হ্যালো বন্ধুর,
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ,
হিন্দু ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জন্য আদাব,
এবং অন্যান্য ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জন্য শুভকামনা রইল।
আশা করি সকলেই ভাল আছেন।মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি।
বরাবরের এর মতো আজকেও আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি ব্লগ পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি রংপুর যাত্রা কালিন কিছু সময়ের অভিজ্ঞতা। মূলত ব্যক্তি গত একটি কারনে আমাকে রাংপুর এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করার প্রয়োজন হয়।তাই আমি আপনার মাঝে আজকে শেয়ার করতে যাচ্ছি যাত্রা কানিল সময় আমার কেমন কেটেছে।সেই মূহুর্ত গুলো কিরকম ছিলো ও যাত্রা কালিন সময়ে তোলা কিছু ছবি।
আমি বিকেলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বারি থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে বের হই। বারি থেকে বের হয়ে অটো বা রিকশা কিছুই পেলাম না তাই বারি থেকে অল্প একটু দুরেই একটা ছোট বাজার ছিলো সেই পর্যন্ত হেটেই গেলাম। বাজারে গিয়ে সবুজ নামে এক বন্ধুর সাথে দেখা হলো। আমার ঘারে ব্যাগ দেখে জিজ্ঞেস করলো কোথাও যাচ্ছিস নাকি। আমি বললাম হ্যাঁ রংপুর যাচ্ছি একটি কাজে। তারপর বললাম চল চা খেতে খেতে কথা বলি। এরপর চা খেতে খেতে দুইজনার মধ্য প্রায় ৫/৭ মিনিট সময় নিয়ে কথা হলো।
কথা শেষ করে বললাম তাহলে আমি আসিরে। বলে বাজার থেকে একটি রিকশা নিলাম এবং বাস স্ট্যান্ড এর দিগে রওনা দিলাম। রিকশা নিয়ে বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেলো। গিয়েই দেখতে পেলাম বাস দারিয়ে আছে। আমাকে জিজ্ঞেস করলো টিকিট করেছেন না করলে তারাতারি করে নিন গারি এক্ষনি ছেরে দিবে কিন্তু।আমিও দেরি না করে টিকিট করে গারিতে উঠে পরলাম।
গারিতে উঠে জানালা দিয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম আসেপাশের রাস্তার এবং সেই সাথে নিজেও একটা সেল্ফি তুলে নিলাম।
এর পর ১/২ মিনিটের মধ্যে গারি ছেরে দিলো রংপুরের উদ্দেশ্যে। প্রচন্ড গরমের কারনে বাস এর মধ্যে ফেন চলতেছিলো যাত্রি দের সুভিধার জন্য।তারপরেও আমি জানালা খুলে বাহিরে তাকিয়ে ছিলাম এবং প্রকৃতি উপভোগ করেছিলাম।
এর পর নেক্সট স্টপেজ এ গারি দারালো এবং যাত্রি তুলতে শুরু করলো। যাত্রি তুলা শেষ গারি ছারবে এমন সময় আমার পাশের সিট থেকে একটি মেয়ে কন্ঠে বলে উঠলো কি অবস্থা সোহাগ কেমন আছ (এটি আমার ডাক নাম।কাছের মানুষেরা এই নামেই ডাকে আমাকে) পাশের সিট এর দিগে তাকিয়ে তো আমি অবাগ সেই মেয়ে টি ছিলো আমার কলেজ জিবনের বান্দবি। তারপর বললাম আমি ভলো আছি তুমি কেমন আছো। সেও আনন্দের সাথে জানালো ভালোই আছে।বললাম কোথায় যাওয়া হচ্ছে।বল্লো আমি ঢাকা জাই বন্ধু তুমি কোথায় যাচ্ছো আমি বললাম রংপুর।
তারপর বললো দেখ কি এক অবস্থা এতো কথা বললাম আসল কথাই বলা হলো না।
বলল আমার বিয়ে হইছে বন্ধু পাসে বসা উনি আমার হাজবেন্ড। আমি হেল্যো বললাম এবং পরিচিত হলাম বললাম আমি শফিউল ইসলাম আপনার ওয়াইফ এর কলেজের বন্ধু।উনিও উনার নাম বল্লো। জিজ্ঞেস করলো তারপর কলেজের পর লেখাপড়া কথায় হচ্ছে বললাম মোহাম্মাদ ঢাকা তে। উনি বল্লো আমারা তো মোহাম্মাদ পুর থেকে কাছেই আসিয়েন একদিন। আমিও বললাম আচ্ছা ভাইয়া।
এরপর গল্প করতে করতে করতে রংপুরে এসে পরে গারি এবং আমাকেই সেখানেই নেমে জেতে হবে তাই তাদের কাছে বিদায় নিয়ে রংপুর এই নেমে গেলাম পার্কের মোরে।
সেখানে মানতে নামতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল তাই নেমে রাতেই বেলার ফাকা রাস্তা ঘাটের কিছু ছবি তুলে নিলাম।
তারপর আমার এক বন্ধুর আশার কথা ছিলো আমাকে রিসিভ করার জন্য তার জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম এবং চা খাচ্ছিলাম চা শেষ হতে না হতেই সে চলে আসল সাথে এরক জন বন্ধুকে নিয়ে। সেখান থেকে ডাইরেক্ট তাদের রুমে চলে গেলাম।