আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে ঘুম ভেঙেছিল সকাল ৯টা নাগাদ। ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম কিছু কাপড় ভিজিয়ে রেখেছি। ব্যাচেলর জীবনে নিজের কাজ সবসময় নিজেকেই করতে হয়। এখানে তো আর মা নেই আমার কাপড় পরিষ্কার করে দিবে। পরে কিছুক্ষণ ফোন চালিয়েছিলাম।
তখন মোটামুটি এগারোটা পার হয়ে গিয়েছে। পরে বাইরে নাস্তা খাওয়ার জন্য গিয়েছি। আমাদের বাসার সামনে একটি ছোট্ট দোকানে সিঙ্গারা পাওয়া যায়। সিঙ্গারা গুলো গরম গরম খেতে বেশ ভালোই লাগে।
নাস্তা খেয়ে আবারো বাসায় এসে কাপড় পরিষ্কার করেছি। এরপর ছাদে গিয়ে কাপড় শুকাতে দিয়েছিলাম। গতকাল সকালবেলা রোদের তেমন একটা তাপ ছিল না। আমাদের ছাদের উপর থেকে মোটামুটি চাঁদপুর শহর অনেকটাই দেখা যায়।
রুমে এসে প্রতিদিনের মতো আবারো রান্না কাজ করেছি৷ চাকরি বাদেও নিজের রুম পরিষ্কার করা, কাপড় পরিষ্কার করা, রান্না করা সব মিলিয়ে ভালোই ব্যস্ততার মাঝে দিন পার করতে হয়। তারপরেও আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
গতকালকে আমার ডিউটি ছিল বিকেল ৩টার সময়। রান্না শেষ হওয়ার পর গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ খাওয়া শেষ করে অফিসে উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। গতকালকে স্যাম্পল কালেকশন এবং ল্যাব দুটোতেই আমার ডিউটি ছিল। কারণ ল্যাবের এক ভাই গতকালকে ছুটিতে ছিল।
আর গতদিনে কাজের চাপও বেশ ভালই ছিল। কাজের ফাঁকে কোন দিক দিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারেনি। তবে সন্ধ্যার দিকে অবসর সময়ে একটু বিপিএল খেলা দেখেছিলাম। খুলনা টাইগার্স ১৮৭ রান টার্গেট দিয়েও বরিশালের সাথে জিততে পারেনি।
আর হ্যা! গতকালকে একটা ঝামেলায় পড়েছিলাম। একটা ছোট বাচ্চার ব্লাড গ্রুপ "ও" নেগেটিভ পেয়েছি। আমরা সচরাচর নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপ দুই থেকে তিন বার চেক করে তারপর রিপোর্ট দিয়ে থাকি। আমি চেক করার পরেও আমার ইনচার্জ ভাই আবারো চেক করেছে। আমার কাছে সব থেকে কঠিন টেস্ট মনে হয় ব্লাড গ্রুপিং।
গতকালকে শুক্রবার না হওয়ার পরেও বেশ ভালোই কাজ হয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা সাতটার পর আমাদের ল্যাবের কাজ, সেই সাথে ঢাকার স্যাম্পল রেডি করে পাঠানো বেশ চাপে ছিলাম। সত্যি কথা বলতে, গতকালকে বিকেল তিনটা থেকে রাত দশটা বেজে গিয়েছে কিভাবে বুঝতেই পারিনি। এভাবে একটানা ডিউটি করতে আমার অবশ্য ভালই লাগে। সময় কোন দিক দিয়ে চলে যায় টেরও পাওয়া যায় না।
মোটামুটি সব কাজ শেষ করে রাত দশটার দিকে ল্যাব বন্ধ করেছি। এরপর সবাই মিলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসায় আসার পথে একটা মুদি দোকান থেকে রান্নার জন্য কিছু বাজার করেছি। ঐ যে শুরুতেই বলেছি না, রান্না করে খাওয়া আসলেই অনেক কষ্টকর। তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ।
আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে আপনি খুবই ব্যস্ত একজন মানুষ। ল্যাবের কাজ, স্যাম্পল রেডি করা, এবং রান্না করার মতো সব দায়িত্ব একসাথে সামলানো সত্যিই চ্যালেঞ্জিং, তবে আপনি সেটা এত ভালোভাবে করেছেন, সেটা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার পরিশ্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। আল্লাহর রহমতে আপনার পরিশ্রমের ফল নিশ্চয়ই ভালো হবে। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলায় আমাদের কাপড়-চোপড় মা ধরিয়ে দিল বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজের কাপড়-চোপড় নিজেরই ধুইতে হয়।। যেহেতু এখন বাইরে আছেন তাই সবকিছু নিজেকেই করতে হয় বাসায় থাকলে যদিও কিছু কাজ মা করে দেয়।। শীতের মধ্যে গরম গরম সিঙ্গারা খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে।।। বিকালে ডিউটি থাকায় সকালে উঠতেও সমস্যা ছিল না শুনে ভালো লাগলো।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit