Better life With Steem | | The Diary Game | | 08 May, 2024

in hive-120823 •  10 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গত বুধবার দিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:

Beige Tan Aesthetic Brand Board Photo Collage_20240510_021326_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই সেই দিনের সকালবেলাটা ছিল ভিন্নরকম। আমি বিগত পোস্টেই বলেছিলাম, মঙ্গলবার রাতে আমার ঢাকা যাওয়ার কথা। সেই হিসেবে বুধবার সকাল বেলায় আমার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। যাই হোক, সময় অনুযায়ী সকাল ৮:০০টার মধ্যেই ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল।

IMG_20240508_091602.jpg

কিন্তু দুঃখের বিষয় ট্রেন অনেক দেরিতে যাওয়ার কারণে সকালবেলা কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে প্রায় ৯ টা ৪০ মিনিট বেজে গিয়েছিল। ট্রেন থেকে নেমে আমি যে, ছোট ভাইয়ের বাসায় যাব তার সাথে ফোনে কথা বলেছিলাম।

পরে ছোট ভাইয়ের কথা অনুযায়ী একটি রিকশায় উঠে ছোট ভাইদের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। এর আগেও আমি ঢাকায় অনেকদিন ছিলাম এবং অনেক কিছু চিনি। কিন্তু ছোট ভাইয়েরা যে, এলাকায় থাকে ওই এলাকায় এর আগে আমার কখনো যাওয়া হয়নি।

IMG_20240508_120507.jpg

ছোট ভাইয়ের লোকেশন অনুযায়ী তাদের বাসার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আবারো ফোনে যোগাযোগ করার পর সে, নিচে নেমে আমাকে নিয়ে তার বাসায় গিয়েছে। বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। আসলে জার্নি করলে শরীর অনেকটা ক্লান্ত লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল বেশিক্ষণ রেস্ট করার মত সময় পাইনি। কারণ দিনের বেলা আমার বাইরে একটু কাজ ছিল।

IMG_20240508_120635.jpg

মোটামুটি বেলা ১১ঃ৩০ টার দিকে আবারও বের হয়ে ছোট ভাইসহ বাইরে নাস্তা খেয়েছিলাম। আমি যে ছোট ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলাম সে, ঢাকা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে রেডিওলজি ডিপার্টমেন্টে ইন্টার্নি করতেছে।

আমাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সে ডিউটি থেকে স্যারকে বলে এসেছিল। পরে নাস্তা খেয়ে আবারো জাতীয় বার্ন ইউনিটে গিয়েছি। যারা ঢাকা শহরে থাকি, তারা সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিনে থাকি।

IMG_20240508_121806.jpg

বার্ণ ইউনিটে রেডিওলোজি ডিপার্টমেন্টে গিয়ে ছোট ভাই স্যারের কাছ থেকে আমার জন্য পুরো দিনের ছুটি নিয়েছিল। পড়ে সেখান থেকে বের হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের দিকে গিয়েছি। সেখানে গিয়েছি মূলত, আমার প্রতিষ্ঠানের মালিকের, গ্লোবাল মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিডি লিমিটেডে একটি চেক জামানত ছিল। সেটা ফেরত নেওয়ার জন্য।

IMG_20240508_125234.jpg

সেখানে কাজ শেষ করে মহাসচিব মেট্রোরেল থেকে উঠে আগারগাঁও পর্যন্ত গিয়েছিলাম।আগারগাঁও থেকে আবারও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হসপিটাল গিয়েছিলাম। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের ব্লাড ব্যাংকে আমার বন্ধু চাকরি করে।

IMG_20240508_144203.jpg

সেখানে গিয়েছি তার সাথে দেখা করার জন্য। আমি ঢাকা গিয়েছিলাম কারণ আমার কিছু ছোট কাজ ছিল। আর যতগুলো বন্ধু-বান্ধব ছিল অনেকদিন থেকে কারো সাথে দেখা করা হয় না। এজন্য সবার সঙ্গে দেখা করেছি।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল থেকে আবারো মোহাম্মদপুরে গিয়েছি। মোহাম্মদপুরে আমার দুইজন বান্ধবী চাকরি করে। সেখানে গিয়ে সবার সাথে আড্ডা দিয়েছি। অনেকদিন পর সবাই একসাথে হওয়ার পর খুব ভালো লেগেছিল। বলতে গেলে বিকেল পর্যন্ত সবার সাথে এভাবেই ঘুরে বেড়িয়েছি।

IMG_20240508_152652.jpg

পরে মোটামুটি সন্ধ্যার আগে সব কাজ শেষ করে বাইরেই খেয়েছিলাম। কারণ বাইরে ঘোরাফেরা করার জন্য বাসায় গিয়ে খাওয়ার মত সুযোগ হয়নি। সন্ধ্যার দিকে বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছিলাম। পরে হালকা কিছু নাস্তা খেয়ে আবারো গুলিস্তানের দিকে গিয়েছি।

গুলিস্তানের দিকে আমার নিজের কিছু পার্সোনাল কাজ ছিল। গুলিস্তানের কাজ শেষ করে বাসায় আসার পথে ছোট ভাই এবং আমি হালিম খেয়েছিলাম। সত্যি বাইরের অন্য জায়গার হালিম আর ঢাকা শহরের হালিমের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।

IMG_20240508_204242.jpg

মোটামুটি রাত হয়ে গেলে বাসায় এসে রান্না করেছি। অনেকদিন পর এভাবে সবাই মিলে রান্না করে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। অনেকদিন পর সবাই মিলে একসাথে হওয়ার পর খুব ভালো লেগেছিল। পরে রাতের খাওয়া করে সবাই মিলে একসঙ্গে বসে আড্ডা দিয়েছি।মোটামুটি রাত হয়ে গেলে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

Hii !!
Your diary is interesting. Time spent with friends is always the most beautiful moments for students. College life is dream of every teenager here. In from all friends, having best companion is blessings from god. The food looks tempting and delicious.
Thank you.

Thank you so much.

Steem/SBD doller sell korle inbox. 01700817832 ডলার বিক্রি করলে যোগাযোগ করেন ধন্যবাদ.💖
Whatapp 01700817832

TEAM 5

Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.

Curated by : @sduttaskitchen

Thank you so much.

অনেক ব্যস্ততার সাথে দিনটি কাটিয়েছেন। বাংলাদেশের রেল সার্ভিসের উন্নয়ন প্রয়োজন। ৮টায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও ৯.৪০ বেজে গিয়েছিল আপনার। ট্রেন প্রায়ই এমন দেরী করে। ছোট ভাইয়ের সাথে সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। সাথে বান্ধুবীরাও যুক্ত হয়েছে। আর আপনার হালিম দেখে লোভ সামলানো দায় হয়ে পড়েছে । ঢাকা গেলে আমারও হালিম খাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপনাতে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন। ঢাকায় তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন একটু দেরিতে যাওয়ার কারণে একটু সময় লেগেছে। আসলেই ঢাকা শহরে গিয়ে নিজের বন্ধু-বান্ধবের সাথে এরকম আড্ডা দিয়ে খুব ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ঢাকা আমাদের রাজধানী তবে আমার কখনও যাওয়া হয়নি এখনও। আমার দিদি ঢাকায় থাকে, আমাকে বারবার যেতে বলে তবে এখনও যাইনি। আপনার মতো আমারও জার্নি করলে শরীর অনেক বেশি ভেঙে পড়ে। বাড়িতে কাজ করলে যতটা না কষ্ট হয় তার থেকে বেশি কষ্ট হয় জার্নি করলে। ধন্যবাদ আপনাকে ব্যস্ততার মধ্যে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।

জ্বী ভাই! আপনি একদম মনের কথা বলেছেন। বাসায় কাজ করে দুই থেকে তিন দিন না ঘুমিয়ে থাকা যায়। কিন্তু জার্নি করলে শরীর একদমই ক্লান্ত হয়ে যায়।
আর ঢাকা শহরের জ্যামের কথা তো না বললেই নয়।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

ঢাকার জ্যামের কথা অনেক শুনেছি তবে এখনও বাস্তব পরিস্থিতিতে পড়ি নি কারন ঢাকাতেই যাওয়া হয়নি কখনও। জার্নি করাটা অনেক বেশি ভয় পাই আমি। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনি আজকে সকাল বেলা ঢাকায় যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে বের হন তারপর ট্রেনে চড়ে যেতে লাগলেন কমলাপুর স্টেশনে আপনাকে একটু দেরী করেই নামিয়ে দিয়েছিলো ৷

যাই হোক আপনি ঢাকায় বেশ কিছুদিন ছিলেন তারপর আপনার ছোট ভাইয়ের বাসায় যাইতে তেমন কোন অসুবিধা হয় নি ৷ আপনার ছোট ভাইয়ের বাসায় পৌঁছে সবাই মিলে একসাথে রান্না করে খেলেন ৷

যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷

জ্বী ভাই! ট্রেন দেরি করে যাওয়ার কারণে এজন্য কমলাপুর স্টেশনে যেতে একটু সময় লেগেছিল।
অনেকদিন পর ছোট ভাই এবং সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে বেশ ভালোই সময় পার করেছিলাম।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ