হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে প্রেমের গল্প নিয়ে হাজির হলাম। আর হ্যাঁ এ গল্পটি কিন্তু আমার নিজের।
Source
প্রেমের গল্প সে তো আমাদের সবার জীবনেই রয়েছে। আর এই প্রেম যে কোনো পরিস্থিতিতেই হয়ে যেতে পারে। হতে পারে রাস্তায়, ট্রেনে ভ্রমণের সময়, বাসে, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি এমনকি কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পরেও হতে পারে।
আর এই প্রেম হটাৎ করেই আমাদের জীবনে আসে। আপনি আমি হটাৎ করেই তাহার প্রেমে পড়ে যেতে পারি। তেমনি আমার জীবনে ও একটি রোমান্টিক প্রেমর গল্প রয়েছে। যদি ও আমি এই গল্প কখনো সবার মাঝে এভাবে শেয়ার করি নি,,,,
তবে এখানে তো আমাকে কেউ তেমন চেনে ও না সেই জন্য বিষয়টি সবার মাঝে শেয়ার করেছি। যদি ও ব্যক্তিগত জীবনে একটি গল্প। আর ভালো লাগার বিষয় তো সেজন্য বেস কয়েক বছর পরে এভাবে সবার মাঝে উপস্থাপন করতে চলেছি।
আমি হাই স্কুল লাইফ পার করেছি অত্যান্ত স্বাভাবিকভাবে। হাই স্কুল জীবনে অনেক ভালো বন্ধু বান্ধব ছিল। সেই স্মৃতিগুলো আমার মনে পড়লে, এখনো সেই অতীতে ফিরে যেতে মনে চায়। আমি হাই স্কুল লাইফে অত্যন্ত সহজ-সরল ভাবে চলার চেষ্টা করতাম।
এজন্য ক্লাসের বন্ধু-বান্ধব অনেক সময় অনেক কথা বলতো আমাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমি মেয়েদের সাথে কথা বলতেই পারতাম না ধরা চলে। এর জন্য আমার বন্ধুরা যে, আমাকে কত কথাই বলত তা বলে শেষ করা যাবে না।
Source
বন্ধুরা বলতো তুই একটা মেনা সয়তান আমাদের সামনে কারো সাথে কথা না বললে ও তলে তলে ওই প্রেম ঠিকই করে। আরো যে কত কি বলতো তা আমি নাই বলি। এভাবেই আমার হাই স্কুল লাইফ শেষ হয়ে গেল।
স্কুল লাইফ শেষ করে ভর্তি হলাম নিজ জেলা শহরে। বডিংয়ে থেকে পড়াশোনা করতাম। ইনস্টিটিউট লাইফের প্রথম দিকে আমি একদিন বাড়ি ফিরছিলাম। দিনটা ছিল হালকা বৃষ্টির দিন, আমি একটা ব্যাগ নিয়ে এবং হাতে একটি লটাপট ব্যাগ ও ছিলো। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ভাবের কিছুই কম ছিলনা।
আমি রওনা হইলাম হালকা বৃষ্টির মাঝে বাসস্ট্যান্ডের দিকে, বৃষ্টির দিন হলে ও লোকজনের সমাগম ভালই ছিল। তো আমি জেলা শহর থেকে বাড়ির উদ্দেশ্য বাস করে রওনা হচ্ছিলাম।
হালকা বৃষ্টির মাঝে বাস প্রায় ছেড়ে দিবে এমন সময় তাহার সাথে দেখা হয়ে গেল। মেয়েটা আমার পাশেই বসলো, কারণ অন্য কোথাও তেমন সিট ছিলো না,,,সিট ছিলো একদম পিছনে। তো মেয়ে টা আমার পাশের সিটেই বসলো।
এর আগে ও আমি আমার জীবনে অনেক বাস ভ্রমণ করেছি,,পাশাপাশি সিটে অনেক মেয়ে সাথে কথা বলতে বলতে জার্নি করেছি। কখনো এরকম ফিল হয়নি।
আজকে হালকা বৃষ্টির দিনে বাসে পাশাপাশি সিটে বসে আছি। সত্যি বলতে তাহার মতোন সৌন্দর্য আমি আগে কখনো দেখি নি। তাহার সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ। তাহার সাথে কথা বলার জন্য আমি অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এর মাঝেই মেয়েটি বললো ভাইয়া,, আপনি যদি আমার সিটে আসতেন আমি আপনার সিটে যেতাম। আমি দ্বিতীয় আর কোনো কথা বললাম না আমার নিজের সিট ছেড়ে দিলাম এবং তাহার সিটে অবস্থান করলাম।
মেয়েটি বললো আমার গাড়িতে উঠলে তেমন ভালো লাগে না, সেজন্য আপনার এই সিটে বসলাম। সুরু হলো আমাদের কথা বলা। সত্য বলতে আমি এর আগে কখনো এভাবে কথা বলি নি।
Source
যেমন তার কন্ঠের সুর তেমন তার সৌন্দর্য সব মিলেয়ে আমি ফিদা হয়ে গেছি। তাহার সাথে বিভিন্ন ভাবে কথা বার্তা বলতে শুরু করলাম। বলতে বলতে সে কোন কলেজে পড়ে এই বিষয়টা আগে জেনে নিলাম।
কথা বলতে বলতে আমার যে স্থানে নামার কথা ছিলো,, আমি জেনে ও সে স্থানে নামলাম না। আমার বিশ্বাস ছিলো মেয়েটি আমাদের উপজেলার আশে পাশে হবে। কথা বলতে বলতে মেয়েটা বলছে আপনি কোথায় নামবেন একটা মিথ্যা কথা বললাম যে সামনে শাজাতপুরে।
আমি আমার প্রথম জীবনে এই প্রথম কোনো মেয়ের জন্য বাসে করে তাহার পিছু নিয়েছিলাম। আমি যে পিছু নিয়েছিলাম তাহার সে অনেকটাই জেনে গিয়েছিল।
কারণ আম্মু ফোন দিয়েছিলো এখন কতদূর আমি তখন আম্মুকে সত্য টা বলে দিয়েছিলাম। হয়তো তখন শুনে ফেলেছে তবুও তাহার পিছু নিয়ে ছিলাম। তাহার সাথে বাস থেকে নেমে আমি তাহার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রয়েছিলাম।
এত অল্প সময়ে মনে হচ্ছে যেন সে কত আপন। আমি তার সৌন্দর্যতা তাহার মিষ্টি কথার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। এই সামান্য সময়ের ব্যবধানে তাকে ছেড়ে যেতে মনে চাচ্ছিলো না।
Source
এর মধ্যে মেয়ে টা অনেকটাই বুঝে ফেলেছে আমি তাহার জন্য, তাহার জেলা শহর পর্যন্ত এসেছি। বাস থেকে নেমে মেয়ে টা হাঁটি হাঁটি পা পা করে চলে যাচ্ছে। আমি ও তাকিয়ে রয়েছি যে একবার পিছু ফিরে তাকায় কি না। সে তাকিয়ে ছিলো এবং হাত দিয়ে টাটা ও দিয়েছিল।
আমার কাছে এই মূহুর্তটি সবচেয়ে সুন্দর ও সুখময় ছিলো। আমি পড়ের বাসে করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হইলাম। বাড়িতে পৌঁছে ও কিছু একটা শূন্যতার অনুভব করলাম।
আমি শুরু করলাম মিয়েটার খোঁজ নেওয়া, যেহতু আমি তাহার কলেজ এবং তাহার নাম ও ডিপার্টমেন্ট এ পর্যন্ত জানি।
আমার মাসের ছোট ভাই ও ওই কলেজ এ পড়ে,,,ওকে দিয়ে সব খোজ লাগালাম যথারীতি তে খোঁজ পেয়ে গেলাম। যদিও এ সমস্ত তথ্য নিতে গিয়ে আমার অনেক কষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। তবু সব বিষয়ে আনন্দের সাথেই মেনে নিচ্ছিলাম।
Source
বেস কয়েক দিন পড় আমি তাহার সামনাসামনি হাজির হলাম। তাহার কলেজ টা ছিলো আমাদের জেলে শহরের ডিগ্রী কলেজ। আমার ইন্সটিটিউট থেকে কিছু টা দূরে।
দেখা হওয়ার সাথে সাথে বেস কিছুক্ষন কথা বললাম। আমার মনে বিশ্বাস হচ্চিলো না যে তাহার সাথে আবার দেখা হবে, কথা হবে। দীর্ঘ সময় কথা বললাম, তবুও যেন কথা শেষ হচ্ছে না। আজ আর ভূল করলাম না তাহার ফোন নাম্বার টা নিয়ে নিলাম।
এখানে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আমি এর আগে কখনো এত সাহস করে কারো সামনে যেতে পারি নি,,কথা বলতে পারি নি। কিন্তু তাহার সামনে যেতে আমার কোনো হতাশা, বা ভয় কোনো কিছুই কাজ করছিলো না। শুধু তাহার সাথে কথা বলবো এই বিষয়টি কাজ করছিলো মাথায়।
এভাবেই আমাদের শুরু হলো চুপিচুপি প্রেম আলাপ,,,মেয়েটির ব্যবহার, কথাবার্তা, আজও আমায় মুগ্ধ করে। তাহার সৌন্দর্যর কথা আর নাই বলি,,,এক কথায় যাকে ভালো লাগে তাহার সব বিষয় ভালো লাগে।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার গল্পটি এখানেই শেষ করছি। আসসালামু আলাইকুম।
ভাই পুরো গল্পটা বললেন না কেন? খুব আফসোস হচ্ছে পুরো কাহিনীটা জানার জন্য। এরপর কী হলো আপনাদের। ভালোবাসা পূর্ণতা পেল কীনা ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাই দয়া করে এর পরের লেখায় আপনি পরের কাহিনীটুকু লিখবেন। অপেক্ষায় থাকবো ভাই। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই এই গল্পের পার্ট আর একটা করলে করা যেত ,, কিন্তু আমি আপনাকে আপডেট টা জানিয়ে রাখি আমরা এখনোও বর্তমান রানিং এ আছি ইনশাল্লাহ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুরা রোমান্টিক ভালোবাসা ভাই ৷ এমন ভালোবাসা আর এমন প্রেম সবার কপালে থাকে না ৷ আমি অনেক জায়গায় ভ্রমন করেছি কিন্তু কোন দিন আমার পাশে কোন মেয়েকে বসতে দেখি নি ৷ যাই হোক ভাই আপনার ভালোবাসা পূর্নতা পেয়েছি কি জানি না ৷ তবে আপনার ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম ৷
যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,,
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit