ছোট বয়স থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমরা অনেক ঘটনার মধ্যে দিয়ে যাই। প্রতিটি ঘটনাই আমাদের জীবনে কিছু না কিছু শিক্ষা নিয়ে আসে। যে শিক্ষা আপনি বইয়ের পাতায় পড়ে উপলব্ধি করতে পারবেন না। থিওরি এবং প্র্যাক্টিকাল বিষয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
কোন কিছু জানার জন্য বই পড়া অত্যন্ত দরকারী। এটি আমাদের সমাজের নিয়মও বটে যে বই পড়ে যে কোন তথ্য জানতে হবে। কিন্তু আপনি বই পড়ে যে জ্ঞান আহরোণ করবেন তা সবসময় কাজে লাগাতে পারবেন না। বাস্তবে সেই কাজটি করতে আপনার কোন অভিজ্ঞতা না থাকলে শুধু মাত্র থিওরী নির্ভর হলে আপনি অসফল হবেন। উদাহরণস্বরুপ, সাইকেল চালাতে গেলে কিংবা সাঁতার কাটতে গেলে আপনি যতই বই পড়ে কৌশগুলো রপ্ত করুন যতক্ষণ না আপনি সাইকেলে চড়ে বসছেন। ২-৩ টা আছাড় না খাচ্ছেন ততক্ষণ আপনার এই বিষয়টা আয়ত্বে আসবে ন। সাঁতারের ক্ষেত্রেও তাই। পানিতে না নামলে আপনার দ্বারা সাঁতার শেখা সম্ভব না।
একটি কাজ বারংবার করতে করতে মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। সে সেই কাজের স্পেশালিষ্ট হয়ে উঠে। এটি হয়ে উঠতে তাকে কিন্তু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। দেখে দেখে তারপর নিজে করার মাধ্যমে যে কোন কাজ মানুষ আয়ত্ব করে নেয়। আপনি শুধু বইয়ের জ্ঞান দিয়ে একটি ভালো চাকুরী জোটাতে পারবেন। কিন্তু জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রাক্টিকাল জ্ঞান থাকা আবশ্যক। ১০ বছর ধরে কোন বিষয়ে একটি বই পড়ে পারদর্শী হওয়া এবং ১০ বছর ধরে ঐ বিষয় সম্পর্কিত কাজে যুক্ত থাকা এক বিষয় নয়। যিনি সরাসরি কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন তার অভিজ্ঞতা বই পড়ে জ্ঞান লাভ করা লোকের চেয়ে অনেক বেশী।
আমাদের সমাজের বেশীরভাগ শিক্ষার্থীরই পড়াশোনার প্রতি অনিহা দেখা যায়। এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে থিওরী সম্পর্কিত পড়াশোনা। যা কিছু তারা দেখে এবং শিখে সবই বইয়ের পাতায়। তাই একটি সময় বিষয়গুলো একঘেয়েমি লাগতে শুরু করে। শিক্ষার্থীরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। এর মানে এই নয় যে, পুঁথিগতবিদ্যার দরকার নেই। আপনি প্রাকটিকাল কোন কাজ করার আগে থিওরীর প্রয়োজন হবেই। থিওরীটাকেই বাস্তবে রূপ দেওয়াটাই হচ্ছে প্র্যাক্টিকাল। তাই আমার মনে হয়, থিওরীরর পরিমাণ কমিয়ে প্র্যাক্টিকাল শিক্ষা যদি বাড়ানো যায় যেটা বাহিরের দেশে দেখা যায় তাহলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনার প্রতি মনযোগী হবে।
কথায় আছে, অভিজ্ঞতার দাম আছে। কেউই আনাড়ীদের পাত্তা দেয় না। আপনি যত অভিজ্ঞ হবেন আপনার চাহিদা তত বাড়বে। এটি সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বর্তমানে আমরা চকুরীর বাজারের দিকে তাকালে দেখতে পাই, সব কোম্পানিই অভিজ্ঞ লোক খোঁজেন। অভিজ্ঞতা না থাকলে স্যালারীর পরিমান যত সামান্য হয়ে যায়। আস্তে আস্তে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে নিজের দামও বাড়ানো যায়। তাই ছাত্র অবস্থায় শুধু বই পড়ার পেছনে সময় না দিয়ে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির দিকেও সমানভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
আসলে আমরা যদি কোন কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা বেশি থাকে তাহলে সব জায়গাটাই আমাদের দামটা বেশি থাকে সেটা পড়াশুনা হোক কিংবা কাজের বিষয় হোক। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি সঠিক কথা বলেছেন , শুধু কিছু বই পড়লেই ঞ্জান লাভ করা যায় না। সেই সমন্ধে বাস্তব ধারণা নিতে হবে। একজন ভালো মানের শিল্পী হতে হলে তাকে প্রতিনিয়ত সাধনা করে যেতে হয়। তবে তিনি পারবেন ভবিষ্যতে ভালো শিল্পী হতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক কথা যে পুথিগত বিদ্যার থেকে অভিজ্ঞতার মূল্য অনেক বেশি। শুধু মাএ বই পড়লে চলবে না। আমাদেরকে ভবিষ্যতে প্রজন্মকে অবশ্যই পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি দক্ষতা বাড়াতে হবে ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
তবেই দেশ এগিয়ে যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit