বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় খেজুর।

in hive-120823 •  2 months ago 
IMG_20240429_150459.jpg

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

সবাইকে শুভেচ্ছা
IMG_20240430_152506.jpg
IMG_20240430_152456.jpg

শৈশবে আমার মা এই দেশীয় খেজুর গুলো যখন পেকে হলুদ বর্ণের হয়ে যেত তখন আমার মা খেজুর গুলো সংগ্রহ করে একটা পাত্রের মধ্যে পরিমান মতো লবন দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখতেন। সকাল হলে পানি ছেঁকে খেজুর গুলো নিতেন আর তখন খেজুর গুলো লাল বা খয়েরী রঙের হয়ে যেত খেতে বেশ মিষ্টি হতো অনেক মজা পেতাম এই লবন ভেজা খেজুর খেয়ে। শুধু আমার মা না গ্রামের প্রায় সকল মহিলা এ পদ্ধতিতে খেজুর পাকাতেন।

IMG_20240429_150548.jpg

এই খেজুর গুলো কাঁচা অবস্থায় অনেক কষ থাকে পাকলে এই মিষ্টি হয়ে বটে তবে কষ থেকে যায়। এজন্য আমার মা বা গ্রামের মহিলারা এই লবন দেওয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে এই খেজুরকে পুরোপুরি খাওয়ার উপযোগী করতো। শীতের খেজুরের রস নেওয়ার পর্ব শেষে থোকায় থোকায় খেজুর বের হওয়া শুরু করে এবং বৈশাখের শেষে জৈষ্ঠ্যমাস শুরুতে এই খেজুর পাকতে শুরু করে।

IMG_20240429_150517.jpg
IMG_20240429_150459.jpg

অনেকটা অযত্নে বেড়ে উঠে এই খেজুর গাছ কারন এই ফল গাছ কেউ রোপণ করে না পাখি এ ফল খেয়ে অথবা মানুষ খাওয়ার পর এর বীজ পথে ফেলে দেওয়ার কারনে আপনা আপনি বেড়ো উঠে যদিও খেজুর গাছ মরু অঞ্চলের ফল তবে আমাদের দেশে এই একটা জাতের খেজুর গাছ পাওয়া যায়। এ গাছ ডাল বা ডগায় গড়ায় প্রচুর পরিমানে কাঁটা থাকে যার কারনে ফল সংগ্রহে অনেক বেহ পেতে হয়। অনেক সময় কাঁটা হাতে বিঁধে যায়।

যদিও এই অনেক অযত্নে পড়ে থাকে বা কেউ তেমন একটা আগ্রহ দেখায় না এই ফলের প্রতি। কিন্তু একটা গবেষণা লয় পাওয়া গেছে এই প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, ক্যালসিয়াম আয়রন বেটা-ক্যারোটিন সহ আরো অনেক উপকারী উপাদান। এই ফল হৃদযন্ত্রের জন্য অনেক উপকারী এছাড়াও রক্ত তৈরিতে ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। এটি যকৃত ও পাকস্থলীর শক্তি বৃদ্ধি করে।

IMG_20240429_150514.jpg

কালের পরিক্রমায় আজ অনেকটা বিলুপ্তির পথে এই দেশী খেজুর গাছ। ইট ভাটায় জালানী হিসাবে ব্যবহারের জন্য নির্বিচারে কাটা হচ্ছে এই দেশীয় খেজুর গাছ। তার সাথে রাস্তা তৈরির নাম করেও অনেক খেজুর কেটে ফেলা হচ্ছে। অথচ আগে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা গ্রামের মেঠো পথের ধারে এই খেজুর গাছ দেখা যেত। প্রত্যেক বাড়িতে এই গাছ দেখা যেত। আর এই গাছ বিলুপ্ত হওয়ার আরেকটা কারন হচ্ছে যেহতু কেউ এই গাছ রোপণ করে না তাই আর এ গাছের বংশবিস্তার তেমন হয় না।

তবে যদি বন বিভাগের উদ্যেগে উপকূলীয় অঞ্চলে এবং রাস্তার দু পাশে এই খেজুর গাছ রোপণ করা হয় তাহলে কিছুটা হলেও এই খেজুর গাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। উপকূলীয় অঞ্চলে রোপণের ফলে নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাবে। আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

আল্লাহ হাফেজ।

I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about Native dates.

Device name:Vivo Y21
Camera:13 megapixels
Shot by:@shasan705
Location :Bangladesh
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার লেখায় উল্লেখিত এমন খেজুর গাছ আামাদের গ্রামের বাড়িতে দুইটা ছিলো।
এই গাজগুলো আমার দাদি লাগিয়েছিল। বাজ পরে একটা পুরে গিয়েছিলো। আরেকটা এখনো আছে।
মা হয়তো আপনার বলা পদ্ধতিটেই হয়তো পাকতো। সেটা আমার মনে নাই অবশ্য।
খেজুর গাছ যে ইটের ভাটায় পোড়ানো হয়ে থাকে এটা আমার জানা ছিলো না। তবে আপনার লেখা পড়ে বিষয়টা জানা হলো।

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা লেখা উপহার দেবার জন্য।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।


We support quality posts and good comments posted anywhere and with any tag.
Curated by : @edgargonzalez

আসলেই এখন খেজুর গাছ গ্রাম অঞ্চলে দেখাই যায় না তা না হলে আমরা ছোট থাকতে স্কুলে যাওয়ার সময় খেজুরের গাছের নিচে প্রায় যেতাম খেজুর পরে আছে কিনা ৷ আর বর্তমান সময়ে এই খেজুরের গাছ গুলো কেটে নিধন কর্ ফেলেছে ৷

যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷