেশি চিনি না। ও গাছের ফুলগুলো সাদা হয় ।কিন্তু ফুল গাছের নাম কি তা জানি না। তারপর ছেলের স্কুল ছুটি হয়ে যায় বাসায় চলে আসি। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নেই। এভাবেই আজকের দিনটা আমার কাটলো।
ছবি তুলেছি Oppo A16 ফোন দিয়ে